বঙ্গীয় বারোমাস্যা - দ্যাখ কেমন লাগে : অমিত মজুমদার
বুলবুলভাজা | কূটকচালি | ২১ এপ্রিল ২০০৭ | ১২২৬ বার পঠিত
তিনকাল গিয়ে দ্রোহকালে ঠেকে। মাথায় ঘোমটা দিতে গিয়ে পোঁদের কাপড় সরে যেতে দেখা । রেখো মা দাসেরে - ধুর শালা তোর দাস! দাস ক্যাপিটাল মায় গণতন্ত্র নামে জগন্নাথের
হ্যদেশে চুনকি দিয়ে "কামলিস' দাদা বলে দিলে কিনা ভাই হবে রাজা! এসো জন বসো জন ধন্য ধন্য করি। তাও রক্ষে, বলে বসেনি,""আমি যখন ছোট ছিলুম রোমেল দাদার হাত ধরে যুদ্ধু করতে যেতুম''! একে রামে রক্ষে নেই সু¤গ্রীব দোসর। আবার আমাদের এই শান্তশিষ্ট পশ্চিমব® বসে ব্যারিকেড গড়ে তুলতে হত। জনগণ জনগণ করে চুলদাড়ি পাকিয়ে ঘাটে যাবার সময় হল বুঝি, কিন্তু তা বলে একি ভীমরতি ।
বঙ্গীয় বারোমাস্যা - লাইনেই ছিলাম দাদা : অমিত মজুমদার
বুলবুলভাজা | কূটকচালি | ১৯ এপ্রিল ২০০৭ | ১১১১ বার পঠিত
বাপ-পরদাদা যখন মাতৃগর্ভে তারও আগে থেকে, আমরা আছি দাদা। সেই কবে সেকেন্দার কাকু যখন হেলেদুলে এসেছিল, আমরা লাইন দিয়ে পিছন পেতে দিয়েছি। ক্যাঁত শব্দে সীলমোহর প্রাপ্তি এবং হাতে হাতে শোধ - যেমন চলাও তেমনি চলি, যেমন বলাও তেমনি বলি। অথচ শালা ঐ বিশ্বাসঘাতক পুরু! হতচ্ছাড়া শুধু লাইনে এল না তা নয়, বলে বসলে কিনা, ""ঘুঘু দেখেছ ফাঁদ তো দেখনি! আমার মাটিতে গাড়ু হাতে বসতে এলে আমিও ক্যাঁতাব!'' অত:পর,-""গওয়া হ্যায়, চাঁদ তারে গওয়া হায়'' এবং কাকু শেষ অব্দি "বাপি বাড়ি যা' কেস হয়ে ফুটে গেল। কিন্তু আমরা তো আর ফুল নই যে ফুটে উঠে দোলে দোদুল দোলে।
মোহিনী মিডিয়া : অমিত মজুমদার
বুলবুলভাজা | কূটকচালি | ২০ এপ্রিল ২০০৭ | ১০৫৬ বার পঠিত
শিশুকাল থেকে শুনে আসছি একপ্রকার পতঙ্গ শিকারী ফুল আছে। বিনয়ের সাথে আমরা বলতেই পারি,সত্যি কথা। এই অপরূপ মোহিনী ফুলটি, আহা, নাম তার মিডিয়া। ইমোশন রূপ পতঙ্গ, তা সে সস্তাই হোক বা তার তিন প্রকার রূপভেদই হোক, সুতোর টান অতীব নিঁখুত। পরতে পরতে সাজানো ক্রীম আর ক্যারামেল, মাঝে একটু বিরতি,- বুদ্ধিদীপ্ত অ্যালমন্ড। নেহাত গদগদ ভাব অসহ্য ঠেকলে একটু আধটু মরিচ মিশিয়ে দেওয়া - যা আমরা হামেশাই করে থাকি সঠিক অভিপ্রায় ব্যতিরেকেই। এই মিডিয়ার বহুরূপ। আমাদেরই মনন ও উৎকর্ষের খুপরি জরিপ করে তার এই দিন দুগনি রাত চৌনি শ্রীবৃদ্ধি। মৃত্যু নেই, জরা নেই। শুধু ফুলে ওঠা আছে, ফেঁপে ওঠা অমৃত বেলুন। এঁকে নমস্কার কর।
আমাদের বিজ্ঞান গবেষণা - একটি ন্যারেটিভ : অমিত মজুমদার
বুলবুলভাজা | আলোচনা : বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি | ২০ এপ্রিল ২০০৭ | ৯৭১ বার পঠিত
অবধারিত পরনিন্দা পরচর্চা, বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক সমস্যার সরল সমাধানসূত্র নির্ণয় এবং আপৎকালে পিঠটান ছাড়াও আমরা আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে থাকি - বিজ্ঞান গবেষণা। সবাই নয়, কয়েকজন (বাকিরা অবশ্যই মতামত রাখেন)। এবং আমাদের অর্থাৎ কিনা গবেষকদের সংখ্যা ক্রমবর্ধমান। আহা, আর কিইবা চাইতে পারো? ভারতবর্ষের ন্যাজে খেলানো রাজনীতি ছেড়ে তুমি পেয়েছ গবেষণা ...
বইমেলার ঠিকানা - এক চর্বিত চর্বণের উপাখ্যান : অমিত মজুমদার
বুলবুলভাজা | কূটকচালি | ২০ এপ্রিল ২০০৭ | ১১৭৫ বার পঠিত
বছর আট নয় আগে সদ্য বীরভূম থেকে আসা এক ছাত্র কলেজে কলেজ সুলভ মুক্তির স্বাদ পায়নি। কেবল বছরের বিশেষ একটা সময়ে নিজের আদলে মুক্তির খোলা মাঠে দৌড়ে যেত হাফ সোয়েটারে। সে বড় সুখের সময় ছিল যখন বছরের ঐ কটা দিন প্রথম অর্ধের পর কলেজ ছুটি হয়ে যেত ছেলেটির নিজস্ব নিয়মে। রোদ্দুর মেখে ভাঁজ করা নিদাঘ ডানা মেলে দেওয়া ছিল নিপাট সারল্যে। ছিল তখনও পর্যন্ত কোলকাতার রাস্তাঘাত সম্পর্কে অবহিত না থাকা জনিত ভয় এবং কলেজ গেট থেকে বের হতেই বাস থেকে ""বইমেলা, বইমেলা, ময়দান, বইমেলা'' চিৎকারে সেই ভয় নামক কুয়াশার পাতলা হতে হতে মিলিয়ে যাওয়া - অপূর্ব সে আলো। বাস ঢুকছে, দেখা যাচ্ছে বইয়ের স্টল, প্যাভিলিয়ন, জমতে থাকা মাথা, তৎক্ষণাৎ নেমে পড়া সেই জমিনেই - টিকিটের লাইন - দ্রুত পায়ে ঢুকে পড়া আকাঙ্খিত মরুদ্যানে, সম্মোহিত প্রাণ।