দীর্ঘ কৃশ বেত্র করে শিক্ষাগুরু ধীরে ধীরে আসিলেন যবে শ্রেণীকক্ষে, পরণে মলিন বেশ মস্তকে শুভ্র কেশ ছাত্রদল কাঁপে দুরুবক্ষে॥ পাঠে যদি ভ্রম হয় শিয়রে শমন ধায় দুইচক্ষে রোষায়িত দৃষ্টি, যষ্টিমধু বেত্রাঘাত ... ...
হাসতে কি ভুলে গেছ-কথাটা কি সত্যি ! কতশত হাসি আছি-পেটেতেই ভর্তি। কেউ হাসে হা হা করে, কেউ হাসে মুচকে, হাসতে হাসতে যায় নাক মুখ কুঁচকে। হাসতে সবাই জানে কেউ কম বেশী, কারো কারো জন্মেই গালভরা হাসি। কেউ কেউ জোরে হাসে যার নাম অট্ট, স্মিত হাসি ... ...
১৯৭৬ সাল । প্রথম বছরের মাধ্যমিক পরীক্ষা। নবম, দশম, একাদশ শ্রেণীর সমন্বয়ে যে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা বিগত বেশ কিছু বছর থেকে পশ্চিম বঙ্গের ছাত্রছাত্রীরা দিয়ে আসছিল, সেই পদ্ধতির পরিবর্তনের প্রথম বছর ছিল ১৯৭৬ সাল। নবম তথা দশম শ্রেণীর পাঠের উপর ভিত্তি করে মাধ্যমিক এবং দু’ বছর পরে একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণীর পঠনপাঠন কে উপজীব্য করে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা।মোট আটশ নম্বরের ওপর ভিত্তি করে মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু ... ...
সেবার গিয়েছিলাম ঘাটশিলা। আজ থেকে অনেক বছর আগে। তখন আমার বয়স কতই বা হবে ! আট কি নয়। কিন্তু সেখানে যে ঘটনাটি ঘটেছিল তা এখনো আমার স্মৃতিতে সমুজ্জ্বল হয়ে আছে । ১৯৬৪ সালের কথা। এপ্রিল মাস। সবে দাদার উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা শেষ হয়েছে। বাবা একদিন কর্মক্ষেত্র থেকে ফিরে এসে মাকে বললেন - “ চল, ক’দিনের জন্য ঘাটশিলা ঘুরে আসি। আমার সহকর্মী ব্যানার্জির এক আত্মীয়ের ঘাটশিলায় একটা বাড়ী আছে। কেউ থাকে ... ...
প্রতি প্রভাতেই “সোনার তরী”তে বেড়াত “মানসী” চিত্রা”,শান্ত তটিনী সাথে সঙ্গিনী “ক্ষণিকা””শ্যামলী””মিত্রা”।দূরের “বলাকা” ভেসে যেত যেন সোনার আলোক রথে,“নদী” বক্ষেতে আনন্দে মাতে “প্রভাত সংগীতে”।“শিশু ভোলানাথ” হৃদয়ের প্রাণ তারে লয়ে প্রতি সাঁঝে,নৌকাভ্রমণে বেরুত “সেঁজুতি” “চৈতালী হাওয়া” মাঝে।সাথে সহোদরা “মানসী” “পূরবী” কম যায় তারা কিসে !“সন্ধ্যা সঙ্গীত” “খেয়া” মাঝে ঐ “প্রবাহিণী” বুঝি হাসে ।ঘরে বাইরে “দুই বোন”কে স্ফুলিঙ্গ” বলা ... ...
প্রলোয়ল্লাসে মেতেছে ঝঞ্ঝা করেছে ‘সর্বহারা’,‘কুহেলিকা’ সম কুজ্ঝটিকায় রিক্ত জীবনধারা। ‘পথহারা’ সবে খুঁজে খুঁজে ফেরে সঠিক ‘পথের দিশা’, চারিদিকে যেন বাজে ‘রণ-ভেরী’ , এ কি ঘোর অমানিশা ! ‘কমল কাঁটা’য় বিদ্ধ ধরণী ‘দ্বীপান্তরের বন্দিনী’, নীরবে সহেন বিশ্ববাসীর ‘দারিদ্র্য’, ‘কোরবানি’। ‘উদ্দাম’ এই শত্রুরে হেরি শক্তিটা নয় অল্প, এই ‘চৈতি হাওয়া’র বিতাড়নে চাই ‘অভিযান’ ‘সংকল্প’। আজ’চাঁদনী রাতে’র ‘অবেলার ডাকে’ দাও এবে সবে সাড়া, যেন বিভাষিত ... ...
বংগভাষার একই শাখা ‘পরে ফুটে আছে দুটি ফুল,তাঁরা দুইজনা রবীন্দ্রনাথ সংগতে নজরুল।রবি কবি হাতে মোদের ভাষাটি হয়েছে পুষ্ট ধনী,সেই ভাষাতেই শুনালেন কাজী চির বিদ্রোহ বাণী॥গীতান্জলী একজনে দেয় সম্মান বাণভাসি,অপরজনের লেখনী সরবে বাজায় বিষের বাঁশি। মাতৃভাষার এপার ওপার পারাপারে দুই কবি,গল্প,নাটক,উপন্যাস আর কাব্যেতে তারই ছবি॥রবীন্দ্র করে সন্চয়িতা-যেন সে দৃপ্ত সূর্য,সন্চিতা আর অগ্ণিবীণায় বাজালেন কাজী তুর্য্য। সুরের জগতে দ্যুতিমান সদা স্নিগ্ধ রবির কর, সৃষ্টি করেছে সংগীত ... ...
শোন শোন নীতিকথায় গল্প বলি আজ, শ্রীমদ্ভাগবত গীতার পাতায় অমৃতের সাজ॥ বছর বার বয়সের একটি ছোট ছেলে - রাগের সময় তার বুঝি নয়ন দুটি জ্বলে, প্রচণ্ডই রাগ ছিল তার, জেদ কিছু কম নয় ... ...
একটা দিনও যায়নি মোটে মায়ের জন্য কাঁদি, কারণ আমার মা ছিলেন ঘোর মিথ্যাবাদী। সচরাচর মায়েরা হন মিথ্যাচারী বটে, সব কষ্ট বুকে নিয়েও হাসেন অকপটে॥বাবা যেদিন চলে গেলেন এই পৃথিবী থেকে, সেদিন প্রথম মিথ্যা কথা শুনি মায়ের মুখে। মা বলতো - “বাবা আছেন দূর আকাশের মাঝে,লেখাপড়া করলে তাঁকে দেখবি সকাল সাঁঝে॥ ... ...
চাকুরীর শেষে ভেবেছিনু হেসে আরামে কাটবে জীবন, এদেশ ওদেশ ঘুরবোই বেশ একাকী তীর্থভ্রমণ। কিন্তু কি রোষে ভাগ্যের দোষে হল ঠিক বিপরীত ! কপাল মন্দ নাইকো সন্দ কদলী বাকলে চিৎ ... ...