এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  আলোচনা   ইতিহাস

  • বুদ্ধ জয়ন্তী কুইজ

    Ranjan Roy লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | ইতিহাস | ১৮ জুলাই ২০২৫ | ১২০৪ বার পঠিত
  • বুদ্ধ জয়ন্তী পার হয়ে এসেছি প্রায় দু'মাস হল।
    ইচ্ছে হচ্ছে আজ বুদ্ধজয়ন্তী কুইজ হোক।
    অরিন আছেন,  ভুল হলে ধরিয়ে দেবার জন্য। 
    ফের শুরু হবে মহাভারত কুইজ ৪।
     
    প্রশ্নমালা
    ১ সিদ্ধার্থ কোন বয়সে গৃহত্যাগ করেন? তখন ছেলের বয়েস কত?
     
    ২ কোন নদীর তীরে বসে ধ্যান করে বোধিলাভ?
     
    ৩ ওঁর  প্রথম দুই যোগগুরু কারা? ওঁদের  ছাড়লেন কেন?
     
    ৪  বৌদ্ধ দর্শনের মূল সত্য বা আর্যসত্য  কয়টি এবং কী কী? 
     
    ৫ দুঃখের কারণ কী?
     
    ৬ দুঃখ বিনাশের উপায় কী?
     
    ৭ সেই উপায়এর প্রয়োগে পন্থা কী? 
     
    ৮ অষ্টাঙ্গ মার্গ  বা আটটি মার্গ বলতে কী বলা হয়?
     
    ৯ কোন দর্শন শাশ্বত অবিনশ্বর পরমাত্মায় বিশ্বাস করে?
     ক বেদান্ত, খ বৌদ্ধ গ উভয়েই।
     
    ১০ কোন দর্শন দেহের অতীত আত্মায় বিশ্বাস করে?
    ক বেদান্ত, খ বৌদ্ধ গ উভয়েই।
     
    ১১  কোন দর্শন ব্রহ্মাণ্ডের সৃষ্টিকর্তা ঈশ্বরে আস্থাশীল?
    ক বৌদ্ধ, খ বেদান্ত  গ উভয়েই।
     
    ১২  কোন দর্শন বাস্তব জগতের কার্যকারণ তত্ত্বে ( ল' অফ কজালিটি)  বিশ্বাসী?
     ক বৌদ্ধ খ বেদান্ত গ উভয়েই
     
    ১৩  বুদ্ধদেব কি শাকাহারী ছিলেন? 
     
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Apu | 14.194.***.*** | ১৮ জুলাই ২০২৫ ১৩:৪৯745316
  • ১৩।  উনি কচুর শাগ বাদ দিয়ে সবা ই খেতেন . বিশেষ করে লাউ এবং নটে শাগ ওনার প্রিয় ছিল বলে গোপন সূত্রে প্রকাশ 
  • kk | 2607:fb91:1027:4e3c:2cea:dc9b:8918:***:*** | ১৮ জুলাই ২০২৫ ২১:২৭745317
  • এই টইয়ে তো অরিনবাবু সবচেয়ে ভালো বলতে পারবেন। ফুটিচার সাহেব ও আরো অনেকেও অবশ্য পারবেন। তো আমি অল্প কিছু বলে যাই।

    ১) সিদ্ধার্থ যখন গৃহত্যাগ করেন তখন ওঁর বয়স ছিলো ঊনত্রিশ। রাহুলের বয়স কত ছিলো সেই নিয়ে আমি একটু ধন্ধে আছি। কোথাও পড়েছিলাম তখন রাহুল তিন বছরের ছিলো, আবার অন্য কোথাও পড়েছি সেইদিনই সে জন্মেছিলো, ইয়েট অ্যানাদার জায়গায় পড়েছি ওর বয়স তখন এক বছর ছিলো। কোনটা ঠিক?

    ২) নৈরঞ্জনা নদী।

    ৪)বৌদ্ধ দর্শনে মূল সত্য বা আর্য সত্য চারটে। প্রথম - দুঃখ (সাফারিং) এই জীবনে অনিবার্য। দুঃখ ছাড়া জীবন হয়না এবং কেউই এর থেকে একজেম্পট নয়। দ্বিতীয় -- যত দুঃখের কারণ হলো প্রধানত দুটি। আঁকড়ে থাকা বা তৃষ্ণা (অ্যাটাচমেন্ট বা ডিজায়ার) আর মুখ ফিরিয়ে থাকা (অ্যাভার্শান)। তৃতীয় -- দুঃখ বা সাফারিং থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। চতুর্থ -- সঠিক রাস্তায়(ষ্টাঙ্গিক মার্গ) চলা হলো এই মুক্তি পাবার উপায়। দেখুন, বৌদ্ধ দর্শন নিয়ে আমি যা কিছু পড়েছি তা ইংরেজি বইপত্র থেকে। বাংলায় অনুবাদ করতে অত ভালো হয়তো পারছিনা। কাজেই ওটুকু ছাড় দিয়ে দেখতে হবে।

    ৫) দুঃখের কারণ কী সেটার উত্তর কয়েক ভাবে দেওয়া যায়। এক তো আগে যেমন বলা হয়েছে অ্যাটাচমেন্ট ও অ্যাভার্শন, সেটা মূল কারণ। এছাড়াও তাকে আরো ভাঙলে পাওয়া যায় আরো তিনটে কারণ বা তিনটে 'বিষ' হলো লোভ (এও ঐ তৃষ্ণা বা আঁকড়ে থাকার আরেক নাম), ঘৃণা (এটা ঐ অ্যাভার্শানের আরেক নাম) ও ইগনোরেন্স বা ডিলিউশন (যা সত্যি নয় তাকেই সত্যি বলে ভাবা)। এবার ঐ ইগনোরেন্সকে আবার তিনটে ভাগে ভাঙা যায়। এক - সিংগুলারিটি -- মনে করা আমি, আমার এই বোধটাই সব। দুই -- পার্মানেন্স -- মনে করা জগতে যা কিছু আছে কিছুই বদলাবেনা, সব একই রকম থাকবে। তিন -- ইন্ডিপেন্ডেন্স -- মনে করা আমি একাই সম্পূর্ণ, অন্যের সাথে তার কোনো সম্পর্ক নেই।

