এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • হিন্দু খতরে মে হ্যায় 

    Jishnu Mukherjee লেখকের গ্রাহক হোন
    ২৯ মে ২০২৪ | ৪৫১ বার পঠিত | রেটিং ৫ (১ জন)
  • জনসংখ্যার প্রশ্নে কিছু নতুন চিন্তা উকিঝুঁকি মারছে। দ্বিতীয় দফার তিনমাসের মধ্যেই আমাদের প্রধানমন্ত্রী জনসংখ্যা নিয়ে চিন্তা প্রকাশ করেছেন। লালকেল্লা থেকে জাতির উদ্দেশ্যে তিনি জানান 'আমাদের জনসংখ্যার যে বিস্ফোরণ তা নিয়ে চিন্তা করতেই হবে।' তিনি আরও বলেন যে এটি আমাদের উন্নতির পথে প্রধানতম বাধা।

    কথা হলো যে, এই চিন্তাধারা আসামে ভ্রুন অবস্থায় ছিলো দুবছর আগে। এখন এটি পূর্ণবয়স্ক যুবকের আকার নিয়েছে উত্তরপ্রদেশে, যেখানে যোগী আদিত্যনাথের সরকার আইন কমিশন একটি জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ বিলের খসড়া প্রকাশ করে জুলাই ২০২১ সালে এবং জনসাধারণের মতামত চায়। খবরে আছে কর্ণাটক এবং গুজরাটের বিজেপি সরকার উত্তরপ্রদেশের এই বিলের খসড়া খুঁটিয়ে দেখছে।

    আমি জনসংখ্যা বৃদ্ধির বিভিন্ন তথ্য, টোটাল ফার্টিলিটি রেটের ধরণ এবং ভবিষ্যতের জনসংখ্যা বৃদ্ধির গণনা বিচার করে আমাদের প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর সহযোদ্ধাদের দুশ্চিন্তার বিষয়টা খানিক বোঝার চেষ্টা করছিলাম। আমি আমার মতামত আপনাদের সাথে ভাগ করে নিতে চাইছি।

    এটা সহজেই অনুমেয় যে বেশিরভাগ পরিবারই তাদের সন্তান সংখ্যা একটি নির্দিষ্ট সীমার মধ্যে রাখতে চাইছে। আমাদের নিজেদের পরিবার বা আমাদের প্রতিবেশীদের পরিবারের দিকে তাকালেই তা স্পষ্ট হয়ে ওঠে। আমার পরিবারের কথাই ধরা যাক। আমার মায়ের মা ১৩টি সন্তান প্রসব করেন যার মধ্যে আটজন বেঁচেছিলেন। তাঁর কিছু সন্তান তাঁর নাতি নাতনির থেকেও ছোট ছিল। অন্যভাবে বলতে গেলে আমার কিছু কাকু আমার বড়দিদির থেকে বয়সে ছোট। আমার মা পাঁচটি সন্তান প্রসব করেন। আমরা চারজন বেঁচেছিলাম। আমার স্ত্রীর একটি সন্তান। আমার সমস্ত ভাইবোনের একটি করে সন্তান। আমার বন্ধু এবং সহপাঠীদের মধ্যে ৯০ শতাংশ, তা তাঁরা যে ধর্মেরই হোক না কেন, দুটি সন্তানের অধিকারী। যখন আমরা সন্তান উৎপাদনে সক্ষম হলাম তখন কেউই আমাদের জোর করেনি। যা হয়েছে স্বেচ্ছায় হয়েছে।

    কিন্তু আপনারা আমাকে পক্ষপাতদুষ্ট ভাবতেই পারেন এবং অভিযোগ করতেই পারেন যে আমার দুনিয়া আমার পরিবার, আমার বন্ধুবর্গ এবং একই সামাজিক শ্রেণীর মানুষ দিয়ে তৈরী। সুতরাং আমি আমার প্রাতঃ এবং সান্ধ্যভ্রমণের সময় কিছু এমন মানুষের সাথে কথা বলি যারা আমার মতো সুযোগ সুবিধা কিছুই পাননি জীবনে। কিছু ঠিকা শ্রমিক, কিছু গৃহ পরিচারিকা, কিছু মহিলা যারা স্কুলে আয়ার কাজ করেন এবং একজন মেষপালক। এই ১৫ জন মানুষের মধ্যে ১২ জন দুটি সন্তানের অধিকারী। একজনের তিনটি সন্তান ও বাকি দুজনের একটি করে সন্তান। এই ১৫ জনের মধ্যে কেউ কেউ মধ্যবয়স্ক, যারা তুলনায় নবীন তারা আমায় জানায় যে তারা আর সন্তান চায় না।

