ইন্দিরা গান্ধীর নেতৃত্বে কংগ্রেস সরকারের এমার্জেন্সি দেখেছে ভারত। বিরোধী পক্ষের শুধু নয় নিজেদের দলের বিরুদ্ধমতকেও হেলায় বন্দি করতে কুন্ঠা বোধ করেন নি ইন্দিরা গান্ধী। গণতন্ত্র থেকে এক লহমায় একনায়কতন্ত্রে বদলাতে থাকা ভারতীয় শাসন ব্যাবস্থাকে দৃঢ় হাতে ঋজুতার সাথে মোকাবিলা করেছিল ভারতীয় আইন ব্যাবস্থা, নির্দিস্ট করে বললে বলতে হবে 'দি সুপ্রিম কোর্ট অফ ইন্ডিয়া'।মজদুর কিষান শক্তি সংগঠনের মামলার আদেশ দিতে গিয়ে সুপ্রিম কোর্ট ১৯৬১ সালের বাবুলাল পারাতে বনাম স্টেট অফ মহারাষ্ট্র ... ...
ভারতীয় সংবিধানের ১৯ নম্বর অনুচ্ছেদের দুটি ভাগ। এক দিকে যেমন নাগরিকের নিজ মত প্রকাশের, প্রতিবাদের অধিকারের স্বাধীনতা দেওয়া আছে অন্য দিকে রাষ্ট্র বা সরকারের অধিকার আছে বিধিনিষেধ আরোপ করার, প্রয়োজনে সেই স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করার, তবে অবশ্যই যুক্তিপূর্ণভাবে যা কখনোই দমনমূলক হতে পারেনা। এখন একটা প্রশ্ন আসতে পারে। যদি এমন হয় যে একজনের প্রতিবাদের অধিকার বা মত প্রকাশের অধিকার প্রয়োগের ... ...
ঐ একই সময়ে যন্তর মন্তরে একটানা ধর্নায় বসেছিলেন একজন মানুষ, যাঁর আভিযোগ ছিল যে, তিনি একজনের দ্বারা বারংবার ধর্ষিতা হয়েছেন। এন জি টি-র ঐ আদেশে তাঁকে ধর্ণা থেকে উঠে যেতে বাধ্য হতে হয়। মজদুর কিষান শক্তির মামলায় এই বিষয়টিও ছিল শীর্ষ আদালতের আলোচনার মধ্যে। আর যে বিষয় ছিল ওই আদেশের আলোচনায় সেটা হলো ভারতীয় অবসর প্রাপ্ত সেনাদের দাবিদাওয়া নিয়ে নাগাড়ে চলা ধর্ণা। এর আগে ইন্ডিয়া গেট, মধ্য দিল্লির বিস্তীর্ণ এলাকায় বহুবার নিরাপত্তাজনিত কারনে প্রতিবাদ আন্দোলন ... ...
২০১৭ সালের জানুয়ারি থেকে দিল্লী পুলিশ দু'মাস অন্তর ক্রমাগত দিল্লীর নির্দিষ্ট কয়েকটি জায়গায় ১৪৪ ধারা জারি করছিলো। ওই জায়গাগুলোতে কোনো পাবলিক মিটিং, স্লোগান দেওয়া, পাঁচ জনের বেশি জমায়েত ইত্যাদি নিষিদ্ধ করেছিল। পুলিশ যে এই ধরণের অর্ডার করছিলো তার কারণ ছিল ন্যাশনাল গ্রীণ ট্রাইবুন্যাল (এন জি টি) - র একটি আদেশ। মজদুর কিসান শক্তি সংগঠন, একজন ধর্ষিতা মহিলা, প্রাক্তন সেনাকর্মীদের একটি সংগঠন ও অন্যান্য কয়েকটি সংস্থার ... ...