জয়‘বাংলা’! : আরফান আহমেদ
বুলবুলভাজা | ইস্পেশাল : উৎসব ২০১৪ | ১৯ অক্টোবর ২০১৪ | ৯৯৬ বার পঠিত | মন্তব্য : ১
অইযে চৌধুরী সাহেব, অইযে তার বিরাট বাংলো, অইযে সাহেবের নাতনী, প্রেম করে এক চাকরের সঙ্গে। চৌধুরী সাহেব তার নাতনীর জন্মদিনের পার্টি দেন। লোকেরা আসে, নাতনী গ্র্যান্ড পিয়ানোতে গান বাজায়। বেয়ারা থালা হাতে মদ বিলান। আর না হলে অইযে ছেলেটি, প্রেমে খেল দাগা। তার হবু শ্বশুর, জালেম দুনিয়া পাপের সংসার! ছেলেটি রাগে দুঃখে মদ গেলে , বৃষ্টিতে গান গায়। মাইয়টা তবে কি করবে? সেও শাওয়ারের নীচে একটু দুঃখী ক্লিভেজ দেখায়। আবার ধরেন সৎ পুলিস অফিসার নতুন থানায় এসেই, ভেঙে চুরে দেন সকল চোলাই কারখানা। এই সবই হয়। নায়িকার বাবা মদ খায়, কারণ এইটা তার স্ট্যাটাস। নায়কের বাবা খাইলে হয় স্ট্যাটাস নয় তো পাড় মাতাল, চুল্লুখোর। নায়ক খায় দুঃখে, প্রেমিকা ভাগসে তবে গেল মদ, এই সন্ত্রাসী জীবন আর ভাল্লাগে না তবে গেল মদ, দুই একটা গানও গাওয়া যায়। অইযে দারুণ মধ্যবিত্তের নায়ক রাজ্জাক মদ গিলে বলে মাতাল নই, বেঈমান বল বেঈমান। আর না হলে অই নিন্মবিত্তের আসল পুরুষ মান্না, এংরি ইয়াং ম্যান, মদ গেলে লাইক আ হাঙ্গরী ম্যান। বুকের জ্বলা নিভান। আর ছোট বেলায় শুনে ছিলাম, নায়ক জাফর ইকবাল নাকি পানির কাজ মদ দিয়ে চালাতেন। আমি মনে মনে ভাবতাম, ও তাহইলে সচু (শৌচ), আর গোসল বোধয় অই মদ দিয়েই করতেন। আর ভিলেনরা তো মদ এমনি এমনি খান। জাম্বো মদ খায় রেইপ করে। এটিয়েম সামসুজ্জামান, গ্রামের মোড়ল বেশ্যা বাড়ি যায়, মাল খায়, আর সুন্দরীরে চায়। রাজীব শহুরে বারে যান, টয়োটা হাঁকিয়ে নায়িকার বাড়ি যান। আর অই শ্রমিকশ্রেণী তো মাঝে মাঝেই গিলে, মোটর শ্রমিক, কি নৌযান শ্রমিক, এইসমস্ত ‘ছোটলোকের বাচ্চারা’ বাংলা গিলে।