এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  বাকিসব  মোচ্ছব

  • হারামজাদা ফৌজিব্যাটা (গল্প) মূল রচনাঃ সআদত হসন মন্টো

    রঞ্জন
    বাকিসব | মোচ্ছব | ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২০ | ৯৯৪ বার পঠিত
  • হারামজাদা ফৌজিব্যাটা

    মূল রচনাঃ সআদত হসন মন্টো


    সেদিন লাহোরের টি হাউসের আড্ডায় হারামিদের নিয়ে গল্প শেষই হচ্ছিল না।সবাই নিজের জীবনের অভিজ্ঞতা থেকে একটা না একটা হারামির কীর্তিকলাপ শোনাচ্ছিল, কেউ জলন্ধরের, তো কেউ শিয়ালকোটের, কেউ লুধিয়ানার তো অন্যজন লাহোরের; তবে সবই স্কুল বা কলেজ জীবনের গল্প।

    শেষ গল্পটা ছিল মহর ফিরোজ সায়েবের। উনি সেদিন যা শুনিয়েছিলেন:

    ‘অমূতসরে এমন কেউ ছিল না যে ফৌজি হারামীকে চেনে না।যদিও ওই শহরে আরো অনেক হারামজাদা ছিল তবু ওর কাছে কেউ লাগে না।ও ছিল একনম্বর পাজির পাঝাড়া।স্কুলে সমস্ত মাস্টারমশাইদের ও প্রায় নাকে দড়ি দিায়ে ঘোরাত। হেডমাস্টারমশাই, যাকে দেখতেই হাড়বজ্জাত ছেলেপুলেরও পেচ্ছাব বন্ধ হয়ে যেত, তিনিও ফৌজিব্যাটাকে ভয় পেতেন। ওনার প্রসিদ্ধ বেতের বাড়িও ব্যাটাকে বাগে আনতে পারেনি। তাই উনি ফৌজিকে বেত মারা বন্ধ করে দিয়েছিলেন।

    ‘ ক্লাস টেনের কথা। একদিন বন্ধুর দল ধরে বসল: দ্যাখ ফৌজি, যদি তুই কাপড় খুলে ফেলে একদম ন্যাংটোপুঁটো হয়ে গোটা স্কুল একপাক ঘুরে আসতে পারিস তো তোকে একটাকা দেয়া হবে।‘ ব্যস্, ফৌজি টাকা নিয়ে এক কানে গুঁজল, কাপড়চোপড় খুলে ফেলে ব্যাগে পুরে সবার সামনে ন্যাংটো হয়ে হাঁটতে শুরু করল।

    ও যে ক্লাসের পাশ দিয়ে যায় তারাই হাসতে হাসতে লুটোপুটি খায়। এইভাবে চলতে চলতে ও হেডমাস্টারমশাইয়ের রুমের কাছে পৌঁছে গেল।তারপর পর্দা সরিয়ে ফট্ করে ভেতরে ঢুকে গেল।ভেতরে কি হয়েছিল জানা যায় নি। কিন্তু হেডমাস্টারমশাই হন্তদন্ত হয়ে বাইরে বেরিয়ে এসে চাপরাশিকে ডেকে বললেন: ‘যাও, দৌড়ে ফৌজির বাড়ি গিয়ে ওর জামাকাপড় নিয়ে এস। ব্যাটা বলে কি, মসজিদের চৌবাচ্চার পাশে চান করছিল। তখন কোন চোর ওর কাপড় চুরি করে পালিয়েছে’।

