এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • গৃহিণী গৃহমুচ্যতে

    Bandana Mitra লেখকের গ্রাহক হোন
    ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২০ | ১০৪২ বার পঠিত | রেটিং ৪ (১ জন)
  • লকডাউনের পুণ্য প্রভাতে ঘুন ভাঙতেই হোয়াটস অ্যাপে একটি সুপ্রভাত বার্তা পেলাম – বেসিনের পাশে স্তুপাকৃত তৈজসপত্র মার্জনারত এক স্বল্পবসন ম্যাচো ম্যান । নীচে ক্যাপশন “হাতে স্কচ থেকে স্কচ ব্রাইট – ভারতীয় পুরুষের বিবর্তন!” তারপর তো তাই নিয়ে সারাদিন ধরে হাসি ঠাট্টা কৌতুকের বন্যা । কত রকম মিম, কতরকম ভিডিও, কতরকম রম্যরচনা! রান্না, ঘরমোছা, বাসন মাজা ইত্যাদি ঘরের কাজ করতে তারা যে কত অপটু, কত আনাড়ি সে কথা জেনে আর জানিয়ে হেসে গড়িয়ে পড়ছে ঘরবন্দী রসিকপুরুষের দল। ঘরের কাজে হাত লাগাতে বলে অসহায় পুরুষজাতিকে কি প্রচণ্ড অত্যাচার করে চলেছে পাষন্ড নারীজাতি তার পুঙ্খানুপুঙ্খ বর্ণনা – কি করুণ আবেদন - আমার বউকে কেউ বোঝান, বাড়ি থেকে কাজ করা মানে বাড়ির কাজ করা নয়।

    আর সেই গল্পটা খুব হিট হয়েছে, রুটির দোকানে এই মুসকো চেহারার এক মরদ বাইক নিয়ে এসে , সে কি হম্বিতম্বি । সবার আগে আমাকে রুটি বানিয়ে দে। দোকানের মালিক কিছু না বলে চুপচাপ রুটি বানায় আর লাইন মেনে এক এক করে খদ্দেরকে কাগজ মুড়ে প্যাক করে দেয়। তা সে পালোয়ান হাঁটু চাপড়ে বলে – কি রে দেখছিস না, তখন থেকে দাঁড়িয়ে আছি, এক্ষুনি রুটি না দিলে – দোকানদার কথা শেষ্করতে না দিয়ে এক দাবড়ি দেয় - “আরে লাইনের শেষে গিয়ে দাঁড়াও তো ভালো ছেলের মত। অতই যদি মরদ হতে তো বাড়ি বসে আরামে বউএর বানানো গরম গরম রুটি খেতে, দোকানে এসে বউএর জন্য রুটি কিনতে হত না।” সুরসুর করে সে বেচারা ভাগলবা! কি মজার গল্প, আমরা সবাই ঠা ঠা হেসে উঠলাম। তার সঙ্গে, আমার সাদা মনে কাদা নেই, একটা প্রশ্নও উঠে এল মনে – বউটাই বা খামোকা রোজ গরম গরম রুটি বানাতে যাবে কেন? মাঝে মাঝে ষন্ডা মরদটাও তো চালি বেলুন নিয়ে বসতে পারে। ঘরে নিজের রুটি বানানো কি খুন ছিনতাই ধর্ষণের চেয়েও লজ্জাজনক কাজ?

    সত্যি, ব্যাপার দেখে মনে হয় মেয়েদের ডি এন এ তে রান্না করা, ঘর গেরস্থালীর কাজ সামলানো এই সব প্রতিভা জিনগত খোদাই করা থাকে। আমাদের কাছে শ্রীকৃষ্ণের দেওয়া অক্ষয় রন্ধনপাত্র আছে, চাইলেই রান্না হয়ে যাবে। বাবা ইয়াগার মত দুহাতে ঝাঁটা ধরাই থাকে সারাক্ষণ, মেঝেতে একটু বুলিয়ে নিলেই হল।

