বলিভিয়া ভেনেজুয়েলায় চালচুরি হয়?
এখন বোধহয় ই বা ঈ দুটোই চলে। অন্ততঃ স্কুলের পরীক্ষায় নম্বর কাটে না।
ই
একটা কোশ্নো বড় কুটকুট করে, বানানবিদদের জিগৈ - রাজনৈতিক না রাজনৈতীক? সবাই দেখছি ঈ ব্যবহার করছেন, ই তো আগে দেখতাম মনে হয়।
অবশ্য নব্য বানামবিধি নাকি যেখানে খুশী ই ঈ দিলেই হল !
নাট্যকার এবং অভিনেতা হিসাবে ব্রাত্য অতুলনীয়। যদিও কিছু আজে বাজে কাজও করেছেন, কিন্তু সেগুলো বাদ দিলাম। রাজনৈতীক নেতা নেত্রী সবাই হতেই পারেন, সব ওয়াক অব লাইফ থেকেই আসতে পারেন। অন্তত দুইদিনের সিরিয়াল করা লোকজনের থেকে বেটার, যারা একমাস আগেও জানতো না কোন দলে, তারা আজকে প্রার্থী। কিন্তু এই লোকগুলোর সাধারণত একটু বেশি সেনসিবল হওয়ার কথা, ইন্ডিপেন্ডেন্ট থিন্কার থাকার কথা। উল্টে পার্টিজান হয়ে এরা এত আজে বাজে বকেন।
এইসব ব্রাত্য ইত্যাদিরা তো মূলতঃ অভিনেতা। নেতা নয়। এ১ন্দের নেতা হবার কথা কস্মিনকালেও ছিল না। নাটক সিনেমা ইত্যাদি ভালো করতেন, করেন। হঠাৎ "খাচ্ছিল তাঁতী তাঁত বুনে" কেস। ফটাফট সব রাজনীতিতে নেমে ঘাসফুল তুলে মাথায় গুঁজলেন।
ব্রাত্য বসু বললেই আমার মনে পড়ে, "ইচ্ছে "সিনেমার সেই বিখ্যাত দৃশ্য, সক্কালবেলায় বাচ্চাটাকে টেনে ঘুম থেকে তুলে ওর মা পড়াচ্ছেন, "পাখি কী বলে? " আর বাবারূপী ব্রাত্য বিছানায় কানে বালিশ চেপে "সকালবেলায় পাখি পাখি পাখি...প্রভু, প্রভু গো, মুক্তি দাও, মুক্তি দাও।"
ঃ-)
সেদিন দেখলাম সঙ্গে সুমনের বিতর্ক সভায় ব্রাত্য বসু বলে দিলেন যে এখন দুনিয়ার সর্বত্র নব্য বামপন্থা চলছে। সেগুলোতে নাকি একজন খুব শক্তিশালী নেতা বা নেত্রী থাকেন, আর তার নীচে অসংখ্য ছোট নেতা থাকে। এইটাই নাকি মডেল। ঐসব পলিটব্যুরো টুরো থাকেনা। ভেনেজুয়েলা আর বলিভিয়াতে নাকি এইভাবেই চলছে। ইঙ্গিতটা স্পষ্ট। এর মানে দিদিই নব্য বাম আর তিনো নাকি বাম পার্টি।
এক, সবার এত বাম হওয়ার প্রয়োজন কেন বুঝিনা। এখন দেখি সবাই নিজেকে বাম প্রমাণ করতে ব্যস্ত। এটাই বোধয় নতুন ফ্যাড। বলিউডও নাকি লিবারল। প্রিয়ান্কা হলিউডে যেতে সবার মাথা ঘুরে গেছে, সবাই ভাবছে যে কবে অনসাইট যাবে। এদিকে হলিউড আপাতত লিবারল (তাদেরও বিশেষ কারণ আছে), তাই বলিউডও লিবারল সাজছে। আর এই সমস্যায় সবথেকে জর্জরিত বাংলার আঁতেল সমাজ। একদিকে ভাতাও চাই, কারণ তাদের নিজেদের নাটক সিনেমায় বাড়ি গাড়ি বিদেশ ভ্রমণ হয়না, অন্যদিকে বাম ব্যাপারটা বেশ ছেকছি। তাই দিদিকে পোকিত বাম বানিয়েই ছাড়বে।