    আমি একজন ডাটা সায়েন্টিস্ট হিসেবে কাজ করেছি। আমি জানি যে আমার পরিবার, আমার প্রতিবেশী এবং উপরিউক্ত ১৫ জন মানুষের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য সামগ্রিকভাবে ভারতের জনসংখ্যা বৃদ্ধির যে ধারা তার সম্বন্ধে সঠিক কোনো উপসংহারে আসতে পারে না। তবুও এই তথ্য গুরুত্বপূর্ণ। আমি আমার তথ্য ভুল মানতে রাজী আছি কারণ নিশ্চয়ই অন্য কোন বড় ঘটনা ঘটে যাচ্ছে আমার চোখের আড়ালে নচেৎ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কেন স্বাধীনতা দিবসের মতো গুরুত্বপূর্ণ দিনে এতো চিন্তিত থাকেন।

    ১৯৫০ থেকে ২০১১ এর টোটাল ফার্টিলিটি রেটের (TFR) দিকে তাকানো যাক। TFR হচ্ছে মহিলারা সন্তান উৎপাদন ক্ষমতা থাকাকালীন যত সন্তানের জন্ম দেন তার গড়। ১৯৫০ থেকে ১৯৫৬ সাল অবধি TFR ছিল ৫.৯। ১৯৫৭ সালে তা কিছুটা কমে। ২০০২ সালের মধ্যে TFR হয়ে যায় ২.৯। এবং ২০২১ সালে TFR হয় ২.১৭৯। এটি রিপ্লেশমেন্ট লেভেল যা হল ২.১ তার খানিকটা উপরে। রিপ্লেসমেন্ট লেভেল হচ্ছে দুজন সন্তান তার পিতামাতাকে রিপ্লেস করবে। যদি TFR ২ এর নিচে চলে যায় তাহলে প্রভূত অসুবিধার সৃষ্টি হয়- যেমন ওয়ার্কফোর্স কমে যাওয়া, বয়স্ক প্রজন্মের খেয়াল রাখার জন্য তরুণ প্রজন্মের সংখ্যা কমে যাওয়া, অর্থনীতির মন্দা, স্বাস্থ্যব্যবস্থার মূল্যবৃদ্ধি। জাপান এক্ষেত্রে এই সমস্যার সম্মুখীন হতে চলেছে।

    আমাদের দেশের TFR রিপ্লেশমেন্ট লেভেলের কাছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কি তা জানেন না? তিনি কি তথ্যের দিকে না তাকিয়েই স্বাধীনতা দিবসের দিন চিন্তিত নাকি তিনি তথ্য অস্বীকার করেন। দুটোই আমাদের ভাবনার বিষয়।

    সরকারী পক্ষ থেকে জনসংখ্যা বৃদ্ধি বিষয়ক চিন্তা প্রথম দানা বাঁধে আসামে। বিজেপি সরকার সেখানে ২০১৭ সালে জনসংখ্যা এবং নারী ক্ষমতায়ন বিষয়ক নীতি প্রয়োগ করে এই 'চিন্তা' দূর করতে। ২০০১ সালে আসামে TFR ছিল ৩.২। এটি এক দশকের মধ্যে ২.২ হয়ে যায় কোনোরকম নীতি প্রয়োগ ছাড়াই। আসামের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত বিশ্ব শর্মা, যিনি ২০১৭ সালে অর্থমন্ত্রীও ছিলেন, তিনি বলেন ' সমীক্ষা বলছে যে হিন্দু জনসংখ্যা কমছে এবং সংখ্যালঘু জনসংখ্যা বাড়ছে। আমাদের স্বদেশীয় মানুষদের অধিকারের কথা ভাবতেই হবে'