    ‘ধর্মক্লাস নিতেন পোট্যাটো মৌলবী। ওনাকে কেন পোট্যাটো বলা হত বুঝিনি। আলুর তো দাড়ি হয় না। তা ফৌজি ওনাকে একটু সমঝে চলত। একদিন হল কি, আঞ্জুমান কমিটির মেম্বারদের সামনে, মানে যাঁরা স্কুলটা চালাতেন, মৌলবী সাহেব ভুল করে ফৌজিকে কোরানের একটি আয়াতের মানে জিগ্যেস করে বসলেন। ফৌজির উচিত ছিল চুপ করে থাকা, কিন্তু তাহলে আর ওকে লোকে ফৌজি হারামী বলবে কেন? ও ব্যাটা মুখে যা এল, আবোলতাবোল, সব বলে গেল।পোট্যাটো মৌলবীর ঘাম ছুটে গেল।

    মেম্বাররা চলে যেতেই উনি হাতের লাঠিটা তুলে ওকে চারটে চোরের মার মারলেন।

    মারের চোটে ছটফটিয়ে উঠেও ব্যাটা খুব বিনয়ের সঙ্গে বলতে লাগল: ‘আমার কোন কসুর নেই মৌলবী সাহেব! আমি তো ঠিকমত কলমা পড়তেই পারি নে, আর আপনি আমায় গোটা একটা আয়াতের মানে জিগ্যেস করে বসলেন’। এত মেরেও পোট্যাটো মৌলবীর রাগ পড়েনি।উনি ফৌজির বাপের কাছে নালিশ করতে গেলেন।

    ফৌজির বাবা সব কথা শুনে বড় উদাস স্বরে বললেন: মৌলবী সাহেব, আমি নিজেই ওকে নিয়ে হতাশ হয়ে গেছি। জানি না কবে শোধরাবে। এই তো সেদিনের কথা। আমি পায়খানায় গেছি আর ও বাইরে থেকে শেকল তুলে দিল। ভেতর থেকে খুব চেঁচালাম, প্রাণভরে গাল দিলাম। কিন্তু ওর এক কথা। যদি আমি কথা দিই যে আট আনা দেব তাহলে শেকল খুলে দেবে। আর খোলার পর যদি কথা না রাখি তো পরের বার তালা লাগিয়ে দেবে।নিরূপায় হয়ে কথা দিলাম, পরে আট আনা দিতেও হল। বলুন, এমন অকম্মার ঢেঁকি ছেলেকে নিয়ে কী করি’?

    ‘ ওকে নিয়ে কী করা যায় তা বোধহয় আল্লাতালাই ভালো জানেন।লেখাপড়া তো কিছুই করে না। এন্ট্রান্স পরীক্ষায় সবাই ধরে নিয়েছিল যে ব্যাটা ফেল হবে। কিন্তু ফল বেরোলে দেখা গেল ওই সবচেয়ে বেশি নম্বর পেয়েছে। ও চাইল কলেজে পড়তে, কিন্তু বাপের ইচ্ছে ও কোন হাতের কাজ শিখুক।ফলে ও দুটি বছর এদিক সেদিক ঘুরে বেড়াল।আর এই সময়টায় ও যা সব হারামিপনা করল তার লিস্টিটা বেশ লম্বা।

    ‘ শেষে হা–ক্লান্ত বাপ ওকে কলেজে ভর্তি করালেন।প্রথম দিনেই ব্যাটা ম্যাথস্ এর প্রফেসরের সাইকেলটাকে একটা গাছের মগডালে চড়িয়ে দিল।কেউ ভেবে পায় না যে সাইকেল ওখানে গেল কি করে? তবে যারা আগে ফৌজির সঙ্গে স্কুল থেকে পড়েছে তারা বুঝে গেল যে এটা ফৌজি ছাড়া আর কারো কম্ম নয়।ওই একটা বদমাইশিতে ও গোটা কলেজে কুখ্যাত হয়ে গেল।

    ‘স্কুলে ওর কীর্তিকলাপের ক্ষেত্র সীমিত ছিল। কলেজে সেটা অনেক বিস্তূত হল,–– পড়াশুনো,খেলাধূলো, জলসা_ মুশায়েরা,উদ্ভট সব বদমাইশি, সব তাতেই ফৌজির জয়জযকার! আর কিছুদিনের মধ্যে এমন হল যে গোটা শহর ওর গুন্ডামিতে ত্রস্ত, নামকরা সব বদমাশের দল ওর সামনে হেঁটমুন্ড।

