"বেশ অন্ধকার গভীর একটা গুহায় থাকতাম আমরা। আজ থেকে এক লক্ষ বছর আগে। মধ্যপ্রদেশে, এখন সেই জায়গাটাকে ভীমবেটকা বলে। এর আগে কোন দম্পতি এরকম আলাদা থাকেনি। যূথ থেকে বেরিয়ে এসে, শুধু দুজনে। কৌমবাসে যথেষ্ট নিভৃতি ছিল না। কৌমসর্দারের হাত থেকে আমাকে বাঁচিয়ে ছিলে তুমি। তুমি শিকার করতে, কখনো, গাছ থেকে ফল পাকুড় পেড়ে আনতে। কখনো আমি পাশের ছোট নদীতে মাছ ধরতাম। শাক বেছে আনতাম। খুঁড়ে তুলতাম কন্দ। ঐ গুহাকন্দরের দেওয়ালে আমাদের হাতের ছাপ এখনও দেখতে পাওয়া যায়। শিকারে যাওয়ার আগের দিন, ঐ দেওয়ালেই তুমি খনিজ রঙ, পাতার রস আর পশু রক্তে শিকারের ছবি আঁকতে। আমরা বিশ্বাস করতাম, যা আঁকবো, তাই হবে ... ...
মোটাসোটা হলে কী হবে, ছোটবেলায় সারা বছরে অজস্রবার জ্বর হতো আমার। তার মধ্যে দুটি দিন অবশ্যম্ভাবী ছিল। একবার এই ষষ্ঠীর দিনে, আর একবার আমার জন্মদিনে। বোধহয় এতবেশি প্ল্যান করতাম বন্ধুরা আসবে, সবাই মিলে কী কী মজা করবো, সেই জন্যই। নিজেরই নজর লেগে যেতো! বাবা বলতেন, সিজ়ন চেঞ্জ। সর্বপল্লীর পুজোমন্ডপের বাঁশের কাঠামো চোখে পড়তেই আর পড়াশুনোয় মন বসতোনা তেমন। অঙ্কের বইখাতা খুলে উদাস হয়ে বসে থাকতাম। বাইরে নীল আকাশ, সবুজ গাছপালা কে যেন সোনার জলে ধুয়ে দিয়েছে। কার কটা জামা হলো পাড়ায় বন্ধুদের বাড়িতে গিয়ে দেখা। আমাদের কাপড় কিনে দর্জি দিয়ে জামা বানানো হতো, রাঙা টেলার্সে। কখনোই সেগুলি ষষ্ঠীর আগে হাতে ... ...