    সুতরাং আসল চিন্তার বিষয় এটাই- 'সংখ্যালঘু' জনসংখ্যা বৃদ্ধি। মুখ্যমন্ত্রী হবার পর শর্মার প্রথম কাজটিই ছিল আসামের মুসলিম জনসাধারণকে একটি 'উপযুক্ত' ফ্যামিলি প্লানিং করতে বলা। শর্মা ভবিষ্যৎদ্রষ্টা, তিনি বলেন বাসস্থানের জন্য লড়াই তীব্র আকার নেবে যদি না জনসংখ্যা আয়ত্তের মধ্যে থাকে। আমি একটি ইন্টারভিউ দেখেছি যেখানে তিনি বলছেন " আমার নিজের বাড়ি হয়তো বেদখল হয়ে যাবে একদিন" তিনি বলেন ২০২১ সালের ২৮শে জুন আসাম সরকার নির্দিষ্ট নীতি প্রয়োগ করবে সংখ্যালঘু জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করা যায় যাতে দারিদ্র এবং অশিক্ষা দূর হয়। সুতরাং prodhan লক্ষই হলো মুসলিম জনসংখ্যা কমানো।

    কিন্তু ২০২০ সালের ডিসেম্বরে প্রকাশিত ন্যাশনাল ফ্যামিলি হেলথ সার্ভে(NFHS-5) আমাদের আসাম সম্পর্কে কী তথ্য দেয়? এই সার্ভে আমাদের জানায় যে আসামে মুসলিম সম্প্রদায়ের TFR হচ্ছে ২.৪। এটি হিন্দু (১.৬) এবং খ্রিস্টানদের(১.৫) TFR এর থেকে বেশি। কিন্তু আসল কথা হলো ২০০৫-০৬ সালে আসামে মুসলিম সম্প্রদায়ের TFR ছিল ৩.৭ যা ২০১৯-২০ সালে হয়ে যায় ২.৪ যা রিপ্লেসমেনেট লেভেল থেকে.৩ বেশি। কিন্তু তথ্য কে চায়? মানুষকে ভয় পাওয়াতে হবে। এই ভয়ের জোরেই ২০২১ সালে আসামে বিজেপি সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন লাভ করে এবং ভয়ের ফেরিওয়ালা অর্থমন্ত্রী শর্মা আসামের মুখ্যমন্ত্রী হন।

    তবে শুধু আসাম কেন, বিজেপি শাসিত অন্যান্য রাজ্যেও একই খেলা। আসামে বিজেপি ভোটের তিন বছর আগে যা করেছিল উত্তরপ্রদেশে যোগী সরকার ভোটের ছমাস আগে তাই করে। আদিত্যনাথের উত্তরপ্রদেশ সরকার দাবী করে যে ৯ই জুলাই ২০২১ সালে যে বিলের খসড়া তারা প্রকাশ করে তা তিন বছর ধরে বানানো হচ্ছে। আদিত্যনাথ ঘোষণা করেন যে এই বিল ২০২১-৩০ সালের জন্য ভাবা হয়েছে এবং এর প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে ' বিভিন্ন সম্প্রদায়ের জনসংখ্যা বৃদ্ধি আয়ত্তে আনা।'

    এই বিলে যাঁরা দুই সন্তান নীতিতে রাজী হবেন তাঁদের জন্য পুরস্কারের কথা লেখা আছে। যাঁরা সরকারী কর্মচারী তাঁরা যদি এই নীতি পালন করেন তাহলে ১২ মাসের সবেতন ছুটি পেনশনে তিন শতাংশ বৃদ্ধি। যদি স্বামী একটি সন্তানের পর ভ্যাসক্টমী করিয়ে নেন তবে পুত্র সন্তান হলে ৮০০০০ টাকা ও কন্যা সন্তান হলে একলাখ টাকা পাবেন। আর যাঁরা দুয়ের অধিক সন্তান জন্ম দেবেন তাঁরা সরকারী চাকরি পাবেন না, রেশন পরিবারের চারজনের জন্যই দেওয়া হবে।