    নিজের কথা বলি একটু, আমরাও দুই বোন, ছোটবেলায় রান্না ঘরের ধারে কাছে গেলে মা’র চিল চিৎকার শোনা যেত, - পড়া ফেলে এখানে কেন? এসব করার জন্য সারা জীবন পড়ে আছে, এখন নিজেকে “গঠনের” সময়, পড়তে যাও। মা রেগে গেলে বরাবর সাধু ভাষায় ধমক দিত। তারপরও বহুক্ষণ ধরে মা’র গজগজ শোনা যেত – “এই সব সংসারের কাজে সার বস্তু কিচ্ছু নেই, একবার ঘাড়ে জোয়াল পড়লে দু দিনে শিখে যাবে। কিন্তু পড়াশুনোর সময় একবার চলে গেলে আর ফিরে আসবে না। “ এমন কি পড়া হয়ে গেছে বললেও মা বলত – “ তাহলে গল্পের বই পড় কি হারমোনিয়ামটা নিয়ে একটু রেওয়াজ করো, পুরোনো পড়া রিভিশন দাও, যা খুশি করো এসব পাকামি ছাড়া। সংসারের কাজে একবার মন গেলে আর পড়াশুনোয় মন বসবে না। “ বলা বাহুল্য, আমি যখন হোস্টেলে এলাম বাড়ি ছেড়ে, তখন আমি ছিলাম, মা’র ভাষায় যাকে বলে “আস্ত ঢ্যাঁড়শ”। হোস্টেলে আমাকে মশারী পাটপিট করতে শিখিয়েছিল আমার রুমমেট শর্বরী। মনে আছে, মাখনের নতুন প্যাকেট জানলার ধারে আলসেতে সুন্দর সাজিয়ে ক্লাসে গেছি। দুপুরে খেতে এসে দেখি, সারা ঘরে দেওয়াল বেয়ে মাখনের স্রোত বইছে। জানলা দিয়ে যে সকাল সাড়ে নটার পর রোদ আসে আর দশটার পর সে রোদ ঝাঁঝাঁ করে জ্বলে ওঠে তা আমার খেয়াল ছিল না। এরও কয়েক বছর পরে কলেজ ক্যাম্পাসে কো-অপারেটিভের দোকানে চাল ডাল কিনতে গেছি আমি আর আমার বন্ধু গৌরী, খিচুড়ি রাঁধব। আমাদের কথাবার্তা শুনে দোকানদারের কিছু সন্দেহ হয়েছিল, জিজ্ঞেস করলেন – “তোমরা খিচুড়ি রাঁধতে জানো?” আমরা খুব আহত, অপমানিত হয়ে কনফিডেন্টলি জবাব দিলাম “ জানব না কেন? চাল আর ডাল টু ইস টু ওয়ান (2:1) রেশিওতে সেদ্ধ করতে হবে।“ দোকানদার আর কথা বাড়ায় নি! তো আমার রান্নার হাতেখড়ি হোস্টেলের ঘরে ইলেকট্রিক হীটারে কালো কফি বানিয়ে, পরীক্ষার আগে রাত জাগার জন্য। তারপর আস্তে আস্তে ম্যাগি, ডিমের ভুজি, সেদ্ধ ভাত, সুজি ইত্যাদি সহজ সহজ আইটেম রেঁধে হাত পাকানো হল। এরপর যখন চাকরিসূত্রে অনেকদিন একা থাকতে হল তখন দেখলাম মা ঠিকই বলেছিল। ট্রায়াল অ্যান্ড এরর বেসিস এ সব কাজ শিখতে তেমন সময় লাগে না। একা ঘরে কেউ ভুল ধরার নেই। রান্নাটা খারাপ হলে একটু চিন্তা ভাবনা করে দেখতাম কোন মশলাটা কম বেশি হল! ভাল হলে কি ভাবে আরেকটু ভাল করা যায়। দেখলাম খাটের তলায় একটু ধুলো দুয়েক দিন থেকে গেলে কিছু মহাভারত অশুদ্ধ হয় না। আর বাড়িটাও আমার বাংলা চ্যানেলের সিরিয়াল নয় যে সবসময় একেবারে টিপ টপ থাকতে হবে। একটু আধটু অগোছালো থাকলে এমন কিছু খারাপ লাগে না, বরং মনে হয় এটা হোটেলের রিশেপশন নয়, গেরস্থের বসত বাড়ি। আসলে সংসারের জোয়ালটা চাপানো না থাকলে একই কাজগুলো হাল্কা ফুল্কা থাকে, চাপ থাকে না। চাপ আসে তখন যখন ধরে নেওয়া হয় মাদূর্গা দশভূজা বলে সমগ্র নারীজাতি দশ হাতের বরাত পেয়েছেন এবং সেই হিসাবে তাঁরা সংসারের জুতো সেলাই থেকে চন্ডীপাঠ, সকলের সন্তোষ মাফিক চুটকিতে সেরে ফেলবেন, পরিপাটি করে। আবার অফিসেও কাজ করবে, দরকার পড়লে সংসারের সময় চুরি করে কাজ করবে - মেয়েটি কষ্ট করে লেখাপড়া শিখেছে, বুদ্ধিশুদ্ধিতে কারো থেকে কম নয়, যথাসাধ্য খাটে, প্রমোশন পেতে শখ হয় বই কি! অফিসে নিজের কাজের প্রশংসা শুনতে, সহকর্মীদের সম্ভ্রম, সমীহ, ভালবাসা, নির্ভরতা পেতে বড্ড ভাল লাগে। ঐ ভাল লাগাটা আবার নিজস্ব, ওটা সংসার বুঝবে না। আর সংসার যেটা বোঝে না, তার জন্য সংসারের কোন মায়া দয়াও নেই, বরং সন্দেহ আর বিরাগ আছে। এত সবকিছুর ওপর আবার পুতুল পুতুল ছেলে মেয়ে দুটোকেও ভাল ভাবে মানুষ করতে খুব ইচ্ছে করে, ওরে মা দূর্গা কেন তার সঙ্গে ভদ্রকালী, ছিন্নমস্তা, জগদ্ধাত্রী সবাই মিলে টিম করলেও এত কাজ এক সঙ্গে পারবে না। পান থেকে চুন খসবেই।