    ৬) তো আগের উত্তরের জের থেকে দুঃখ বিনাশের উপায়গুলোর মধ্যে একটা বড় হলো ঐ ইগনোরেন্সকে ট্যাকল করা। তার তিনটে রাস্তা হলো বুঝে নেওয়া যে প্রথমত জগতে সবকিছুই পরিবর্তনশীল ও অনিত্য। দ্বিতীয়ত -- আমি বা সেল্ফ আসলেই একটি ভুল ধারণা। যা ঠিক তা হলো নন-্সেল্ফ বা অনাত্ম। তৃতীয়ত -- আমার স্বয়ং সম্পূর্ণতা বলতে এখানে কিছুই নেই, আসলে যা আছে তা হলো ইন্টার ডিপেন্ডেন্স।

    ৮) আট টা মার্গ হলো (অর্ডার ভুল হতে পারে) -- সঠিক দৃষ্টি, সঠিক বাচন, সঠিক চিন্তা, সঠিক কাজ, সঠিক লাইভলিহুড (এর বাংলা কী হবে?, দুত্তোর সব গুলোর বাংলা করতে পারছিনা, যেমন জানি তাই লিখি), রাইট মাইন্ডফুলনেস, রাইট এফোর্ট, ও রাইট কনসেন্ট্রেশন।

    ৯) ও ১০) উভয়েই
    ১১) বেদান্ত
    ১২) বৌদ্ধ তো বটেই, বেদান্ত কিনা জানিনা। কাজেই হয় ক নয় গ।

    ১৩) বুদ্ধদেব স্ট্রিক্ট নিরামিষাশী ছিলেননা। উনি বলেছিলেন যে নিজের সুখের জন্য কোনো প্রাণীকে মারা ঠিক কাজ নয়। কিন্তু সেভাবে না হলে আমিষ খেতে মানা নেই। বা কেউ যদি ভিক্ষায় আমিষ কিছু দিলো তো সে খেতে বাধা নেই (এই খাবোনা, ঐ খাবোনা করবেনা, লক্ষ্মী বাচ্চার মত যা দেওয়া হবে তাই খাবে) ইত্যাদি।
  • r2h | 165.***.*** | ১৮ জুলাই ২০২৫ ২১:৩১745318
  • ব্রতীনদা :D :D :D
  • &/ | 107.77.***.*** | ১৮ জুলাই ২০২৫ ২১:৩৪745319
  • কচুর শাক খেতেন না কেন ? গলা  চুলকায় বলে ? 
  • &/ | 151.14.***.*** | ১৯ জুলাই ২০২৫ ০১:০১745320
  • কেকে, আমার দুইখান কথা আছে। দুঃখের কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে অ্যাটাচমেন্ট বা ডিজায়ার আর মুখ ফিরিয়ে থাকা বা অ্যাভার্শন। এই দুটো তো বিপরীত জিনিস! দুটোই দুঃখের কারণ? তাহলে একটা কাটাতে গেলে তো আরেকটার মধ্যে গিয়ে পড়তে পারে লোকে!
  • kk | 2607:fb91:1027:4e3c:2cea:dc9b:8918:***:*** | ১৯ জুলাই ২০২৫ ০১:২৯745321
  • অ্যান্ডর,
    আসলে টার্মিনোলজি গুলো একটু গোলমেলে। একটু উদাহরণ দিয়ে বললে বরং ধারণাটা স্পষ্ট হয়। যেমন ধরো -- অ্যাটাচমেন্ট কেন দুঃখের কারণ? মনে করো আমার ধন-জন-যৌবনের প্রতি আমি বড়ই অ্যাটাচড। তখন এর কোনো একটা একটু খানিও কমে গেলে, বা চলে গেলে আমার মন খারাপ হবে, কষ্ট হবে। অথ্চ সত্যি তো এটাই যে এগুলো কখোনোই একই থাকবেনা। পয়সা আজ আছে কাল হয়তো রইলোনা, প্রিয় মানুষ চলে গেলো, মারা গেলো, হারিয়ে গেলো, যৌবন তো দুদিনের জিনিষ, আজই টগবগিয়ে বেড়াচ্ছি, কালই এসে ধরলো কোমর ব্যথা, হার্টের রোগ, ক্লান্তি আর পা টলমল করা। এবার যদি ধরি অ্যাভার্শানের কথা। এই অ্যাভার্শন ঠিক ঐ অ্যাটাচমেন্টগুলোর উল্টো তা নয়। এখানে অ্যাভার্শন বলতে মনে করা যে অমুক অমুক ঘটনা যেন আমার জীবনে না আসে। কষ্ট পাওয়ার অনুভূতি, একাকীত্ব, ভয়, বিচ্ছেদ, এগুলো যেন আমায় ফীল করতে না হয়। কেউ আমাকে অপমান করলো, এমনটা যেন না হয়। খেলায় আমার দল হারলো, এমন যেন না হয়। এইসব আর কী। এবার সত্যি বলতে কী এসব জিনিষ তো হবেই জীবনে। এর থেকে বাঁচার তো কোনো উপায় নেই। কিন্তু অ্যাভার্ট করলে আমরা অবশ্যম্ভাবী একটা ব্যাপারকে রেজিস্ট করছি শুধু। এ খানিকটা দু হাত দিয়ে বন্যার জল আটকে রাখার চেষ্টা করার মতো। নিষ্ফল। এর থেকে মানুষ যদি ভালো-মন্দ যাহাই আসুক সত্যকে সহজে নিতে পারে, তাহলে ঐ কষ্ট বা সাফারিং কমতে পারে। আমি যদি মনকে তৈরী রাখতে পারি যে সবই একদিন চলে যাবে, ব্যথা, ভয়, বেদনা সবই স্বাভাবিক, এগুলো সবাইকেই নিতেই হবে, তাহলে ওরা আমার শরীরকে কাঁদাবে ঠিকই, কিন্তু তার অনেক তলায় মনের নীরব শান্তিকে নষ্ট করতে পারবেনা। এই আর কী।
  • অরিন | 2404:4404:4405:700:55a9:250c:526c:***:*** | ১৯ জুলাই ২০২৫ ০২:২৩745322
  • কেকে ভারি চংৎকার করে বুঝিয়ে উত্তর লিখেছেন। তো এই অষ্টাঙ্গমার্গকে তিন ভাগে ভাগ করা হয়ে থাকে, শীল, সমাধি, "পন্ন" মানে প্রজ্ঞা। ঐভাবে এরা আটটার লিস্ট করেছে 
     