দুই, এইরকম একটা মডেল ভালো কেন সেটাও তো বুঝলাম না। যেটুকু গণতন্ত্র বুঝেছি, তাতে তো একজন খুব শক্তিশালী নেতা থাকা খুবই গণতন্ত্র বিরোধী। ডিক্টেটারশিপ অব প্রোলিতেরিয়েতের এটা একটা মস্ত বড় সমস্যা। ছোটবেলা থেকে তো তাই জেনে শুনে এলাম।
তিন, মোটেও এই দেশগুলোর মডেল এরকম নয়। সেখানেও সেন্ট্রাল কমিটি, পলিটব্যুরো আছে। হয়তো অন্য নামে, অন্য ফর্মে। কারণ বাম পার্টির মডেলই ঐরকম। নর্থ কোরিয়া আর চীনেও চিরকাল প্রিমিয়ার প্রচন্ড পাওয়ারফুল থেকেছে। সেখানেও সেন্ট্রাল কমিটি, পলিটব্যুরো ইত্যাদি আছে। একটু উইকিপিডিয়া সার্চ করে বক্তব্য রাখলেও তো পারে লোকজন।
:-))
যযেততে গোষ্ঠী। যখন যেমন তখন তেমন। ঃ-)
যযেততে লিখে দেখি কেমন যেন যযাতি যযাতি দেখাচ্ছে। ঃ-)
এদের অনেকেই যখন যেটা বললে সুবিধা হয় সেটা বলে। মমতা যখন ক্ষমতায় এল তখন ওনার খারাপ ভাষা ও আচরণ কারো খারাপ লাগলে বলত উনি সাব অল্টারন মশাই। ব্রাহ্মণের মেয়ে কি করে সাব অল্টারন হয়? তখন একবেলা চুপ করে থেকে বলতে শুরু করল, সাধারণ অশিক্ষিত অল্পশিক্ষিত মানুষের ভাষা ওরকমই হয়। মমতা তো আবার এম এ, এলএলবি। পিএইচডিটা না হয় ছেড়েই দিলাম। তখন বলতে শুরু করল উনি মন্ডল, মতুয়া এদের কত গুরুত্ব দিচ্ছেন। মতুয়ারা বিজেপি হবার পর এখনো কিছু বলেনি। তবে এখন মীনাক্ষী এদের উল্টোপাল্টা বলছে।
:-))
অবশ্য বোঝার জন্য মাঝে একজন ইন্টারপ্রিটার লাগবে। আঁতেলরা কী বলেন, বোঝা তো কঠিন। পাঠোদ্ধার করে তারপরে তো উল্টোদিকে দৌড়ানো। ঃ-)
আমার একটা সহজ হিসেব আছে। কীকরে বুঝবো কোন রাস্তায় যাবো? খুব সোজা। আঁতেলদের খেয়াল করবো। তাঁরা যা বলবেন, তার উল্টোদিকে দৌড় দেবো। ঃ-)
এটা বেশ লাগল। বিজেপি আসলে বাজে জুজু। তাহলে আর বিজেপি এসে পড়ল এসে পড়ল সেসবে কান দিয়ে কী হবে? :-)
বিজেপি আর তার শক্তি কে প্যাথোলজিকাল মমতা বিরোধী আর ভীতুরা ছাড়া কেউ গুরুত্ব দেয় না। তবে যারা আগে দিয়েছে এখনি তাদের সংখ্যা কমছে, ভবিষ্যতে আরো কমবে, কিছু দিন পরে কেউই পাত্তা দেবেনা।
মূলোগুলোকে উন্মূলিত করে ভারত মহাসাগরে ফেলে দিন। যত তাড়াতাড়ি এই আপদ বিদায় হয়, ততই মঙ্গল।
ডিসি, আছেন? আপনার তো বহুদিন ধরে সেই ভদ্রলোককে নিয়ে লেখার কথা, টইটা পড়েই আছে অর্ধেক হয়ে। ওদিকে ওই ভদ্রলোক নোবেলও পেয়ে গেলেন করোনার মধ্যে। এবার তো লিখুন পেনরোজের কাহিনি।
ভোটে , জ্যামিতিতে, ধাঁধায়, মিউয়নে, গুন্ডামিতে, আস্তিকে, নাস্তিকে, ভূতে, ভগবানে,বামে, ডানে ----ওহ্হ্হ, একেবারে ছয়লাপ কান্ড।
এই ছয়লাপের মানে আগে জানতাম না। কিন্তু দিব্যি ব্যবহার করতাম, কোনো অসুবিধে ছিল না। সেদিন ফেবুতে একজন বুঝিয়ে দিলেন সয়লাব থেকে এসেছে ছয়লাপ। কোন ভাষা সেটাও বলেছিলেন।