    কিন্তু ইউপি তে কি এরকম নীতি প্রয়োজন। সে রাজ্যের TFR কী? দুর্ভাগ্যবশত কোভিড১৯ এর জন্য সে রাজ্যে NFHS-5 হয়নি। আমাদের NFHS-4 এর তথ্যের উপরই নির্ভর করতে হবে। এই সার্ভের মতে ইউপির ২০১৬ সালে TFR ছিল ৩.১। ওয়ার্ল্ড ডাটা আটলাস এর মতানুযায়ী ২০১৮ সালে এটি হয় ২.৯। ইউপির সরকারের মতে ২০২১ সালে TFR ছিল ২.৭। নতুন নীতির লক্ষ্য হল ২০২৬ এর মধ্যে এটিকে ২.১ এ নিয়ে আসা। হ্যাঁ, পাঁচ বছরে ০.৬ কমানো। যদিও তার জন্য সরকারকে এই নীতি প্রয়োগ না করলেও চলতো কারণ সারা দেশেই TFR নিম্নমুখী। সুতরাং বোঝাই যাচ্ছে যে এটি বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে একটি ভারসাম্য বজায় রাখার চেষ্টা। মুখ্যমন্ত্রীর নিজের ভাষায়, " বিভিন্ন সম্প্রদায়ের জনসংখ্যার মধ্যে একটি ভারসাম্য বজায় রাখার চেষ্টা করতে হবে"। এবার দেখা যাক সত্যিই উত্তরপ্রদেশে জনসংখ্যার ভারসাম্য নিয়ে চিন্তার কোন বিষয় আছে কিনা। চলুন দেখে নিই হিন্দু ও মুসলিম মহিলাদের TFR এর পার্থক্য এবং বুঝে নিই যে এরকম কড়া নীতির কোন প্রয়োজন আছে কিনা।

    ২০০১ থেকে ২০১১সালের মধ্যে হিন্দু TFR ১.৫ কমে যায়। যা ছিল ৪.১ তা নেমে আসে ২.৬ এ।
    এই একই সময়ে মুসলিম TFR ১.৯ কমে যায়। যা ছিল ৪.৮ তা হয় ২.৯। দেখাই যাচ্ছে যে হিন্দু মুসলিম TFR এর পার্থক্য দিন দিন কমেই আসছে। ২০০১ সালে এই পার্থক্য ছিল ০.৭ এবং ২০১১ সালে তা কমে হয় ০.৩। সর্বশেষ পাওয়া তথ্য অনুযায়ী হিন্দু ও মুসলিম উভয়েরই TFR কমছে। কোন রাজ্যেই TFR বাড়ছে না বা এক জায়গায় দাঁড়িয়ে নেই। সর্বত্রই TFR কমছে।

    কিন্তু তথ্য কে চায়? শুধু দরকার ভয়। 'আমাদের' দারিদ্রের কারণ 'ওদের' জনসংখ্যা বৃদ্ধি।

    উত্তরপ্রদেশের এই বিল সম্বন্ধে অনলাইন কিছু মন্তব্য পড়লেই বোঝা যাবে যে এই ভয় কাজে দিচ্ছে।
    ১. "এদের ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়া হোক নয়তো এরা [আমাদের ] হারিয়ে দেবে।"
    ২. "এই নীতি সারা ভারতে চালু করা উচিত।"
    ৩. "যারা একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্যে জনসংখ্যা বৃদ্ধি করে তাদের কী যায় আসে যে তারা সরকারী চাকরি পেল কি পেল না। আপনারা যদি সত্যি জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে আনতে চান তবে তৃতীয় সন্তান জন্মের পরই ৫ লাখ টাকা জরিমানা করুন।"

    ইউপি সরকারের বিলের খসড়ার পরই কর্ণাটক ও বিহারের বিজেপি সরকার চাইছে এরকম বিল পাশ করতে। কর্ণাটকের বিজেপি নেতার মতে " জনসংখ্যা বিস্ফোরণ ঘটলে আমরা প্রতিটি নাগরিকের চাহিদা মেটাতে পারবো না কারণ সম্পদ সীমিত।" বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার এক বক্তৃতায় বলেন যে বিহারের ফার্টিলিটি রেট কমছে। বিজেপি নেতা বলেন,"কমেছে হিন্দুদের, মুসলিমদের নয়"। তিনি আরও বলেন যে " সম্পদের পরিমাণ সীমিত এবং কিছু মানুষ জনসংখ্যা বৃদ্ধি করে ভারতকে ইসলামিক রাষ্ট্রে পরিণত করতে চায়। "

    কিন্তু রাষ্ট্রের অবস্থান ঠিক কোথায়? সুপ্রিমকোর্টে দুই সন্তান নীতি চালু করার জন্য একটি PIL এর বিরুদ্ধে ভারতীয় সরকার জানায় ভারতের TFR ক্রমশই কমছে এবং আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রের অভিজ্ঞতা থেকে জানা যায় যে একটি নির্দিষ্ট সংখ্যক সন্তানের নীতি আসলেই অকাজের। ভারতের TFR ২.২ তাই স্বাস্থ্য মন্ত্রক ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক দুই সন্তান নীতি খারিজ করে দেয়।

    এই ঘটনা ঘটে প্রধানমন্ত্রীর ২০১৯ সালের ভাষণের যেখানে তিনি জনবিস্ফোরণ নিয়ে চিন্তিত ছিলেন তার দেড় বছর বাদে।
    এই ঘটনা ঘটে আসাম জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ নীতি প্রয়োগের দুবছর বাদে।
    এবং এই ঘটনার আট মাস বাদে উত্তরপ্রদেশ সরকার জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ বিলের খসড়া পেশ করে।

    তাহলে কোনটা নীতি আর কোনটা রাজনীতি?