    পন্ন বা প্রজ্ঞা
     
    সম্ম দিত্তি (সম‍্যক দৃষ্টি)
    সম্ম সংকপ্প (সম‍্যক সংকল্প ) - এই জায়গাটিতে ব্রহ্মবিহারের ব‍্যাপার আসে
     
    তারপর তিনটি শীল আচার আচরণ: 
    সম্ম বাক (কথা বার্তা)
    সম্ম কম্মান্ত (কাজকর্ম)
    সম্ম অজীব (জীবিকা, লাইভলিহুড)
     
    বাকী রইল তিনটে focus 
    সম্ম ব‍্যায়াম (চেষ্টা, প্রত‍িনিয়ত করে যাওয়া)
    সম্ম সতী (এইটাই সায়েব mindfulness বলে), 
    সম্ম সমাধি (এ হচ্ছে contemplation) 
     
    আলোচনা চলুক। দারুণ হয়েছে রঞ্জনবাবু। 
  • &/ | 151.14.***.*** | ১৯ জুলাই ২০২৫ ০২:২৯745323
  • কেকে, অনেক ধন্যবাদ। অর্থাৎ প্রিয়সঙ্গবিচ্ছেদ আর অপ্রিয়সঙ্গ পাওয়া ---এই দু'টো দুঃখের কারণ। এই দুটোই মনের চোখের কোণা দিয়ে দেখে আমরা পালাতে চাই, মুখোমুখি হতে চাই না। কিন্তু মনকে ট্রেনিং দিয়ে দিয়ে রেডি রাখলে ব্যাপারটা ম্যানেজেবল হয়।
  • উত্তর | 98.114.***.*** | ১৯ জুলাই ২০২৫ ০৩:০০745324
  • 3) বৈশালীর কাছে ৭০ বছর বয়স্ক গুরু আলার কালাম, উনি ​​​​​​​সিদ্ধার্থকে আশ্রমের অর্ধেক পার্টনারশিপ ​​​​​​​পর্যন্ত ​​​​​​​দিয়েছিলেন। 
    রাজগীরের কাছে ৭৫ বছর বয়স্ক গুরু উদ্দক রামপুত্ত। উনিও একই ডীল দিতে চেয়েছিলেন সিদ্ধার্থকে রাখার জন্যে! 
     
    সিদ্ধার্থের সমস্যাটা আরো গুরুতর ছিল, এই গুরুরা কিছুটা করে পথ দেখালেও, মূলত টেকনিকাল, উনার দার্শনিক সমস্যার সমাধান করতে অপারগ হন। জন্ম-মৃত্যুর চক্র, বস্তুতপক্ষে মৃত্যুভয়, তাছাড়া অন্যান্য দুঃখ কষ্ট দুশ্চিন্তা - এসব থেকে উদ্ধার পাবার উপায় সিদ্ধার্থ এঁদের কাছে পাননি! তাই ছাড়লেন। 
     
    9) বৌদ্ধ ধর্ম কি অবিনশ্বর পরমাত্মায় বিশ্বাস করে? যদ্দূর মনে হয়, না। এইটে একটা মূল তফাত।
  • অরিন | 2404:4404:4405:700:d5bc:2e73:f30b:***:*** | ১৯ জুলাই ২০২৫ ০৩:১৯745325
  • "বৌদ্ধ ধর্ম কি অবিনশ্বর পরমাত্মায় বিশ্বাস করে? যদ্দূর মনে হয়, না। এইটে একটা মূল তফাত।"
    বৌদ্ধ ধর্মে কিছুই "অবিনশ্বর" নয় ।
  • kk | 2607:fb91:1027:4e3c:2cea:dc9b:8918:***:*** | ১৯ জুলাই ২০২৫ ০৪:৫২745326
  • আমাকে একটা জিনিষ একটু বুঝিয়ে দিন কেউ। যার জন্ম নেই বা মৃত্যু নেই, তাকে অবিনশ্বর বলা যাবে না যাবেনা?
  • হিজি-বিজ-বিজ  | 149.142.***.*** | ১৯ জুলাই ২০২৫ ০৫:১৪745327
  • ব্রতীন দা কি বলতে পারবে কচুর শাক ইলিশের মাথা দিয়েও কি  খেতেন না? 
  • উত্তর  | 98.114.***.*** | ১৯ জুলাই ২০২৫ ০৭:০০745328
  • "যার জন্ম নেই বা মৃত্যু নেই, তাকে অবিনশ্বর বলা যাবে না যাবেনা?" 
    কিন্তু কারই বা "জন্ম নেই বা মৃত্যু নেই"? গ্রহতারা, ইউনিভার্স, অ্যামিবা, মানুষ - কার কথাই বা হচ্ছে? বুদ্ধ কিন্তু বলেন নি তিনি মানুষকে অজড় অমর করে দেবেন! উনিও আলার কালাম বা উদ্দকের মতই শেষ পর্যন্ত মনকে মৃত্যুভয়, দুঃখ কষ্ট দুশ্চিন্তা - এসবের বাইরে এনেই সমস্যার সমাধান করেন। কেবল, পূর্বতন গুরুদের সমাধানগুলো temporary, কারণ সেসব মনকে চেতনার বিভিন্ন স্তরে ছেড়ে রেখেই খুশি ছিল - খানিকটা নেশা করে বাইরের জগত ভুলে থাকার মত। 

    বুদ্ধের সমাধান সমস্যাগুলো অগ্রাহ্য করতে বলে না। উনি পূর্বতন গুরুদের বেশ কিছু পদ্ধতি বা মেডিটেশান টেকনিক ব্যবহার করেন মনকে শান্ত করার জন্যে - তাতে ভাবনার গভীরতা বৃদ্ধি পায়। তারপরে ভাব্নার একটা ফ্রেমওয়ার্ক দেন যাতে সমস্যাগুলো categorize করা সহজ হয়। তারপরে পরিস্থিতি অনুসারে সমাধানেরও পদ্ধতিগুলো দিয়ে গেছেন।  এই জেনেরিক ফ্রেমওয়ার্ক আর solutioning য়ের পদ্ধতি - এটাই উনার যুগান্তকারী অবদান। 