    ‘ ও ছিল বেঁটে কিন্তু শরীর ব্যায়াম করা, সুগঠিত ।ওর ভেড়ার স্টাইলে ঢুঁ–মারা কায়দা লোকের মুখে মুখে।  এমন জোরসে প্রতিদ্বন্দ্বীর বুকে বা তলপেটে ঢুঁ মারত যে সে ব্যাটা চোখে সরষে ফুল দেখত।

    এফ এ কোর্সের দ্বিতীয় বছর ও নেহাৎ ফাজলেমি করে প্রিন্সিপালের নতুন মোটরগাড়ির পেট্রল–ট্যাংকে চার আনার চিনি ঢেলে দিল, তার ফলে পুরো ইঞ্জিনটাই গেল বসে।প্রিন্সিপাল কি করে যেন জেনে গিয়েছিলেন যে এই ভয়ংকর পেজোমিটা ফৌজিরই কাজ। কিন্তু কি আশ্চর্য! উনি বদমাশটাকে মাপ করে দিলেন।পরে জানা গেল যে আসলে ফৌজি ওনার অনেক গোপন খবর জানত।

    ‘এটা ছিল এমন সময় যখন কংগ্রেস খুব শক্তিশালী ছিল আর ইংরেজদের বিরুদ্ধে খোলাখুলি সভাসমিতি হচ্ছিল।সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার বেশকিছু ব্যর্থ চক্রান্তও হয়েছিল। চারদিকে সমানে গ্রেফতারি চলছে। জেলগুলো বন্দীদের দিয়ে ভরা, প্রায় প্রতিদিন রেলের পাত উপড়ে ফেলার খবর আসছে। বোমা তৈরি হচ্ছে। পিস্তল ধরা পড়ছে।ব্যাপারটা হল আন্দোলনটা ক্রমশ: স্কুল–কলেজের শিক্ষিত লোকজনের মধ্যেও ছড়িয়ে পড়েছিল।

    ‘ফৌজিব্যাটা কোনভাবে্ই কোন রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিল না।আমার ধারণা, ও মহাত্মা গান্ধী কে তাও জানত না।তাই যখন হঠাৎ একদিন ওকে পুলিস গ্রেফতার করল, তাও এক ষড়যন্ত্রের মামলায়, সবাই অবাক হয়ে গেল।

    ‘এর আগেও বেশ কিছু ষড়যন্ত্র ধরা পড়েছে। স্যান্ডার্স মামলায় ভগৎ সিং ও বটুকেশ্বর দত্তের ফাঁসি হয়ে গেছে। তাই এই নতুন মামলাটাও বেশ গুরুতর মনে হচ্ছিল। অভিযোগ হল অনেকগুলো কলেজের ছেলেপুলে মিলে একটি গুপ্ত সংগঠন বানিয়েছে যার উদ্দেশ্য হল দেশের সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করা।

    ‘কিছু ছেলে কলেজের ল্যাবরেটরি থেকে পিকরিক এ্যাসিড চুরি করেছিল। এসব বোম বানাতে কাজে লাগে। ফৌজির সম্বন্ধে সন্দেহ ছিল যে ও ওই চুরিতে যুক্ত আর ও গুপ্ত সংগঠনের সবাইকে জানে।

    ‘ওর সঙ্গে কলেজের আরো দুই ছাত্র ধরা পড়েছিল। ওদের মধ্যে একজন নামকরা ব্যারিস্টারের ছেলে,অন্যজন খুব ধনী পরিবারের।দুজনেই ডাক্তারি রিপোর্টের হিসেবে অসুস্থ, তাই মারের হাত থেকে রেহাই পেল।