    সরকার মহামান্য আদালতকে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ সম্বন্ধে যা জানায় তা হল নীতি এবং প্রধানমন্ত্রী তাঁর লালকেল্লার ভাষণে যা জানান তা রাজনীতি। বিজেপি শাসিত রাজ্যে যা হচ্ছে তা সেই একই রাজনীতি। 'আমরা' বনাম 'ওরা'র রাজনীতি। যাতে আমরা 'ওদের' ভয় পাই। 'আমরা' 'ওদের'  ত্যাগ করি। 'আমরা' বিজেপিকে ভোট করি, 'আমাদের' ধর্মের স্বার্থে, ভাষার স্বার্থে, 'শুধুমাত্র আমাদের' পরিচয়ের স্বার্থে।
    পারাকালা প্রভাকরের ২০২১ সালের লেখা এক প্রবন্ধের অক্ষম অনুবাদ। না, দায়িত্ব কেউ দেয়নি, তবে দায় তো থেকেই যায়।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • :|: | 174.25.***.*** | ৩০ মে ২০২৪ ০০:০২532490
  • লেখা নিয়ে বক্তব্য নাই।
    কিন্তু কাকু শব্দটির ব্যবহার এক্ষেত্রে ঠিক না। 
    "আমার মায়ের মা ১৩টি সন্তান প্রসব করেন ... তাঁর কিছু সন্তান তাঁর নাতি নাতনির থেকেও ছোট ছিল। অন্যভাবে বলতে গেলে আমার কিছু কাকু আমার বড়দিদির থেকে বয়সে ছোট।"
    মায়ের ভাই মামা। কয়েকজন মামা বড়দিদির থেকে ছোটো।
  • Jishnu Mukherjee | ৩০ মে ২০২৪ ০০:২৩532492
  • ঠিকই বলেছেন 
  • অরিন | 2404:4404:1732:e000:e032:a6d5:279e:***:*** | ৩০ মে ২০২৪ ০১:৫৯532495
  • ভাল লিখেছেন, তবে যতদিন না ভারতের পরবর্তী সেনসাস সমাপ্ত হয়ে রিপোর্ট বেরোবে প্রকৃত চিত্রটি স্পষ্ট হবে না। টিএফআর বিভিন্ন রাজ্যে, জনগোষ্ঠীতে বিভিন্ন রকম হবে, সামগ্রিক দিয়ে পুরো ছবিটা বোঝা যাবে না। একেকটা পরিবারের গল্পও অ্যানেকডোটাল। ফ্যামিলি হেল্থ সারভে খুবই কাজের তবে সেও তো সারভে সেনসাস নয় তো, যার জন্য তাকে সেনসাসের মত ব্যবহার করা যাবে না। 
  • যোষিতা | ৩০ মে ২০২৪ ০৩:১২532496
  • ইংরিজি uncle থেকে অনুবাদ করতে গিয়ে মামা হয়ে গেছেন কাকা।
    TFR এর ক্ষেত্রে বন্ধ্যা এবং সমকামী নারী এবং আরও অন্যান্য ফ্যাকটর কি মাপা হয়?
  • Jishnu Mukherjee | ৩০ মে ২০২৪ ০৪:২০532497
  • TFR আসলে সন্তানসংখ্যার উপর নির্ভর করে। বন্ধ্যাত্ব বা সমকামীতা TFR এর উপর সরাসরি প্রভাব না ফেললেও সেম সেক্স ম্যারেজ TFR কমিয়ে দেবে তা বলাই যায় 
  • Suvasri Roy | ৩০ মে ২০২৪ ০৯:৪৯532498
  • লেখকের দৃষ্টিকোণ বৈজ্ঞানিক। আর এদের তো... একটা ভয়, একটা আতঙ্ক ভাসিয়ে দিলেই হল। কে বা তথ্য ঘাঁটছে?
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। হাত মক্সো করতে মতামত দিন