    বুদ্ধ যে সমস্যার সমাধান চেয়েছেন তার রূটে গেলে আমার তো মনে হয় আজকের বিজ্ঞান জগত তাকে 'Psychology' section য়ে ফেলবে।  আর উনার সমাধান পদ্ধতি আদতে behavioural change therapy - কিন্তু এ সমাধান অনেক গভীরে যায়। তবে শেষ পর্যন্ত সমস্যাটা মানসিক, এবং সমাধানও মানসিক - পার্থিব জগতে তাতে কিছুই পাল্টাচ্ছে না। 

    সবচেয়ে বড় কথা, অন্যান্য ধর্ম এরকম সমস্যার সমাধান করতে যেখানে 'অবিনশ্বর' ঈশ্বর ও আত্মার সাহায্য নিয়েছে, বুদ্ধ তাঁর ফ্রেমওয়ার্কয়ে এরকম কোন  assumption তো নেনই নি, বরং উল্টোটা - Change is the only permanent. (অরিনলান যেমনটি বললেন)।  
    [ বুদ্ধের পদ্ধতির একটা বড় সমস্যা সম্ভবতঃ এখান থেকেই আসে - শিবাংশুদাও মাঝে মধ্যেই point out করেছেন - বড় সেরিব্রাল। ধ্যান করতে কেউ চায় না, কারোর সময় নেই, ইচ্ছে করে না! তার থেকে অনেক সোজা একদিকে ঈশ্বর থেরাপি, অন্যদিকে ফার্মাকোথেরাপি। Sorry for the vent out. ] 
     
    এতগুলো শব্দ লেখার পরে মনে হচ্ছে অনেক কম কথায় উত্তরটা দেওয়া যেত - কিন্তু আর এডিট করতে ইচ্ছে করছে না! 
  • kk | 2607:fb91:1027:4e3c:2cea:dc9b:8918:***:*** | ১৯ জুলাই ২০২৫ ০৭:৪৭745329
  • উত্তর,
    আপনার পোস্টের সাথে আমি পুরোপুরি একমত। জরা, মৃত্যু, মৃত্যুভয় সম্পর্কে বুদ্ধ যে রাস্তা দেখিয়েছিলেন সেটা আমার কাছে খুবই মেক সেন্স করে। কিন্তু আমার প্রশ্নটা একটু অন্য জায়গা থেকে করেছি। বুদ্ধ মানুষকে অজর-অমর করবেন বলেছিলেন সে কথা বলিনি তো। থিক নাট হান এর 'ফিয়ার' এবং অন্যান্য বইতে পড়েছি উনি বারবার বলেছেন রিয়ালিটির দুটো ডাইমেনশন আছে। একটা হলো হিস্টোরিক্যাল ডাইমেনশন। যেখানে সব কিছুরই একটা নির্দিষ্ট শুরু ও শেষ আছে। শুরু-শেষ, জন্ম-মৃত্যু, আসা-যাওয়া এইরকম। উনি উদাহরণ দিয়েছেন যে জলের ঢেউ হলো এই হিস্টোরিক্যাল ডাইমেনশনে। প্রতি ঢেউএর একটা শুরু ও শেষ আছে। মানুষ, অন্যান্য জীব ও জড় আপাত দৃষ্টিতে এই জলের ঢেউ এর মত বলে মনে হয়। এবার দ্বিতীয় ডাইমেনশন হলো 'আল্টিমেট ডাইমেনশন'। ঐ ঢেউ যে সমুদ্রে উঠছে, সেই সমুদ্র হলো সেই আল্টিমেট ডাইমেনশনে। তার শুরু বা শেষ নেই, আসা বা যাওয়া নেই, জন্ম বা মৃত্যু নেই। আমরা বুঝতে পারিনা যে ঢেউ কিন্তু আসলে সমুদ্রই। কাজেই যে জন্ম-মৃত্যু নিয়ে আমাদের এত ভয় ভাবনা তা আমাদের এক রকম ইলিউশন। কেন জন্ম বা মৃত্যু নেই তাও উনি বুঝিয়ে বলেছেন। দুনিয়ার সবকিছুই, জীব বা জড়, কিছু এলিমেন্টস দিয়ে তৈরী। একটা বিশেষ সময়ে বিশেষ কন্ডিশনে, কিছু এলিমেন্টস একসাথে হলো, তখন তার ফলে একটা ফুল তৈরী হলো, কি একটা মানুষ তৈরী হলো। তাকে আমরা নাম দিলাম 'জন্ম'। কিছু সময় পরে, ঐ বিশেষ কন্ডিশনটা এক রইলোনা। তাই এলিমেন্টস গুলো আর একই কম্বিনেশনে বাঁধা রইলোনা। ফুলটা আর ফুল রইলো না, মানুষটাও না। তারা আর 'রইলো না'। আমরা নাম দিলাম যে ওরা "মরে" গেলো। এবার ঐ এলিমেন্টস গুলোই কিন্তু প্রকৃতিতে ছড়িয়ে পড়লো। কিছুদিন পরে আবার অন্য কন্ডিশনে তারা অন্য কম্বিনেশনে বাঁধা পড়লো। তখন আরো একটা নতুন কোনো প্রাণী, উদ্ভিদ, বা পাহাড় কি পাথর তৈরী হলো। তাহলে সেই আগের ফুল বা মানুষটা তো শেষ হয়ে যায়নি? তারা শুধু রূপান্তরিত হয়েছে। পৃথিবীতে আমরা সবাইই এভাবে রিসাইকলড হয়ে চলি। কাজেই কী করে বলা যাবে যে আমরা শুরু হচ্ছি বা শেষ হয়ে যাচ্ছি? থিক নাট হানের এই ব্যাখ্যাটা আমার বেশ মনে ধরে। এক অর্থে একেই আমার মনে হয় রি-ইনকার্নেশন। ওঁর 'ফিয়ার' বইতে 'নো কামিং, নো গোয়িং' চ্যাপ্টারে উনি লিখেছেন "We can see that birth and death are just notions; they’re not real. The Buddha taught that there is no birth and no death." এই প্রেক্ষিতেই আমার প্রশ্নটা করা। এই ব্যাখ্যা অনুযায়ী অবিনশ্বরতার ধারণা আসছে কি না?
  • &/ | 151.14.***.*** | ১৯ জুলাই ২০২৫ ০৮:৪৬745330
  • কিন্তু এই যে আমি অমুকচন্দ্র তমুক ---এই চেতনা, স্মৃতি, এই সংক্রান্ত সবকিছু যা ওই মানুষটার সঙ্গে জড়িত, তার কী হবে? যে অবিনশ্বর পরমাণুরা তার দেহ তৈরী করেছিল, তারা সব ফিরে গেল প্রকৃতিতে, অন্য জীবদেহে অথবা জড়বস্তুতে, তাদের বিনাশ নেই। তারা শুধু এক মলিউকিউল থেকে আরেক মলিকিউলে যাতায়াত করে মাত্র। কিন্তু মানুষটার যে 'আমি', তার কী অবস্থা হবে?
  • kk | 2607:fb91:1027:4e3c:2cea:dc9b:8918:***:*** | ১৯ জুলাই ২০২৫ ০৮:৪৮745331
  • "বুদ্ধের পদ্ধতির একটা বড় সমস্যা সম্ভবতঃ এখান থেকেই আসে - শিবাংশুদাও মাঝে মধ্যেই point out করেছেন - বড় সেরিব্রাল। ধ্যান করতে কেউ চায় না, কারোর সময় নেই, ইচ্ছে করে না! তার থেকে অনেক সোজা একদিকে ঈশ্বর থেরাপি, অন্যদিকে ফার্মাকোথেরাপি। Sorry for the vent out."
     