    দিন খারাপ ছিল গরীব বেচারা ফৌজি হারামজাদার। ওকে থানায় উল্টো করে ঝুলিয়ে বেধড়ক ঠ্যাঙালো।বরফের ওপর দাঁড় করিয়ে রাখল। সবরকম শারীরিক যাতনা দেয়া হল যাতে গোপন খবরগুলো বলে দেয়।কিন্তু ব্যাটা একেবারে কুকুরের লেজ, একটুও সোজা হল না; বরং থানাতেও বদমাইশি করতে ছাড়ল না।

    ‘একবার যখন আর মার সহ্য করতে পারছিল না, তখন থানার বড়কর্তাকে অনুরোধ করল আর না মারতে, ও সবকিছু উগরে দেবে। ও তখন একদম অশক্ত অচল। তাই গরম দুধ আর জিলিপি খেতে চাইল।যখন একটু সুস্থ হয়ে উঠেছে তখন থানার বড়কর্তা কাগজ কলম নিয়ে তৈরি হয়ে বসে বললেন –নাও, এবার বল।

    ‘ফৌজিব্যাটা আড়মোড়া ভেঙে মারখাওয়া শরীরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ ভাল করে দেখে নিয়ে বলল: এখন আর কি বলব? শরীরে শক্তি ফিরে পেয়েছি, ফের খুঁটি থেকে ঝুলিয়ে দাও।

    ‘এমনি আরো অনেক গল্প আছে যেগুলো আমার মনে নেই। কিন্তু সবকটাই দারুণ।মালিক হাফিজ, আমার জাতভাই। ওর মুখে শুনলে আপনাদের আরো ভালো লাগত।

    ‘একদিন পুলিসের দুটো সেপাই ফৌজিকে কোর্টে পেশির জন্যে নিয়ে যাচ্ছে, কাছারিতে ওর চোখে পড়ল মালিক হাফিজ, কোন কাজে ওদিকে এসেছিল।ওকে দেখতেই ফৌজি চেঁচাতে লাগল: আসসালামু আলৈকুম হাফিজ সাহেব!

    হাফিজ চমকে উঠল। ফৌজিব্যাটা হাতকড়ি পরে ওর সামনে দাঁড়িয়ে মুচকি মুচকি হাসছে: মালিক সাহেব! বড্ড মন খারাপ। একা একা– মন করছে যদি আপনাকেও এখানে পেতাম। ––ব্যস্, শুধু আমার নাম নেবেন, তাহলেই হবে।

    ‘এসব শুনে মালিক হাফিজের তো হয়ে গেছে। ফৌজি ওকে সাহস দিল: ঘাবড়িও না মালিক, আমি একটু ঠাট্টা করছিলাম। তবে আমাকে দিয়ে যদি কোন কাজ হয়,যদি তোমার কোন কাজে লাগতে পারি তো বল।

    ‘বলুন তো? এই অবস্থায় ফৌজি মালিকের কোন কাজে আসবে? হাফিজ তখন ওখান থেকে পালাতে পারলে বাঁচে!

    ফৌজি ওকে বলল: ভাই, আর কিছু তো করতে পারব না।বল তো তোমাদের দুর্গন্ধভরা কূয়োটাই পরিষ্কার করিয়ে দিই?

    ‘এখন মালিক হাফিজই আপনাদের বলতে পারবে যে ওই কূয়োটাকে ফৌজি কত ঘেন্না করত।কূয়োটার জল থেকে একেবারে ইঁদুরপচা গন্ধ ছড়াত।কেন যে ওটাকে কেউ সাফ করাত না?

