বছরদুয়েক হল শ্রীমন্ত সুবোধ মল্লিক স্কোয়্যারে ফ্ল্যাট কিনেছে৷ কার্পেট এরিয়া হাজার স্কোয়্যার ফিট, সুপার বিল্ট ধরলে আরও এক-দেড়শো স্কোয়্যার ফিট বেশি। অ্যাকাউন্টসের রূপাদির জামাইয়ের প্রোমোটিং। এমনিতে স্কোয়্যারফিটপিছু বারোশো ছিল, রূপাদির বদৌলতে খানিক কমসম হয়েছে৷ অবিশ্যি না হলেও শ্রীমন্ত নিতই। কারণ স্ত্রীর স্কুলের কাছাকাছি, মেয়েরও৷ শ্রীমন্তর আপিস ডালহৌসি, সে-ও খুব দূর নয়। সবচেয়ে বড় কথা, পুরনো পাড়ার পাশেই। ফলে শ্রীমন্তের যেটা নেশা, রাজনীতি— তাতে অসুবিধে হয় না৷ একই লোকাল কমিটিতে, শুধু ব্রাঞ্চ আলাদা৷ অসুবিধের কিছু নেই, কারণ শ্রীমন্ত এখনও আগের ব্রাঞ্চেই আছে৷ লিটারেচর-ইনচার্জ৷ এদের জন্যই মনে হয় জয়দেব বসু লিখেছিলেন, ‘পার্টি করার চেয়ে বড় আর কিছু বিশল্যকরণী নেই, এ আমি হলফ ... ...
“আহা শ্রীমন্তদা, দিনের শেষে লেনিনও তো একজন মানুষ। সব মানুষের মতো লেনিনের কি পিছন থাকতে পারবে না? বৈগ্রহিক মানুষজনের কি বাহ্যি-পেচ্ছাপ পায় না?”“বিষয়টা মোটেই বাহ্যি-পেচ্ছাপের নয়৷ শকুরভ লেনিনের পিছন দেখাতেই পারেন। কিন্তু সমস্যা সিনেমার বক্তব্য নিয়ে। লেনিনের পিছন নিয়ে নয়। সিনেমাটার নাম টরাস কেন? কারণ লেনিনকে ষাঁড় হিসেবে দেখানো হয়েছে। গোঁয়ারগোবিন্দ, অকালষেঁড়ে। লেনিন কি তাই ছিলেন? আর শকুরভের এর আগের সিনেমাটাই কী? না, মোলক। হিটলারকে নিয়ে৷ যে হিটলার সাজছে, সে-ই আবার লেনিন সাজছে৷ বক্তব্যেই গণ্ডগোল। প্রতিবাদ সেটা নিয়েই ভায়া।”“এ আপনার আজব যুক্তি শ্রীমন্তদা। যে হিটলার সাজবে, সে লেনিন সাজতে পারবে না? সে যুক্তিতে তো উৎপল দত্তের অমানুষে অভিনয় করাই চলে ... ...