এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • কলকাতায় সত্যি কি কোন বেসরকারি হাসপাতাল আছে ?

    upal mukhopadhyay লেখকের গ্রাহক হোন
    ২৩ অক্টোবর ২০২৪ | ২৮০ বার পঠিত | রেটিং ৪.৩ (৩ জন)
  • নব্বইয়ের মাঝামাঝি থেকে স্বাস্থ্য ও শিক্ষায় বেসরকারিকরণে উৎসাহ দেয় বামফ্রন্ট সরকার। তার আগে থেকেই কংগ্রেস আমল থেকেই প্রত্যক্ষ সরকারী মদতে বেসরকারী হাসপাতাল নার্সিং হোমকে সরকারী মদত দেওয়া হচ্ছিল এক টাকায় জমি দিয়ে। নব্বইয়ের মাঝামাঝি থেকে বামফ্রন্ট ওই কংগ্রেসী রাস্তাতেই পিপিপি বা পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশীপের নামে অজস্র সরকারী হাসপাতালকে জমি দিতে থাকে এক টাকায়। আগের মতোই দুটো শর্তে এই সব প্রাইম প্রপার্টি সরকার হস্তান্তর করে বেসরকারী হাসপাতালগুলোকে। এক, এদেরকে আর্থিক ভাবে দুর্বল শ্রেণীর মানুষকে ইন ও অউট ডোর চিকিৎসা দিতে হবে সুলভে। দুই, এদেরকে সরকারী কর্মীদের সুলভে চিকিৎসার সুযোগ দিতে হবে। বাম আমলে বা আগের কংগ্রেস আমলে গরীবের চিকিৎসা দেওয়ার ব্যাপারে এরা কী করছে তা দেখার কোন সুযোগ ছিল না। সরকারী কর্মীদের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য কারণ এ জন্য সরকার কোন এনফোর্সমেন্ট ব্যবস্থাই তৈরি করেনি। সত্যি বলতে এদের ঢালাও ব্যবসার সুযোগ করে দেয় সরকার অথচ প্রতিটা হাসপাতালের স্টেক হোল্ডার হিসেব থেকে যায়। আমাদের দেশের আইন অনুযায়ী বেসরকারী হাসপাতালের যে ধরণের পরিচালক মণ্ডলী আছে তাতে সরকারে প্রতিনিধিরাও নামেই থাকতেন। তারপর ২০০৮ থেকে সরকারী কর্মীদের চিকিৎসা ভাতা না দিয়ে। সে টাকা জমিয়ে, হেল্থ স্কিম কর্তৃপক্ষ নামক এনফোর্সমেন্ট এজেন্সি তৈরি করে বেসরকারী সেক্টরে কর্মীদের সুলভে চিকিৎসার ব্যবস্থা করে সরকার যা এখনও চলছে। কী হারে তারা চিকিৎসা করবে তাও হেল্থ স্কিম কর্তৃপক্ষ ঠিক করে যা বাজারি রেটের থেকে কম। অবশেষে ২০১৬ থেকে তৃণমূলের আমলে সব শ্রেণীর মানুষের জন্য স্বাস্থ্য সাথী নামের বিমা প্রকল্প চালু করে বেসরকারী হাসপাতালকে সুলভে চিকিৎসা দিতে বাধ্য করা হয়েছে। এতে চিকিৎসার খরচের হারও সরকার নির্ধারিত ও অনেক কম। এই বিমা সরকারী সাধারণ বিমার কোম্পানিগুলোর সঙ্গে করা হয় যার প্রিমিয়ামও দেয় সরকার। অর্থাৎ এক্ষেত্রে এনফোর্সমেন্ট এজেন্সি স্বাস্থ্য বিভাগ।

    এক টাকায় জমি পাওয়া। স্বাস্থ্য ব্যবসার পীঠস্থান। প্রত্যেকের নামের পাশে রিসার্চ বসিয়ে যন্ত্রপাতি আমদানিতে কর ছাড় পাওয়া সব কটা বেসরকারী হাসপাতাল অবশেষে এনফোর্সমেন্ট এজেন্সির আওতায় এসেছে।

    তাই উডল্যান্ডসয়ের মতো কিছু ব্যতিক্রমী প্রতিষ্ঠান বাদ দিলে, সুলভে চিকিৎসার এনফোর্সমেন্টের হাজার ছেঁদা থাকা সত্ত্বেও, ফোকটে জমি পাওয়া এসব হাসপাতালের একটাকেও বেসরকারী, কর্পোরেট এসব বলা যায় কি ?
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • PRABIRJIT SARKAR | ২৩ অক্টোবর ২০২৪ ২০:৪৭538798
  • বাম আমলে এইসব হাসপাতাল চালু হয় সরকারি সাহায্যে। অনেকটা সিঙ্গুর মডেল। লাভ করবে তুমি সস্তায় প্রাইম লোকেশনে জমি দেব আমি। কথা ছিল ইমার্জেন্সি থাকবে মানুষ বাঁচানোর দরকারে। অনেক ক্ষেত্রে সাহায্য করেনি। সরকার লাইসেন্স কেড়ে নেবার হুমকি দেবার পর এখন নামে ইমার্জেন্সি আছে।টাকা পয়সা দিয়ে ভর্তি না করলে চিকিৎসা শুরু হয় না। আমার এমন অভিজ্ঞতা। ভর্তি হবার পর শুরু যত রকমের পরীক্ষা ওদের ল্যাবে হয় সব শুরু হয়। ওদের যত ডাকতার আছে একবার ছুঁয়ে যায়। বড় ডাক্তার দু হাজার টাকা (তার আউটডোর বা চেম্বারে হয়তো ১২০০ টাকা ফী) আর জুনিয়র সঙ্গে থাকলে আরো এক হাজার। লাঞ্চ ডিনার মেনু বলে একজন জিজ্ঞেস করবেন রোজ- কাল কি খাবেন? তার ফি ৫০০ টাকা। শুধু নার্স সার্ভিস ফ্রি।কোথাও ঘাড় নাড়িয়ে যাবে এক ফিজিও। সে ও ৫০০ টাকা নেবে। বেঁচে ফিরলে ঘটি বাটি চাটি হবে। সরকারি হাসপাতালে বেড নেই। সোর্স থাকলে সব আছে। তাই মধ্যবিত্ত এসব কর্পোরেট হাসপাতালে আসে।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। খারাপ-ভাল মতামত দিন