শিক্ষক দিবসের প্রাক্কালে.... আমরা হলাম লার্নিং ইংলিশে র প্রথম ব্যাচ। কোন রাজনৈতিক বিতর্কের মধ্যে না গিয়ে এটা বলতে চাই যে আমাদের সময় ক্লাস সিক্সে প্রথম ইংরেজি পড়ার সুযোগ হল। ব্যাপারটা শিক্ষক আর ছাত্র দুমহলেই বেশ চ্যালেঞ্জিং। কারণ সম্বল বলতে পশ্চিমবঙ্গ শিক্ষা পরিষদ থেকে নির্দেশিত কিছু কিছু সংখ্যা। যেখানে রিডিং স্কিল, রাইটিং স্কিল, গ্রামার আর ভোকাবুলারি কেমন আসবে সেই সব বলা ... ...
কোন দিন সিনেমা দেখতে প্রাণ হাতে করে পালিয়ে এসেছেন? আমি এসেছি। কালকে আনিম্যালস দেখতে গিয়েছিলাম। আমাদের অনিল কাপুর কে মাত্র দুটো গুলি মেরে লুড়কে দেবে ভেবেছিল। বস গুলি টুলি খেয়ে কুল আছে। মাঝখানে তার পুত্র রণবীর হেবববি খচে টচে গিয়ে একে ওকে কেলাচ্ছে। তাড়াতাড়ি তে অন্ত:বাস অবধি পরতে ভুলে গিয়েছিল। আমি ভাবলাম কেলাচ্ছে যখন ... ...
দুষ্টু অপু..............আমি ছোট থেকে মস্ত বদ ছিলাম। "পাজির পাঝাড়া " বললে পাজি কে আক্ষরিক অর্থে অপমান করা হত। ছোট বেলায় পিসি ই আমাকে মানুষ করেছে। যখন অক্ষর জ্ঞান হয় নি। তখন থেকে সুকুমার রায়ের ছড়া গুলো পড়ে শোনা তো। আমি শুনে শুনে মুখস্থ করে ফেলেছিলাম।সব রাগ পিসির ওপর। একবার দাঁত দিয়ে ব্লাউজ শুদ্ধ মাংস তুলে নিয়েছিলাম।তো একদিনের ঘটনা তখন ও আমরা বেলুড়ে ভাড়া বাড়িতে থাকি। ১৯৭৫-১৯৮০ অবধি ভাড়া বাড়িতে থেকে ১৯৮০ তে আমরা নিজেদের বাড়িতে উঠে যাই। ঘটনার সময়ক্রম ১৯৭৫-১৯৭৭ এর মধ্যে। মানে আমার কম বেশি চার বছর বয়েস। তো একদিনের ঘটনা। দুপুরে খাওয়ার পরে পরিশ্রান্ত পিসি ভাতঘুমে ঢলে পড়েছে। ... ...
দ্য কনসেপ্ট অফ ট্রুথ --------------------------------- একজন নাট্যকার সমাজে ঘটে যাওয়া দুর্নীতি র কীভাবে প্রতিবাদ জানাবেন? সমাজে সেই সব ঘটে যাওয়া দুর্নীতি র বিরুদ্ধে আন্দোলন কে " as is"দেখিয়ে নাকি তার থেকে কিছুটা বিচ্যুত হয়ে যেখানে সেই নাটকটি আপামর জনসাধারণের মনে বিপ্লব প্রজ্জ্বলিত করতে পারে এমন কিছু ... ...
১৯৮৬ সালে ১৩,১৪ ও ১৫ জানুয়ারি তে উৎপল দত্ত দিল্লিতে শ্রী রাম সেন্টার এ নাটক নিয়ে বক্তৃতা করেন। "What is to be done" পরে সেগুলো গ্রন্থাকারে প্রকাশ করেন ওই সংস্থা। তাতে একটা প্রশ্নোত্তর পর্ব ও ছিল। সেটাও এখানে দেওয়া হয়েছে।সুপণ্ডিত উৎপল দত্ত তার চাঁচাছোলা ভাষায় বক্তৃতা য় কাউকে রেয়াত করেন নি।ওনার বক্তৃতা র যে যে জায়গা গুলো ভালো লাগলো সেখানে কিছু কিছু জিনিস উল্লেখ ... ...
আমার পরিবেশন করা:-আগে তো কথায় কথায় কেটারার ডাকার ব্যবস্থা ছিল না।অভিজ্ঞ আত্মীয় স্বজন আর পাড়ার ছেলেপিলে রাই সব কাজকর্ম তুলে দিত।আমরা ছোটরা দায়িত্ব পেতাম। কলাপাতা বিছানোর। জল, তখন মাটির খুড়িতে। লেবু আর নুন। মাটির খুড়ি গুলোর রান টাইম টেস্টিং হত, একেবারে জল দেবার সময়। অবধারিতভাবে দু তিনটে ফুটো হতো আর পাতা তার নীচে পাতা সাদা কাগজের সীট ভিজিয়ে টিজিয়ে দিয়ে কেলেংকারী ... ...