    একটা ডিসক্লেমার দেবো কিনা অনেকক্ষণ ধরে ভাবতে ভাবতে মনে হলো দিয়েই রাখা ভালো। উপরোক্ত কথার পরিপ্রেক্ষিতে -- ঈশ্বর থেরাপি বা ফার্মাকোথেরাপি এই দুটোই আমার ঘোর অপছন্দের। ধ্যান সম্পর্কে আমার ধারণা ও অভিজ্ঞতা নিয়ে আগে অরিন লানের টইতে বলেছি, তাই আর রিপিট করলামনা।
  • kk | 2607:fb91:1027:4e3c:2cea:dc9b:8918:***:*** | ১৯ জুলাই ২০২৫ ০৮:৫৭745332
  • অ্যান্ডর,
    'আমি' ধারণাটা যে ভুল, আমি বলে কেউ নেই, সবই অনাত্ম এটা বৌদ্ধ দর্শনের একটা বড় কথা বললাম না আগেই?
  • উত্তর | 98.114.***.*** | ১৯ জুলাই ২০২৫ ১০:০০745333
  • কিন্তু kk, সবই যদি পাল্টাচ্ছে তবে স্থির কি রইল? যা স্থির, যা পার্মানেন্ট তাই তো অবিনশ্বর। 
     
     
    "কী করে বলা যাবে যে আমরা শুরু হচ্ছি বা শেষ হয়ে যাচ্ছি" 
    "'আমি' ধারণাটা যে ভুল, আমি বলে কেউ নেই, সবই অনাত্ম এটা বৌদ্ধ দর্শনের একটা বড় কথা"  
     
    - আমি, আমরা যদি নাই থাকি, তবে তো আমাদের শুরু শেষের কথাই আসে না! ফ্যালাসি হয়ে যাচ্ছে একটা। 
     
     
    ফার্মাকোথেরাপি বাদ দিয়ে দিয়ে দিতে পেরেছেন নাকি? দারুণ ব্যাপার তো! 
  • উত্তর  | 98.114.***.*** | ১৯ জুলাই ২০২৫ ১০:১০745334
  • আরেকটু জুড়ে যাই। 
     
    এই যে রিসাইকেল হওয়া - তাতে কি মনে হচ্ছে আমরা পরমাণু লেভেলে অবিনশ্বর? 
     
    প্রথমতঃ কদিন আগেই শুনলাম এলিমেন্টের স্ট্যান্ডার্ড মডেলও নাকি বদলাতে হবে, সুতরাং সেসব পাল্টায়। দ্বিতীয়তঃ, কোয়ান্টাম লেভেলে ঠিক জানি না - তবে এই সব অনু পরমানুও তো চিরকাল ছিল না! আর তারা বদলাবে না তার কোন গ্রান্টি নাই! 
     
    যদিও এসব &/ য়ের এলাকা, তবুও একটু নাক গলালাম, ভুল যা হবে উনি শুধরে দেবেন।  তবে এই ব্যাপার্টায় কনফিডেন্স আছে যে সব লেভেলেই এটা প্রমাণ করা যায় change is the only constant. 
  • kk | 2607:fb91:1027:4e3c:2cea:dc9b:8918:***:*** | ১৯ জুলাই ২০২৫ ১০:২৪745335
  • উত্তর,
    সম্ভবত আমি যা বলতে চাইছি সেটা ঠিক বোঝাতে পারছিনা।

    ১) "যা স্থির, যা পার্মানেন্ট তাই তো অবিনশ্বর" -- এখানে আমার মনে হওয়া একটু অন্যরকম। অবিনশ্বর বলতে আমি বুঝি যার বিনাশ নেই। এনার্জির যেমন কোনো সৃষ্টি বা বিনাশ নেই। কিন্তু সে ক্রমাগত রূপান্তরিত হতে থাকে, সে স্থির বা পার্মানেন্ট নয়।

    ২) "আমি" বা "আমরা" নেই বলেই আমাদের শুরু বা শেষ নেই এই কথাটাই তো বলছি। বা র‌্যাদার আমি বলিনি, থিক নাট হানই বলেছেন। আমি ওঁর কথা পড়ে একটা ধারণায় আসতে চেষ্টা করছি।

