এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • জাতপাতের রাজনীতির উলঙ্গ নৃত্য

    SHANKAR BHATTACHARYA লেখকের গ্রাহক হোন
    ৩১ অক্টোবর ২০২৫ | ৩৫ বার পঠিত
  • আর্টিকল #: 33476
    নিকেশ | The Execution of Memories
     
    বাংলা:
     
    দেশটা ভাগ হয়েছিল —
    সাম্প্রদায়িক বিভেদ, হিংসা, আর রাজনীতির চাতুরীতে;
    সাধারণ মানুষের জীবন ভেসে গিয়েছিল ধ্বংসের স্রোতে।
    কত শিশু অনাথ হয়ে গিয়েছিল,
    কত স্বামী-স্ত্রী একে অপরকে হারিয়েছিল,
    কত মানুষ জাত-বেজাতের জাঁতাকলে পড়ে
    হারিয়ে ফেলেছিল তাদের আগের পরিচয়।
    কোথাও কোনও লেখাজোকা তথ্যই নেই কারও কাছে —
    শুধু ক্ষতবিক্ষত স্মৃতি,
    যা আজও ভুলে যায়নি কোনও মানুষ।
     
    এবার হচ্ছে সেই স্মৃতির নিকেশ,
    যারা কোনমতে বেঁচে ছিল, তাদের নিকেশ —
    তাদের অস্তিত্বের নিকেশ।
    তারা এখন বৃদ্ধ বা বৃদ্ধা,
    কলিজা দুই টুকরো হয়ে বিভক্ত দেশে,
    ক্ষত বয়ে বয়ে কাটিয়েছে জীবন।
     
    হৃদয়হীন একটুকরো কাগজে সইসাবুদেই দেশটা টুকরো করা হয়েছিল।
    লাখো লাখো মানুষ হারিয়েছিল আশ্রয়,
    নথিপত্রে তাদের পরিচয় হয়ে গিয়েছিল — উদ্বাস্তু।
     
    উদ্বাস্তু জীবন থেকে যাওবা কোনো মতে জোগাড় হয়েছিল একটু বাস্তুভিটে,
    রোদ-জল-বৃষ্টি থেকে বাঁচার আশ্রয়,
    কোনমতে সন্তান-সন্ততি নিয়ে কিছু কাজ করে
    পেটের ভাত জোগাড় হচ্ছিল।
    কিন্তু আজ সেই পেট নিয়েও টানাটানি —
    ক্ষমতালোভী, পোষ্য মানসিকতার লোকেরা
    নাগরিকত্ব নির্ধারণ করে,
    কারা বাঁচবে, কারা মারা যাবে, তা ঠিক করে।
     
    ভাগ করা দেশকে জাতপাতে রেখে
    এর নাম দেওয়া হয়েছে “ধর্মচারণ।”
    অলক্ষ্যে, অকল্পনীয় গতিতে বৃদ্ধি পাচ্ছে
    বানিয়াদের সম্পদ অর্জনের মাত্রা,
    জাতপাতের রক্ত মাড়িয়ে, রাজনৈতিক মদতে।
    ধর্ষণ, লুটপাট, হত্যা, গুম, নির্যাতন —
    সব চলছে পূর্ণমাত্রায় ধর্মের নামে।
     
    পরম আত্মবিদ রাজনীতির উলঙ্গ নৃত্য —
    ক্ষমতালোভী, পোষ্য মানসিকতার লোকেরা
    ক্ষুধা নিয়ে এগিয়ে আসে,
    নখ দাঁত বের করে,
    ভেঙে পড়া সমাজে হিংস্র পশুদের ফূর্তির, অবিরাম প্রতিধ্বনি হয়ে উঠছে।
    ---
     
    English:
     
    The country was split —
    by sectarian divides, violence, and the cunning of politics;
    the lives of ordinary people were swept away in the current of destruction.
    So many children became orphans,
    so many husbands and wives lost each other,
    so many lost their former identities,
    entangled in the web of caste and creed.
    No records existed for anyone —
    only shredded memories remained,
    memories that no one could ever forget.
     
    Now comes the execution of those memories,
    now those who somehow survived are being erased —
    their very existence targeted.
    They are old now, barely surviving —
    hearts split in two, carried across divided borders,
    wounds flowing endlessly through life.
     
    With a heartless signature on a piece of paper,
    the land was cleaved.
    Millions lost shelter,
    their official records marked them as refugees.
     
    From the refugee life, by any means possible, they managed
    to gather a little roof,
    shelter from sun, rain, and storm,
    somehow caring for children,
    struggling to fill their bellies.
    Even that modest sustenance is now contested —
    the power-hungry sycophants
    determine citizenship overnight,
    deciding who survives, who perishes.
     
    A divided country, painted in the colors of caste,
    is called “religious practice.”
    Silently, at an unimaginable pace,
    the fortunes of the elite grow,
    rivers of blood from caste divisions fueling it,
    propelled by political intoxication.
    Rape, looting, murder, abduction, torture —
    all continue in the name of religion.
     
    The ultimate spectacle of naked politics —
    the power-hungry sycophants,
    driven by hunger, surge forward,
    baring teeth and claws,
    the roar of ferocious animals is becoming a constant echo in a broken society.
    —---
     
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। চটপট মতামত দিন