সেসব হাফপ্যান্টের কাল। জীবন ও ফেস্টিভ্যাল এগরোলময় ছিল। তার আগেরটাও আমরা দেখেছি(দইবড়া, মুগের চপ ইত্যাদি)। হাফপ্যান্ট এখন ধেড়ে, বুড়ো ও বুড়িরাও পরে। এবং ফুলপ্যান্ট পরা খোকাও খুবই মেইনস্ট্রিম। এগরোল থেকে গেল। জেনারেশনটির সাদা চুলদাড়ি আসলে অকালে পেকেছে এই বিশ্বাস আঁকড়ে থাকলেও অস্বীকার করে লাভ নেই, যৌবন যদি বা থাকে তার লাস্ট ফেজ চলছে। যাদের বৌ/বর ও ছানাপোনা আছে তারা হা-ক্লান্ত। এইসব না থাকার পরেও সুনন্দ আঃ-ক্লান্ত। পিঠের ব্যথা, চটকে যাওয়া ঘুম ও লটকে যাওয়া প্ল্যান। ফেস্টিভ্যাল বয়ে চলেছে। 'দুটো এগচিকেন। শস দেবেন না।' এই ফিলজফিটা আমরা এই প্রজন্মে পেলাম। দ্বিতীয় এগচিকেনটি কার? উত্তরের জন্য আত্মবলিদান দেওয়া চিকেনটিকেই খুঁজতে হয়। খেপে ... ...
প্রন পকোড়া ও কোল্ড কফি খেতে খেতে সবাই একমত হলেন, ভগবানটি ভুয়ো ছিল। নতুন ভগবান লাগবে।অমুক ব্লকের বিডিও মদের পার্টি দেবেন। টাকাটা ঝাড়তে হবে সরকারী স্কিম থেকে। অধস্তনরা নির্দেশ পেলেন। একজন ফিসফিস করলেন, 'লিখিত দেবেন স্যার?'। বিডিও শুনেও শোনেন নি।অমুক পঞ্চায়েতে সাড়ে চার লাখ একশ দিনের প্রকল্পের টাকা থেকে। দুজনকে ভাগ দিতে হল। ... ...
আমরা স্কুলে থাকতে পড়েছিলাম, ‘সকলেই আড়চোখে সকলকে দেখে’। লেখা হয়েছিল তারও পঞ্চাশ বছর আগে। আজ দুহাজার বাইশ খ্রীষ্টাব্দে মানুষ কখন কি দেখে ও কেন দেখে তার হিসেব নিজেই রাখতে পারে না। মানুষের ইন্দ্রিয় ক্রমে এটাও ঠিক করতে পারবে না কোনটা ফেসবুক বা ইউটিউবে দেখেছিল ও কোনটা জলজ্যান্ত রাস্তায়। পাঁচ সাত বছর আগেও বিভিন্নজন প্রচন্ড ফোর্সের সাথে বলতেন, ভার্চুয়্যাল ভার্চুয়্যালই। ওটা রিয়েলিটি নয়। তাঁদের তখনও নেট ব্যাঙ্কিং ছিল। এবং হোয়াটস্যাপ ছাড়া শ্বাসকষ্ট হত। ... ...
সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় বিষয়ক একটি পোস্টের কমেন্টে দেখলাম একজনের প্রশ্ন, ‘বুড়িটা কে?’ উত্তর-ও প্রচুর। ইউটিউবে একটি লম্বা মনোলগের এক জায়গায় কবীর সুমন বলেছেন, গান রেকর্ডিং-এর আগে সন্ধ্যা বলেছিলেন ‘সুমন তুমি আমার ডিপার্চার ঘটিয়ে দাও’। ‘ডিপার্চার’ কথাটার বহুমাত্রিক সম্ভাবনার কথা ভাবলে বলা যায়, সুমন হয়তো চেয়েছিলেন বা ট্রাই করেছিলেন। আমাদের প্রজন্মটি এখন শেষ যৌবনে। হাফপ্যান্ট পরে স্কুলে যাই এইরকম একটা সময়ে দেখলাম, উত্তমকুমার দাঁড়িয়ে আছেন। সুচিত্রা সেন বসে আছেন। ... ...