আমার আঁকাজোকা : বাঙালী র ছেলে।শুধু পড়াশুনা নিয়ে থাকলে হবে? তাই, দে গরুর গা ধুইয়ে। অর্থাৎ ভর্তি করে দেওয়া হল "দাদুর পাঠশালা" তে। রবিবার রবিবার আঁকতে যাই। কুমড়ো,আম,ন্যাসপাতি। কালের অমোঘ নিয়মে শেষ অবশ্যম্ভাবী পরিণতি "একটি গ্রামের দৃশ্য "। একটা কুঁড়ে ঘর। টালির বা খড়ের চাল।পেছনে কলা বা অন্য কোন গাছ মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে। পাতার মাঝখান দিয়ে চলে গেছে রাস্তা।মোরামের।উঠে গেছে সোজা পাহাড়ে। গ্রামের পেছন দিকেই পাহাড়। ঠিক দুটো চুড়ো। তার ফাঁক দিয়ে দেখা আছে সদ্য উদিত হওয়া সূর্য কে। নীল আকাশে চড়ে বেড়াচ্ছে কটা পাখি।গ্রামের আরেক পাশে পুকুর। কিছু কিছু জনতা পুকুরে মধ্যে মাছ ঘুরে বেড়াচ্ছে সেটাও এঁকে দিত। যাইহোক ... ...
দেখতে দেখতে বৈশাখ মাস এসে গেল । এই মাস টা আমাদের সবার কাছে ই বেশ প্রিয়। গ্রীষ্মেরদাবদাহ তো থাকবেই। কিন্তু আম, কাঁঠাল,লিচু সমস্ত জিভে জল আনা ফল গুলো তো এই সময়েই পাওয়া যায়।আমি কিন্তু বলছিলাম "রবীন্দ্র জয়ন্তী" র কথা। আমাদের ছোট্ট পাড়ায় আমরা খুব যত্ন আর নিষ্ঠার সাথে এই "রবীন্দ্র জয়ন্তী" পালন করতাম। কে কোন গান টা করবে ? বা কোন নাচ? কোন আবৃত্তি ? বা কোন নৃত্যনাট্য হবে কিনা। এই সব ব্যাপার এ স্থির সিদ্ধান্তে উপনীত হবার জন্যে ঘন ঘন মিটিং হতো। পরের দিকে আমরা একট নাটিকা ও করতাম। বাপ্পার মা অর্থাৎ অনীতা কাকিমা তাঁর দুপুরের ঘুম নষ্ট করে আমাদের রিহার্সেল দেওয়াতেন।অবশ্য দুষ্টু ছেলে ... ...
দুছর আগে,আজকের দিনে আদিত্য দা চলে গেছেন। আমার কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার মশাইবাপি 40 বছর( 1968-2008) প্রেসিডেন্সি তে স্ট্যাটিসটিক্স পড়িয়েছেন। তার ফলে 1994 এ যখন CU তে ঢুকলাম তখন দেখি হেবববি চাপ। সৌমেন্দু দা, মণীষা দি, আশিস দা,সুগত দা বাবার ছাত্র। শৌটির বাবু, শ্যামাপ্রসাদ বাবু বাবার মাস্টারমশাই। অধীর বাবু বাসুদেব বাবু বাবার সমসাময়িক। নৃপেশ দা, কল্যাণ দা, উত্তম দা আর তথাগত দা আশুতোষ থেকে এলেও বাপির বিশেষ পরিচিত। সেকেন্ড ইয়ারে পেলাম নিপাট ভালোমানুষ গৌরাঙ্গ দা কে। উনি নরেন্দ্রপুরের। বাংলা কথা হল ক্লাস কাটা বেশ চাপের হয়ে গেল। সবাই জানে BD র ছেলে। তাই আশুতোষের (91-94) সেই সুখের তিন বছর যা কিনা হোস্টেলে 29 ... ...
স্কুলের ঘটনা। আমাদের ক্লাশে একটি ছেলে ছিল।হাবেভাবে অবিকল টেনিদা। এর ওর ঝেড়ে তেমন না খেলেও ব্রহ্মতালু লক্ষ্য করে যখন তখন চাঁটি মারা তার কাছে জলভাত। খুব কমই তাকে লক্ষ্যভ্রষ্ট হতে দেখেছি। তার আরেক স্বভাব হল ছেলে পিলের স্বভাব চরিত্রের সাথে মানানসই একটা নাম দেওয়া। তো এমনি ভাবেই একটি ছেলে র নাম সে দিল "ডিম"। তার অপরাধ প্রতিদিন টিফিনে সে অবধারিতভাবে ডিম নিয়ে আসবেই। তো সেই নিক নামে কেউ কেউ ছেলে টিকে ডাকতো। বলাবাহুল্য ছেলেটি যারপরনাই খচে বেগুনি হয়ে যেত। তো একদিন ক্লাসে কিছু ছেলে ডিম ডিম করে ছেলেটিকে রাগাচ্ছে, এমন সময় স্যারের প্রবেশ। ছেলেটির প্রতি মমতাবশত: স্যার ছেলে দের বললেন.." ... ...