    ৩) ফার্মাকোথেরাপি পুরোপুরি বাদ দিতে কি আর পেরেছি? এই দুনিয়ায় অনেক কিছুই আমরা পছন্দ করিনা। তবে পুরো বাদ দিতে পারা যায় কি সেগুলো? আমার বড়াই করার কোনো বাসনা নেই। কাজেই মিথ্যে বলবো কেন, শরীরের অসুখ করলে আমিও ওষুধ খাই। কিন্তু ভয়, কষ্ট, নেগেটিভ ইমোশনের জন্য ওষুধ খাইনা।

    শেষে একটা কথা বলি, আমি কিন্তু আপনার বলা কোনো পোস্টকে চ্যালেঞ্জ করিনি। বৌদ্ধ ধর্ম কোনো অবিনশ্বর ঈশ্বরকে মানেনা সেই নিয়ে আপনার বা অরিনবাবুর পোস্টের প্রতি আমার বিন্দুমাত্র বিরোধ নেই। আমার কথা থেকে সেরকম মনে হয়ে থাকলে দুঃখিত। সাধারণ মানের পড়াশোনায় আমার মনে যেরকম প্রশ্ন এসেছে শুধু তাই আপনাদের কাছ থেকে বুঝতে চেয়েছি।
    ঠিক আছে, ভালো লাগলো আপনার বক্তব্যগুলো জানতে পেরে। ধন্যবাদ জানবেন।
  • উত্তর | 98.114.***.*** | ১৯ জুলাই ২০২৫ ১১:১১745336
  • kk র angle টা বুঝলাম। অনেক ধন্যবাদ ধৈর্য্য ধরে বোঝাবার জন্যে। energy, entropy - এসব angle বাকি আছে। অনেক জ্ঞানী গুণীরা আছেন দেখা যাক উনারা কি বলেন। আর রঞ্জনদারও নিশ্চয় একটা ​​​​​​​বক্তব্য ​​​​​​​আছে। ​​​​​​​
    আমার বক্তব্যে যদি এমন মনে হয় যে আপনি চ্যালেঞ্জ করেছেন ভেবেছি - অত্যন্ত দুঃখিত। আসলে ভাবতে চেষ্টা করছিলাম আপনি কোথায় যাচ্ছেন! 
    আপনিও ভাল থাকবেন। 
  • অরিন | 2404:4404:4405:700:d5bc:2e73:f30b:***:*** | ১৯ জুলাই ২০২৫ ১৩:২২745337
  • "কিন্তু এই যে আমি অমুকচন্দ্র তমুক ---এই চেতনা, স্মৃতি, এই সংক্রান্ত সবকিছু যা ওই মানুষটার সঙ্গে জড়িত, তার কী হবে? যে অবিনশ্বর পরমাণুরা তার দেহ তৈরী করেছিল, তারা সব ফিরে গেল প্রকৃতিতে, অন্য জীবদেহে অথবা জড়বস্তুতে, তাদের বিনাশ নেই। তারা শুধু এক মলিউকিউল থেকে আরেক মলিকিউলে যাতায়াত করে মাত্র। কিন্তু মানুষটার যে 'আমি', তার কী অবস্থা হবে?"
     
    এর একটা চমৎকার  ব্যাখ্যা পাওয়া যায় রাজা মিলিন্দ আর নাগসেনের কথোপকথন য়াকে মিলিন্দ পনহা বলে তার প্রথম দিকে । আমি এখানে তার কিছুটা তুলে দিলাম । বইটার লিঙ্ক দিয়েছি, পড়ে দেখতে পারেন । 
     
    ****
     
    তখন রাজা (মিলিন্দ) নাগসেনকে জিজ্ঞাসা করিলেন, " ভন্তে, কী নামে আপনি পরিচিত হন, আপনার শুভনাম কি ?" 
    "মহারাজ ! নাগসেন নামে আমি পরিচিত হই । আর আমার সুব্রহ্মচারীগণ আমাকে সেই নামে ডাকেন । মহারাজ! যদিও আমার মাতাপিতা নাগসেন সুরসেন এই জাতীয় কোন নাম রাখিয়া থাকেন সেই নাগসেনাদি কেবল ব্যবহার করিবার নিমিত্ত আখ্যা প্রজ্ঞপ্তি নাম মাত্র, ইহাতে আত্মার উপলব্ধি হয় না "
    তখন রাজা নাগসেনকে কহিলেন, "ভনতে নাগসেন,  যদি কোন আত্মা না থাকে তবে কে আপনাকে ভোজন বস্ত্র উপকরণ দেয় ? কে উহা পরিভাগ করে ? আপনি যে বলিতেছেন আপনার সুব্রহ্মচারীগণ আপনাকে নাগসেন নামে সম্বোধন করেন, এখানে নাগসেন তবে কে ? 
    ভন্তে ! পনার কেশ কী নাগসেন?"
     
    "না মহারাজ !"
     
    "ভন্তে ! আপনার রূপ কী নাগসেন?"
     
    "না মহারাজ "
     
    "আপনার বেদনা কি নাগসেন?"
    "না মহারাজ !"
    "ভন্তে! আপনার সংজ্ঞা কি নগসেন ?"
    "না মহারাজ !"
    "প্রশ্ন করিতে করিতে নাগসেনকে তো দেখিতেছি না । শেষ পর্যন্ত এখানে নাগসেন কে ?"
    (তার উত্তরে নাগসেনের বক্তব্য): 
    "মহারাজ যদি আপনি রথে করিয়া আসেন, তাহলে রথ কী আমাকে বলুন । ঈশাদণ্ড কি রথ ? "
    "না ভন্তে!'"
    "অক্ষ কি রথ ?"
    "না ভন্তে!"
    ( ইত্যাদি ) 
    এই বলে নাগসেন বললেন, 
    "মহারাজ ! আপনাকে প্রশ্ন করিয়া রথ কোথায় দেখিতে পাইলাম না তো !'"
    এই কথা বলে নাগসেন মহারাজ মিলিন্দকে বললেন, 
    "অঙ্গসমূহকে ব্যবহার করিয়া যেমন রথ এই নাম ব্যবহৃত হয় , সেইরূপ পঞ্চ স্কন্ধ  কে উপলক্ষ্য করিয়া "জীব"  বা সত্ত্ব এই ব্যবহার প্রযুক্ত হয় ।"
    ****
     মিলিন্দ পনহার ৫৪-৫৮ পাতায় পড়ে দেখতে পারেন 
     