উৎসবে, শোকে, আনন্দে, ব্যথায়, ভোগে, রোগে, সেলিব্রেশনে, প্রেমে, সখ্যতায়, শত্রুতায়, ঘুটঘুটে সন্দেহে, পিটপিটে ঈর্ষায়, প্রতিবাদে, প্রতিরোধে, জ্বালায়, চুলকানিতে, স্বৈরাচারে, সেক্সে, হুমকিতে, ঠুমকিতে, দালালি ও ফোঁপরদালালিতে, পিটিশন ও কম্পিটিশনে যে জিনিসগুলো কমন হয়ে গেছে সেগুলো হচ্ছে র-এর স্থলে ড় ও ড়-এর স্থলে র, হাঁস ও কাঁচ-এর পরিবর্তে হাস ও কাচ, হেসে গড়াগড়ি না খেয়ে হেঁসে গড়াগড়ি খাওয়া, য় ও ই-এর ভেদাভেদ মুছে দেওয়া ইত্যাদি। আমাদের বাল্যকালে স্কুলবালক ও বালিকাদের মধ্যে এই সাবজেক্টগুলি দেখা গেলেও এমএ ও নেট কোয়ালিফাই করা সাহিত্যের শিক্ষক/শিক্ষিকা ‘গুরুত্বপূর্ণ কাজ থাকাই আসতে পারলাম না’ লিখছেন দুঃস্বপ্নেও(বা দুষ্টু ছেলের সুখস্বপ্নেও) ভাবা যেত না। ‘মিম’ বা ‘মেমে’ একটি জনপ্রিয় ও ... ...
বিষয়টা বুঝলাম। ... ...
'শ্রীকান্ত মুন্সী' ... ...
পাঁচু পাঁচিকে প্রেম নিবেদন করিয়া পাত্তা না পাইয়া গরগর করিতেছে। পাঁচি অতঃপর পঞ্চাননের কাছে ঘেঁষিয়া মিউমিউ করিয়া পাত্তা না পাইয়া জন্মশত্রু হইয়া উঠিল। সংসারে ইত্যাকার অ্যাসিডিক বাতাস বহিবার মাঝে বুস্টার ডোজ আসিয়া পড়ে। পাঁচু, পাঁচি ও পঞ্চানন একই লাইনে দাঁড়াইয়া শুনিল উত্তপ্ত ডিসকাশন, বুস্টার একটি ধাপ্পা। কর্পোরেট ও সরকারের সিনিস্টার নেক্সাস। ইতোমধ্যে সম্মুখের দিকে এক সুযোগসন্ধানীকে সন্তর্পণে লাইনে ঢুকিতে প্রয়াস পাইতে দেখিয়া পাঁচু, পাঁচি, পঞ্চানন ব্যস্ত হইয়া উঠে। ‘বার করে দাও শুয়োরের বাচ্চাকে’ ও অন্যান্য সিংহগর্জনের মাধ্যমে দুর্নীতিটি দমন করা হইল। বুস্টার আজ ভালোয় ভালোয় পাওয়া যাইলে হয়।পুঃ এমিল সিওরান বলিয়াছেন, ‘To suffer is the great modality of taking the ... ...
বহুমত ও বহুস্বরঃ কঃ বর্ষাকালে সজনেডাঁটা খাওয়া ঠিক নয়, আমার বিশ্বাস। খঃ আমার গভীর বিশ্বাস যে খাওয়া যেতেই পারে ও খাওয়া উচিত আমি বলব। গঃ গভীর বিশ্বাস হলেই কি পাওয়া যায় বর্ষাকালে? ঘঃ পাওয়া যায় তো আমাদের ওদিকে। গঃ ওগুলো সজনে ডাঁটা নয়। অন্য কিছু। কঃ আমি বিশ্বাস করি, পুঁই ডাঁটা ছাড়া অন্য কোনও ডাঁটা বর্ষাকালে... ... ...
মধ্যরাত্রে বার্ড আসিলেন। বার্ড অফ Aভন। মজন্তালির নাক তখন ডাকিতেছিল। বার্ড কিছু বলিতেছিলেন। মজন্তালির দক্ষিণ ও বাম নাক যথাক্রমে 'টু বি' ও 'নট টু বি' ডাকিয়া উল্লাসে মাত করিয়া রাখিয়াছে। ... ...