সত্তরের দশকে ভারতবর্ষে কেউ যদি চীনের চেয়ারম্যানকে নিজের চেয়ারম্যান বলত, তবে অবধারিতভাবে ধরে নেওয়া যেত যে সে অতিবামপন্থী কোন রাজনীতির সমর্থক। বর্তমান ভারতবর্ষে কেউ যদি চীনে নিজের স্বর্গস্থাপন করে, আপনি অবধারিতভাবে ধরে নিতে পারেন যে সে অতিদক্ষিণপন্থী কোন রাজনীতির সমর্থক। একইসঙ্গে আবার এই পরোক্ত গোষ্ঠী পূর্বোক্ত গোষ্ঠীকে সত্তরের দশকে চীনকে সমর্থন করার জন্য দেশদ্রোহী বলে আখ্যা দেয়। এখানেই ইতিহাস ভূগোল সব গুলিয়ে যায়। সেদিন চীনের চেয়ারম্যান ভারতের চেয়ারম্যান হলেই তো তাহলে চৈনিক স্বর্গরাজ্য আজ ভারতেও প্রতিষ্ঠিত হত। জেনে হোক না জেনে হোক, সেদিনের নক্সালরা তো তাহলে ভুল কিছু করেনি, বরং দেশের ভালোই চেয়েছিল। সব দেখেশুনে কবি তাই স্মিতহাস্যে কেবল ক'ন, ... ...
রবীন্দ্রনাথ নোবেল ও সত্যজিৎ রায় অস্কার পেয়েছিলেন, বাঙালী হিসেবে এ আমাদের বড় গৌরবের স্থল। বাংলার বা ভারতের বাইরে এনারাই আমাদের মূল সাংস্কৃতিক রপ্তানি। বাংলা বা বাঙালীকে যে চেনেনা, তাকে বাংলার সংস্কৃতি সম্পর্কে অবগত করানোর প্রথম ও প্রধান উপায় হল তাকে রবীন্দ্রনাথ ও সত্যজিৎ সম্পর্কে অবগত করানো। এবং বহির্বিশ্বের কাছে এঁদের তুলে ধরার প্রাথমিক উপায় হল এঁদের এই নোবেল ও অস্কার। আমি এর ব্যতিক্রম নই। জার্মানিতে থাকাকালীন আমার ঘরে গীতাঞ্জলী ও শেষের কবিতার একটি ইংরিজি অনুবাদ ... ...
যেকোন মূলধারা রাজনৈতিক দল, যাদের লক্ষ লক্ষ, অথবা ভারতবর্ষের মত এত বিশাল একটি দেশে, কোটি কোটি সমর্থক আছে, তাদের কিছু বক্তব্যের সারবত্তা অবশ্যই আছে। তা নাহলে এত মানুষ সকলেই নিজেদের বোধবুদ্ধি হারিয়ে যুক্তিহীন নির্বোধের মত তাদের সমর্থন করে চলেছে এটা মেনে নেওয়া কঠিন। তাদের পরিপ্রেক্ষিত থেকে তাদের যুক্তিটাও খানিকটা বুঝতে চেষ্টা করা উচিত, নাহলে রাজনৈতিক বোধ অনেকটা অসম্পূর্ণ থেকে যায়। আবার উল্টোপিঠে কোন রাজনৈতিক দলের ... ...