    এখানে বক্তব্য যেটা, আলাদা করে আমার আপনার কোন অস্তিত্ব নেই, আমার আপনার নাম মনে করুণ identity হতে পারে তাকে self বলা যাবে না । যে কারণে স্বতন্ত্র self ব্যাপারটির অস্তিত্ব নেই । 
     
  • হিজি-বিজ-বিজ  | 2603:8000:a401:47ce:2511:7522:492d:***:*** | ১৯ জুলাই ২০২৫ ১৪:৪৫745338
  • আচ্ছা ,বুদ্ধের জীবন সংক্রান্ত ঘটনাবলীর ঐতিহাসিক প্রমাণ কি কি আছে?
  • &/ | 151.14.***.*** | ১৯ জুলাই ২০২৫ ১৭:৪৪745339
  • অরিন, কেকে, অনেক থ্যাংকু। কিন্তু আমার খটকাটা একটু থেকেই যাচ্ছে। কেকের উল্লিখিত উত্তরে যেমন, আবার নাগসেন-মিলিন্দ প্রশ্নোত্তরেও বস্তুগত অবিনশ্বরতার ব্যাপারটা আসছে কেবল। এই কার্বন-অক্সিজেন-হাইড্রোজেন ইত্যাদি ইত্যাদি দিয়ে যে জীবদেহ তৈরী হয়েছিল, তার মূল উপাদানগুলো বিনাশ হচ্ছে না, থেকে যাচ্ছে ভিন্নরূপে। কিন্তু বস্তুগতকে ছাড়িয়ে যে ব্যাপারটা, এই যে মানুষটা পৃথিবীর উপরে আকাশের নিচে দাঁড়িয়ে স্মরণ করছে তার করছে শৈশবলীলা, বাল্যকাল, প্রথম যৌবন, প্রগাঢ় যৌবন, প্রৌঢ়ত্ব ইত্যাদি, যে শিখেছে এই পৃথিবী, এই সৌরজগৎ, গ্যালাক্সি ও মহাবিশ্বের কথা ---এইসব চেতনা, স্মৃতি যা কিনা শুধু বস্তুগত নয় (বা বলা যায় বস্তুগত হলেও শুধু মূল উপাদানে কুলোবে না, গোটা কম্বিনেশনটাই কোনো না কোনোভাবে দরকার), সেই ব্যাপারটার কী হবে?
  • &/ | 151.14.***.*** | ১৯ জুলাই ২০২৫ ১৯:২৩745340
  • যদি এই ব্যক্তিজীবন নামক কম্বিনেশনের একটা মানে থাকে, ধরা যাক একটা নাটক বা গল্পের মত, কিন্তু লাইভ - তাহলে সেই ইনফো কি থেকে যায়? নাকি বস্তুগত ভিত্তিটা চলে গেলে সেই ইনফো বিনাশপ্রাপ্ত হয়?
  • উত্তর  | 98.114.***.*** | ১৯ জুলাই ২০২৫ ২১:১৮745342
  • "নাকি বস্তুগত ভিত্তিটা চলে গেলে সেই ইনফো বিনাশপ্রাপ্ত হয়" 
    -- শারিরীক তথ্যগুলো তো মলিকিউল স্ট্রাকচার লেভেলেও থাকে না, অনেকটা ওপরে ডি এন এ লেভেলে থাকে। এখন, ডি এন এ তো পরবর্তী প্রজন্মে স্থানান্তরিত হচ্ছে। সুতরাং সেভাবে যদি ভাবেন ...
    -- ব্যক্তিজীবন নামক কম্বিনেশনঃ একটা ব্যক্তিমানুষের শরীরের সমষ্টিগত ইলেক্ট্রিকাল সিগনালগুলি শরীরের ধংসের পরেও কোথাও কোন ভাবে রয়ে যাচ্ছে - এরকম বৈজ্ঞানিক তথ্য নজরে আসে নি। 
     
    এখন, পশ্চিমে জোসেফ গোল্ডস্টাইন এবং আরো অনেক প্রভাবশালী বুদ্ধবাদী মনে করে থাকেন শরীর মনের চেতনার একটা স্তরে এমন কিছু করা যায় যা আজকের বৈজ্ঞানিক tools দিয়ে প্রমাণ বা ব্যাখা - কিছুই করা যাচ্ছে না। যেমতি, teleportation সম্ভব, উনারা অভিজ্ঞতা করেছেন - নিজে করে নয়, অন্যকে করতে দেখে। বুদ্ধ ও দেবদত্ত সম্পর্কেও এরকম অলৌকিক কাজের বক্তব্য আছে - কিন্তু বুদ্ধ নিজে সেসবকে downplay করেছেন ও support করেননি এরকম বক্তব্যও পাওয়া যায়। এখন, মৃত্যুপরবর্তী চেতনার কথা বহু ধর্ম বহু হাজার বছর ধরে বলে এসেছে। এখনও পর্যন্ত সেসবের বিজ্ঞান ভিত্তিক সমর্থন - এমনকি কোন reasonable hypothesis ও - নজরে আসেনি। 
     
    একটা কথাও এই প্রসঙ্গে বলে যেতে চাই, শক্তি (energy) অবিনশ্বর - এটা বিজ্ঞানের একটা ব্ল্যাঙ্কেট স্টেটমেন্ট নয়। এইটি সত্যি কেবল closed space য়ে। আমাদের বিশ্ব (universe), আমাদের দৃষ্টিমান বিশ্ব (observable universe), বা তারও পরিধি বিস্তারে - কোনটাই যে  closed space - এমন বলা যাচ্ছে না! 
     