    সবাই জানে আমাদের দেশের বেশিরভাগ ছেলে আদুরে গণেশ, তারা এক বাজার করা ছাড়া সংসারের কোন কাজ পারে না। তা পারে না, বেশ করে। সবাইকে সব কাজ জানতেই হবে, পারতেই হবে এমন কোন মাথার দিব্যি দেয় নি কেউ। কিন্তু এই ঘরের কাজ না পারাটা যে এত গর্বের, অহংকারের , সকলকে গুছিয়ে, জমিয়ে , রসিয়ে বলতে এত ভাল লাগে, কৌতুক মূহূর্ত হিসাবে এত সমাদৃত হয়, সেটা আগে এভাবে বুঝি নি। তা বলে “খাওয়াটা কর্তাদের কাজ আর রান্না ও আনুসাঙ্গিক কাজগুলো গিন্নিদের কেন” এসব বিকট প্রশ্ন করতে যাবেন না যেন। এমনিতেই এখন শাঁখা সিঁদূর না পরলে পুলিশ ধরছে।

    আরও মজার ব্যাপার হল, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বাড়ির গৃহিণী কিন্তু ঠিক ছুটিতে নেই , উনিও ওয়ার্ক ফ্রম হোমই করছেন, পুরো টাইম। অফিসের টেনশন ঘরে নিয়ে এসেছেন এই মাত্র।

    আমার পুরুষ সহকর্মী বা বন্ধুরা যাঁরা বাড়ি বসে দিনরাত অফিসের কাজ করে হাঁফিয়ে উঠেছেন তাঁদের পোষ্ট বা মেসেজ দেখেই বোঝা যায় তাঁরা কত উদবিগ্ন বড় বড় আন্তর্জাতিক সমস্যা নিয়ে । যেমন করোনার জন্য সত্যিই চীন দায়ী কিনা, এরপর বিশ্বরাজনীতি কোন দিকে মোড় নেবে, চীন ও আমেরিকার ঝগড়ায় আমাদের দেশের অর্থনীতি কতটা মজবুত অথবা দুর্বল হবে , আমেরিকার অর্থনীতি চোট পেলে আই টি শিল্পে চাকরির বাজার কেমন হবে, কবে করোনার সম্ভাব্য ভ্যাকসিন বেরোবে, আদৌ বেরোবে কিনা। বায়োলজির সঙ্গে বিন্দুমাত্র সম্পর্ক নেই এমন জনগণ কনফিডেন্টলি করোনা ভাইরাসের জিনের গঠন ও মিউটেশনের গূঢ় রহস্য নিয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা জ্ঞান দিয়ে যাচ্ছেন।

    আর মেয়ে বন্ধুরা, যারা ঘরের কাজের ফাঁকে ফাঁকে সময় বের করে নিয়ে অফিসের কাজ করছে, তাদের পোস্ট পাচ্ছি – চটপট হয় এমন রান্নার রেসিপি বল , অ্যামাজনে ব্যাটারি ফিট করা ঝাঁটা ও ন্যাতা পাওয়া যায় ? লকডাউনে আয়া পাওয়া যাচ্ছে না - মা, বাবা, শ্বশুর, শাশুড়ি সব আমার জিম্মায় , কি করি রে? ওয়াশিং মেশিন খারাপ হয়ে গেছে, চেনা মেকানিক আছে ? ডিশ ওয়াশার কি আদৌ কাজ করে? তবে একটা কিনে নেব - এই সব তুচ্ছু মেঠো খবর জানতে চেয়ে। তার সঙ্গে সকলের করুণ জিজ্ঞাসা – “ এই লকডাউনটা কবে উঠবে রে! বরগুলোকে নিয়ে তো আর পারা যাচ্ছেনা, সারাদিন বাড়িতে বসে শুধু জ্ঞান দিয়ে যাচ্ছে আর কাজের নামে অকাজ করে কাজ বাড়াচ্ছে।“ কাজের নামে অকাজ করার একটা কিন্তু সুবিধে আছে, সেই কাজ আর ঘাড়ে চাপে না, লোকে সাবধান হয়ে যায়। নিজে কাজ করার চেয়ে ভন্ডুল কাজ শুধরে নেওয়া হাজার গুণ শক্ত। এই ট্রিকটা আমাদের অফিসেও খুব চলে।