    ‘এক সপ্তাহ বাদে , মানে মালিক হাফিজ যেমন বলেছে আর কি, ও চান করতে বাইরে বেরিয়ে দেখে যে দু–তিনটে লোক কূয়োর থেকে নোংরা বের করতে উঠেপড়ে লেগেছে। মামলাটা কী? মালিক হাফিজ ধন্দে পড়গেল। ময়লা সাফ করার লোকগুলোকে কে ডেকেছে? পাড়াপড়শীর দল ভেবে নিল যে বড় মালিক বসে বসে ভাবলেন যে চলো, কূয়ো সাফ করিয়ে দি, পাড়াপ্রতিবেশিদের মনে দাগ কাটবে।

    ‘কিন্তু ওরা যখন জানতে পারল যে বড় মালিক শিকারে গেছেন এবং ছোটমালিক এর বিন্দুবিসর্গ জানেন না তখন ওরা খুব অবাক হল।সাদা পোষাকের পুলিশগুলোকে জিগ্যেস করে জানা গেল যে ওরা ফৌজি হারামজাদার দেয়া খবরের হিসেবে লুকোনো বোম খুঁজে বের করছে।

    ‘অনেকক্ষণ ধরে কূযোর নোংরা তোলা চললো। জল পরিষ্কার হয়ে গেল। কিন্তু বোম কোথায়, একটা ধানিপটকাও পাওয়া গেল না।পুলিস খুব চটে গেল। তক্ষুণি ফৌজিকে চেপে ধরা হল।ব্যাটা দাঁত বের করে পুলিস অফিসারকে বলল,–ক্যাবলাসম্রাট! আমার ইচ্ছে ছিল ইয়ারদোস্তের কূয়ো সাফ করার, তো সেটা করিয়ে নিলাম!

    ‘এই শয়তানিটা বেশ চমৎকার হয়েছিল।কিন্তু পুলিস ওকে খুব পেটাল, মারতে মারতে আধমরা করে দিল। তারপর একদিন খবর এল যে ফৌজিব্যাটা রাজসাক্ষী হয়ে গেছে। ও কথা দিয়েছে যে সবকিছু উগরে দেবে।

    ‘শোনা যায়, এ নিয়ে ওর ব্যাপারে খুব নিন্দেমন্দ হল।ওর বন্ধু মালিক হাফিজও, যে সরকারকে ভয় পেত, ওকে খুব গালাগাল দিল: হারামজাদা ভয়ের চোটে বেইমানি করল। কি জানি, এখন কাকে কাকে ফাঁসাবে!

    ‘আসলে ও মার খেয়ে খেযে খুব ক্লান্ত হয়ে পড়েছিল।জেলখানায় কাউকেই ওর সঙ্গে দেখা করতে দেয়া হত না।খেতে দিত ভাল করে, কিন্তু ঘুমোতে দিত না।ব্যাটা বডড ঘুমোতে ভালবাসত।সেই ঘুমোতে না পেরে গচ্চা খেয়ে ও কথা দিল যে বোমা বানানোর গোটা ষড়যন্ত্র ও ফাঁস করে দেবে।

    ‘ ওকে জেলের ভেতরই রাখা হল। কিন্তু এখন কোন কড়াকড়ির বালাই রইল না। কিছুদিন খুব আরাম করল কারণ ওর শরীরের সব জোড় নাকি ঢিলে হয়ে গেছে। কিছুদিন ভাল খাবারদাবার খেয়ে আর শরীর মালিশ করিয়ে ও নিজের জবানবন্দী দেয়ার ক্ষমতা ফিরে পেল।

    ‘ সক্কালে দুটো বড় গেলাস ভরে লস্যি খেয়ে ও বলতে শুরু করত। একটু পরে জলখাবার–পর্ব শেষ করে পনের–বিশ মিনিট বিশ্রাম। তারপর যেখান থেকে শুরু করেছিল ঠিক সেইখান থেকে সুতোয় সুত মিলিয়ে ফের শুরু হত ওর আখ্যানমঞ্জরী।

    (হারামজাদা ফৌজি কি সত্যিই গদ্দার? পুরোটা জানতে হলে একটু কষ্ট করে মন্টোর "ফৌজি হারামি দা" গল্পটি সুলভ রচনাবলী থেকে পড়ে নিন।)
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যা মনে চায় প্রতিক্রিয়া দিন