    এসবই খুব নেগেটিভ বক্তব্য হয়ে যাচ্ছে। মৃত্যুর পরে কেউ নেই কিছু নেই সূর্য নিভে গেছে - এই অন্ধকার চিন্তাটা যাকে বলে depressing. নিরীশ্বরবাদীরা একে positive spin দেন 'We came from sturdust and go back to stardust' এই বক্তব্যে। এ একেবারেই আধুনিক বিজ্ঞান-সমর্থিত বক্তব্য। 
  • অরিন | 2404:4404:4405:700:d5bc:2e73:f30b:***:*** | ২০ জুলাই ২০২৫ ০৩:১২745345
  • ঘুমিয়ে পড়েছেন। 
    স্বপ্ন দেখছেন ।
    চোখ বন্ধ। 
    ধরুন স্বপ্ন দেখছেন উজ্জ্বল আলোর দিন, আপনি বাগানে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। 
    কে স্বপ্ন  দেখছে? আপনি তো ঘুমিয়ে পড়েছেন। 
    এই যে আলো "দেখতে পাচ্ছেন", তার উৎসও বা কোথায়? 
    আলো তো ফিজিক্যাল এনার্জি তাই না? 
    তার মানে কি আপনার দ্বৈত সত্ত্বা, এক আপনি ঘুমিয়ে, আর এক আপনি স্বপ্নে জেগে। 
    এই প্রশ্ন এবং মৃত্যু নিয়ে তিব্বতি বজ্রযান এবং Dzogcen প্রথায় নানান রকমের প্রশ্ন ও হাইপোথিসিস আছে, সময় নিয়ে ও ইচ্ছে হলে আলোচনা করা যাবে । 
     
     
  • উত্তর  | 151.197.***.*** | ২০ জুলাই ২০২৫ ০৭:২৪745346
  • অরিন লান - কিছু বই পত্তর, বা টেক্সট অডিও ভিডিওর লিংক পাওয়া যায়? গুগল করে হারিয়ে গেলাম। 
     
    আগাম ধন্যযোগ। 
  • Ranjan Roy | ২০ জুলাই ২০২৫ ১২:৩৫745348
  • চমৎকার আলোচনা হচ্ছে, যা আশা করেছিলাম তার চেয়ে বেশি--এটাই আমার প্রাপ্তি।
     
    কথা হচ্ছে ১ নং থেকে ৮, এবং ১৩ নম্বর প্রশ্নের উত্তর সবাই দিয়েছেন , কেউ সংক্ষেপে কেউ বিস্তারে। তবু সঠিক।
     তবে ৯ থেকে ১২ হচ্ছে  বৌদ্ধ দর্শনের দার্শনিক অবস্থান নিয়ে। সেগুলোতে মতদ্বৈধের অবকাশ আছে। 
    তার বড় কারণ বৌদ্ধ দর্শনের অনুগামীদের মধ্যেই ব্যাখ্যা নিয়ে কিছু ফারাক আছে। 
    যেমন হীনযান (বৈভাষিক এবং সৌত্রান্তিক) এবং মহাযান (মূলতঃ নাগার্জুনের মাধ্যমিক বা শূন্যবাদী এবং বসুবন্ধুর যোগাচার বা বিজ্ঞানবাদী) এর মধ্যে । এটাই স্বাভাবিক।
    বেশির ভাগ সূত্রগন্থ গুলো লেখা হয়েছে বুদ্ধের তিরোভাবের পরে। প্রায় একহাজার বছর ধরে। চার চারটে মহাসংগীতি বা ন্যাশনাল কনফারেন্স! 
    অনেকটা কমিউনিস্ট আন্দোলনের মত। ভাগ হতে হতে--, এখন ইন্টারন্যাশনাল ব্যাপারটাই আর নেই। আর আজকের সাম্যবাদী দলগুলোর  ইস্তেহার পড়লে মাথা চুলকে ভাবতে হবে মার্ক্সে র ইস্তেহার কোথায়!
     
    কালের ছাপ সব চিন্তাধারায় পড়বে সেটাই স্বাভাবিক।
    যাই হোক, আজকের বিশ্বে মহাযানএর বোল বোলাও। বিশেষ করে তিব্বতের মাধ্যমিক স্কুলের অনুগামীদের আরও সাব সেক্টগুলোর--বজ্রাযান, যোগিনীযান ইত্যাদি। এসেছেন কিছু দেবী ও দেবতা--যেমন পদ্মপাণি অবলোকিতেশ্বর এবং তারা দেবী আরও অনেক দিকপাল। তিব্বতী কলোনিতে গেলে দেখা যায় প্রত্যেকটি বাড়িতে মন্ত্র লেখা সিল্কের একগাদা পতাকা বাড়ির বেড়ার গায়ে টাঙানো।
    এসব কিছুই বুদ্ধের সময়ে ছিল না। 
    দলাই লামার প্রভাব একটি গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর। আজ চিন, জাপান, ভিয়েতনামে মহাযানী বৌদ্ধধর্মেরই প্রভাব। আমেরিকা ও ইউরোপের অনেক চিন্তাবিদ মহাযানে প্রভাবিত, বিশেষ করে সাইকোলজির বিভিন্ন শাখার গবেষণায় এর প্রভাব স্পষ্ট--কেকে নিশ্চই খেয়াল করেছেন।
    আমি পরের পোস্টে আমার সামান্য পড়াশুনোয় যা বুঝেছি (বিজ্ঞানের ছাত্র নই) সেটা বলব--মূলতঃ দার্শনিক অবস্থানগুলো স্পষ্ট করতে (৯ থেকে ১২ নম্বরের উত্তরে)।
     
     উত্তরমালা
    ১ উনত্রিশ বছর বয়সে, তখন রাহুলের বয়স এক সপ্তাহ।
     
    ২ নিরঞ্জনা বা নৈরঞ্জনা নদীতীরে বোধিলাভ।
     
    ৩ আলার কালাম ও উদক রামপুত্ত, এর উত্তর অন্যেরা ভাল্ভাবে দিয়েছেন।
    ৪, ৫, ৬, ৭, ৮ এর উত্তর নিয়ে কেকে এবং অরিন সঠিক এবং বিস্তারিত আলোচনা করেছেন।
     
    ৯  এবং ১০ বেদান্ত। 
     
    ১১ বেদান্ত
     
    ১২ বৌদ্ধ দর্শন। 
     
    ১৩
    মূলতঃ শাকাহারী ছিলেন। কিন্তু কারও বাড়িতে আগে থেকে রান্না করা আমিষ পরিবেশন করলে খেতেন। তবে নিজের জন্য কখনও আমিষ চাইতেন না। 
     
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভালবেসে মতামত দিন