এহে ফুটকিরা বড্ড ইনসিকিয়োর।
S, আপনার পয়েন্টগুলো খুবই ঠিক।
আহা, আপনি হুক্কাহুয়া কত্তে থাকুন না, কেউ তো বারণ কচ্চে না। কিন্তু যদি ভাবেন যে এই তো কিরম পালটা দিলুম তখন এটুকুই বলার যে গুচু একটি আদিগন্ত শ্বশুরবাড়ি ভাই। এখানে কেউই কাউকে দ্যায় না। এইটে যত তাড়াতাড়ি রিয়েলাইজ করবেন তত দেখবেন ব্যথা কম লাগছে।
অভ্যু, এইসব তারকাদের প্রার্থী করী হয়েছে কয়েকটা কারণে। চট করে এদের মুখ পরিচিতি থাকে। ফলে সহজে ক্যাম্পেইনিং করা যায়। তাছাড়া কেউ কেউ তারকাদের ভোট দিতে পছন্দ করেন। দুই, সীট ভরতে সুবিধা হয়, বিশেষ করে নিজের দলে যথেষ্ট প্রার্থীযোগ্য লোক না থাকলে। তিন, যেহেতু এদের নিজস্ব কোনও পলিটিকাল ক্যাপিটাল নেই, তাই এরা পুরোপুরি নেতৃত্বের নিয়ন্ত্রণে থাকে।
দুপয়সার ফুটকি ফুট কাটলে কিঞ্চিৎ পালটা ইতিহাস শুনতে হবেক। রাজ্যটা তো হামবাগ টিভি হয়ে যায়নি যে কেবল রামবামের হুক্কাহুয়া শোনা যাবে।
আদুরে মেয়ে এবং আইবুড়ো ননদ প্রসঙ্গেই। কবিতাদেবীর বক্তব্যই পড়েছিলাম মনে হচ্ছে। এখন উনি এইসব কেলেঙ্কারী দেখে না জানি কত কষ্ট পাবেন।
কাজের মাসির আইডিয়াটা খুবই খারাপ আর এই মিমি নুসরতদের টিকিট দেওয়ারই কোনো যুক্তি খুঁজে পাই না। তবে এখন "বেড টি পাইনি"ই যদি বাসুদেববাবুকে হারাতে পারেন তাহলে আর কথা কি? তবে সিপিয়েমেরও একটা মিম ছিল, বাংলার আদুরে মেয়ে আর বাংলার আইবুড়ো ননদ বলে।
হানুদার পোস্টই একমাত্র যা ভালো লাগে :)
কবিতা কৃষ্ণানের কাছে কেউ পৌঁছে দিক এসেস। একটু ওঁর বক্তব্য শোনা যাক না হয়। বিজেমুলের উঠতি দুপয়সাদের কথা শুনে আর কী করব...
খুবই কদর্য ব্যাপার। এসব বন্ধ হওয়া দরকার। এই দেখুন্না কদিন আগে জনৈক জোটসঙ্গী নুসরতকে গাছে বেঁধে পেটানোর হুমকি দিচ্ছিল। তখন সমোস্কিতিবাজ ফুটকিরা লিবারেল ব্যাশিং করতে ব্যস্ত ছিল। হিপোক্রিসি কি ভি......
ওহ্হ্হ্হ। ওরে বাবা, একদিন বাদ্দিয়ে গুর্চতে এসে দেখি ঝড় ঝঞ্ঝা প্রভঞ্জন বয়ে গ্যাছে।
ঠিকই বলেছে। ওরাই একমাত্র কাজের লোক। ওদের শিক্ষাগত যোগ্যতাও বেশি।
বিজেমুল নতুন মিম নামিয়েছে যেখানে দ্যাখানো হচ্ছে যে শ্রাবন্তী পায়েলরা হচ্ছে বাঙালী বাড়ির সেক্সি বৌদি, মিমি নুসরতরা হচ্ছে সে বাড়ির স্টাইলিশ বোন বা দিদি, আর দীপ্সিতা ও মীনাক্ষী হচ্ছে সে 'কাজের মাসি'।
ওয়েল ডান নিম্নমেধারা। :)
বিজেপি আর তার শক্তি কে প্যাথোলজিকাল মমতা বিরোধী আর ভীতুরা ছাড়া কেউ গুরুত্ব দেয় না। তবে যারা আগে দিয়েছে এখনি তাদের সংখ্যা কমছে, ভবিষ্যতে আরো কমবে, কিছু দিন পরে কেউই পাত্তা দেবেনা।