চমৎকার আলোচনা হচ্ছে, যা আশা করেছিলাম তার চেয়ে বেশি--এটাই আমার প্রাপ্তি।
কথা হচ্ছে ১ নং থেকে ৮, এবং ১৩ নম্বর প্রশ্নের উত্তর সবাই দিয়েছেন , কেউ সংক্ষেপে কেউ বিস্তারে। তবু সঠিক।
তবে ৯ থেকে ১২ হচ্ছে বৌদ্ধ দর্শনের দার্শনিক অবস্থান নিয়ে। সেগুলোতে মতদ্বৈধের অবকাশ আছে।
তার বড় কারণ বৌদ্ধ দর্শনের অনুগামীদের মধ্যেই ব্যাখ্যা নিয়ে কিছু ফারাক আছে।
যেমন হীনযান (বৈভাষিক এবং সৌত্রান্তিক) এবং মহাযান (মূলতঃ নাগার্জুনের মাধ্যমিক বা শূন্যবাদী এবং বসুবন্ধুর যোগাচার বা বিজ্ঞানবাদী) এর মধ্যে । এটাই স্বাভাবিক।
বেশির ভাগ সূত্রগন্থ গুলো লেখা হয়েছে বুদ্ধের তিরোভাবের পরে। প্রায় একহাজার বছর ধরে। চার চারটে মহাসংগীতি বা ন্যাশনাল কনফারেন্স!
অনেকটা কমিউনিস্ট আন্দোলনের মত। ভাগ হতে হতে--, এখন ইন্টারন্যাশনাল ব্যাপারটাই আর নেই। আর আজকের সাম্যবাদী দলগুলোর ইস্তেহার পড়লে মাথা চুলকে ভাবতে হবে মার্ক্সে র ইস্তেহার কোথায়!
কালের ছাপ সব চিন্তাধারায় পড়বে সেটাই স্বাভাবিক।
যাই হোক, আজকের বিশ্বে মহাযানএর বোল বোলাও। বিশেষ করে তিব্বতের মাধ্যমিক স্কুলের অনুগামীদের আরও সাব সেক্টগুলোর--বজ্রাযান, যোগিনীযান ইত্যাদি। এসেছেন কিছু দেবী ও দেবতা--যেমন পদ্মপাণি অবলোকিতেশ্বর এবং তারা দেবী আরও অনেক দিকপাল। তিব্বতী কলোনিতে গেলে দেখা যায় প্রত্যেকটি বাড়িতে মন্ত্র লেখা সিল্কের একগাদা পতাকা বাড়ির বেড়ার গায়ে টাঙানো।
এসব কিছুই বুদ্ধের সময়ে ছিল না।
দলাই লামার প্রভাব একটি গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর। আজ চিন, জাপান, ভিয়েতনামে মহাযানী বৌদ্ধধর্মেরই প্রভাব। আমেরিকা ও ইউরোপের অনেক চিন্তাবিদ মহাযানে প্রভাবিত, বিশেষ করে সাইকোলজির বিভিন্ন শাখার গবেষণায় এর প্রভাব স্পষ্ট--কেকে নিশ্চই খেয়াল করেছেন।
আমি পরের পোস্টে আমার সামান্য পড়াশুনোয় যা বুঝেছি (বিজ্ঞানের ছাত্র নই) সেটা বলব--মূলতঃ দার্শনিক অবস্থানগুলো স্পষ্ট করতে (৯ থেকে ১২ নম্বরের উত্তরে)।
উত্তরমালা
১ উনত্রিশ বছর বয়সে, তখন রাহুলের বয়স এক সপ্তাহ।
২ নিরঞ্জনা বা নৈরঞ্জনা নদীতীরে বোধিলাভ।
৩ আলার কালাম ও উদক রামপুত্ত, এর উত্তর অন্যেরা ভাল্ভাবে দিয়েছেন।
৪, ৫, ৬, ৭, ৮ এর উত্তর নিয়ে কেকে এবং অরিন সঠিক এবং বিস্তারিত আলোচনা করেছেন।
৯ এবং ১০ বেদান্ত।
১১ বেদান্ত
১২ বৌদ্ধ দর্শন।
১৩
মূলতঃ শাকাহারী ছিলেন। কিন্তু কারও বাড়িতে আগে থেকে রান্না করা আমিষ পরিবেশন করলে খেতেন। তবে নিজের জন্য কখনও আমিষ চাইতেন না।