    কাজেই যদি কার্যক্ষেত্রে দেখা যায় ইঞ্জিনিয়ার সাহেব পালঙ্কে গা এলিয়ে করোনা পরবর্তী বিশ্ব অর্থনীতি নিয়ে তাঁর মহামূল্যবান মতামত হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপে আপলোড করে চলেছেন আর তাঁর কলেজে ইকনমিক্স পড়ানো বউ, অনলাইন ক্লাসের নোটস তৈরি করতে করতে লম্বা ডাণ্ডার মাথায় কাপড় জড়িয়ে খাটের তলা মুছছেন - গত দুদিন ধরে মোছা হয় নি – বাড়িতে বৃদ্ধ শ্বশুর শাশুড়ি আছেন, তা হলে জানবেন সেটাই স্বাভাবিক, যার যা কাজ!

    জরুরি কর্পোরেট মিটিং এর মাহেন্দ্রক্ষণে পতিদেবতার মন্দ্র কন্ঠ ভেসে আসতেই পারে, – “ শীগগীর এসো , গুবলু সোফায় বড় কম্ম করে দিয়েছে, বললাম ন্যাপিটা পরিয়ে মিটিং এ বসো। “ মিটিং এ মাইক্রোফোন অন থাকলে আর বাংলা বোঝেন এমন সহৃদয় মহিলা বস থাকলে বলতেই পারেন , যান, আপনি বরং ওদিকটা একটু সামলে আসুন। আমারও বাড়িতে রোজ এই ঝামেলা, অফিসটা অফিসের জায়গায় না হলে মেয়েদের পক্ষে আর চাকরি রাখা যাবে না। “

    মিটিং শেষে নিজেকে মনে হবে সেই পিঠে মোট বোঝাই ত্যাড়ব্যাড়ে জগন্নাথের ঘোড়া – “ এক পা টি লটর পটর/ অন্য পা টি খোঁড়া”। সংসারের চাকা আর অফিসের ঠেলাগাড়ি , দুটোই বারবার হুড়মুড় করে খানায় পড়ছে, যতই সাবধানে চালাই না কেন।

    পুরাকালে ঋষিরা বলে গেছেন, গৃহিণী থাকলে তবেই গৃহ বাসযোগ্য হয়। “গৃহিণী গৃহমুচ্যতে” - শিবরাম চক্কোতি এর সরল অর্থ করেছিলান – “ গৃহিণী গৃহ মোছেন !” অব্যর্থ বাক্য!

    লেখা শেষ করার আগে একটি ফুটনোট - আমি জানি অনেক পুরুষই আছেন যারা ঘরের কাজ করাকে আদৌ অসম্মানজনক মনে করেন না এবং স্ত্রীকে প্রিয় সখা ও সচিব বলেই মনে করেন। আমি এঁদের অনেককেই ব্যক্তিগত ভাবে চিনি এবং শ্রদ্ধা করি। তাঁদের উদ্দেশ্যে এই লেখা নয়। আমরা সময় পেলে তাঁদের জন্য বিবিধ উত্তম সুস্বাদু পদ বানাতে সর্বদাই প্রস্তুত, স্কচ ব্রাইট আর ভিম বার রাখা থাকবে বেসিনের ধারে, ইউ আর ওয়েলকাম!

    #বন্দনা মিত্র
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • debu | 76.167.***.*** | ০২ অক্টোবর ২০২০ ০১:০৭97934
  • উত্তমঃ 

  • dc | 103.195.***.*** | ০২ অক্টোবর ২০২০ ০৭:৪৪97938
  • টইএর হেডিংটা তাড়াতাড়িতে পড়লাম গৃহিনীকে গৃহের মধ্যে চুমু খান।  যাগ্গে।


    তবে আমি বেশ কয়েকজনকে জানি যারা লকডাউনের বহু বছর আগে থেকেই দিব্যি বাসন মাজা বা ঘর পরিষ্কারের কাজ করে। ইন ফ্যাক্ট ডিনারের পর বাসন ধুতে ধুতে গৃহিনীর সাথে গল্প করতে তো ভালোই লাগে, তার সাথে চুমু থাক বা না থাক। 

  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। আদরবাসামূলক মতামত দিন