এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • অদচৌ | ***:*** | ২৩ জানুয়ারি ২০১৯ ১২:১২382390
  • (মৃণাল সেন মারা যাওয়ার পরে ওঁর ছেলে একটি হাতে লেখা চিরকুট খুঁজে পেয়েছেন। তাতে লেখা 'তুমি কেমন আছো? আমি ভালো নেই।' খবরের কাগজে এই লেখাটা পড়ার পরে পুরনো আরেকটা লেখা ঝেড়ে-ঝুরে বার করলাম। বিষয় একাকীত্ব।)

    আপনি বোধহয় তখন

    অনির্বাণ দত্ত চৌধুরী
    --

    সময়ঃ রাত সাড়ে আট'টা (আই এস টি)
    স্থানঃ কলকাতা শহরের (নিউ টাউন) একটি পেট্রল পাম্প
    পাত্রঃ অধম আমি (সাহেব'দের মত করে বললে ইয়োরস্‌ ট্রুলি)

    - ভাই, ফুল ট্যাঙ্ক।
    - পেট্রল না ডিজেল?
    - ডিজেল।
    - (সামনে আঙ্গুল দেখিযে) ওইটায় লাগান।

    চোখের কোণা দিয়ে দেখলাম, তেল ভরার লম্বা পাইপ'টা ছেলেটি অনিচ্ছাভরে গাড়ির পেছন'দিকে বয়ে নিয়ে গেল। এক হাতে তেলের পাইপ'টা ধরে আছে, আর এক হাতে গাড়ির ট্যাঙ্কের মুখ'টা খুলছে। সিক্সথ্‌ সেন্স বলছে যে কোনো মুহূর্তে পাইপটা ডিকির ওপরে ল্যান্ড করবে। আর একজনকে ডাকা উচিত, নিদেন পক্ষে আমায় বললেই পারে। সিট ছেড়ে নামতে নামতেই দুড়ুম। এরকম আওয়াজ কলকাতার রাস্তাঘাটে প্রায়'ই শোনা যায়, কিন্তু নিজের গাড়ি বলেই - কানের ভিতর দিয়া মরমে পশিল গো এবং আকুল করিল মোর প্রাণ।

    ফুল ট্যাঙ্ক হয়ে গেছে।
    - স্যার, ষোলোশো তিরিশ।
    - ভাইটি ডিকির ওপর এই যে দাগ'টা ফেললে, সেটা ঠিক করতে মারুতি দু'হাজার টাকা নেবে। তার মানে আমি আরো তিনশো সত্তর টাকা পাই। সেটা কি তুমি'ই দেবে?
    - না মানে ... ওটা তো ...
    - তুমি না দিতে পারলে তোমার সুপারভাইজার'কে ডাকো।
    - না, মানে স্যার উনি তো এখানে নেই।
    - ঠিক হ্যায়, আমি সিনেমা দেখে সাড়ে এগারোটায় ফিরবো। তখন যেন তিনি থাকেন।
    - স্যার আমাদের পাম্প সাড়ে দশটায় বন্ধ হয়ে যায়। তারপর তো কেউ থাকে না।
    - ওকে। তাহলে আমায় একটা কাগজ আর পেন দাও।
    অফিস থেকে নিয়ে এসে, "এই যে স্যার"।
    - এই যে আমার নাম, ঠিকানা, মোবাইল নাম্বার। তোমার মালিক'কে বলবে এই নাম্বারে ফোন করে শনিবার তিনশো সত্তর টাকা নিয়ে আমার বাড়ি চলে আসতে।
    - কিন্তু স্যার, তেলের টাকাটা?
    - এখন তো আর কথা বলা যাবে না, সিনেমা শুরু হয়ে যাবে।

    অতঃপর অ্যাক্সিস মল ও চাঁদের পাহাড়।

    কাট্‌ টু রাত সাড়ে এগারোটা। স্থান ও পাত্র সেম।
    একটা সুমো গাড়ি, মাফলার জড়ানো এক ভদ্রমহিলা, সাথে ড্রাইভার।
    পাম্পে ঢোকার আগে খুব ভালো করে ড্রাইভারের চেহারা দেখে নিলাম। নাঃ, রিটায়ার্ড মস্তান মনে হচ্ছে না। অতএব, চালাও পানসি।

    ভদ্রমহিলাঃ নমস্কার, আমি'ই ওঁদের দেখাশোনা করি। আমার ড্রাইভার একটু আপনার গাড়ি'র দাগ'টা দেখবে।
    - দেখুক।
    ড্রাইভারঃ স্যার, আমার কাছে একটা সল্যুশন আছে, এটা উঠে যাবে।
    - আচ্ছ, চেষ্টা করে দেখুন।
    মিনিট পাঁচেক ঘষাঘষির পরে দাগ বেশ খানিক'টা হাল্কা হল।

    - এই দেখুন, স্যার?
    - কই, তাও তো দেখা যাচ্ছে।
    - ওটুকু তো স্যার যাবেই। কলকাতার রাস্তায় ওরকম কত দাগ পড়ে।
    - হুম্‌ ... কিন্তু এতে তো আমার চলবে না দাদা। (ভদ্রমহিলার দিকে ফিরে) না দিদি, আপনি কালকে মারুতি ওয়ার্কশপ থেকে আমার গাড়ি সারিয়ে দিন।
    ভদ্রমহিলা: দেখুন, ছেলেটি গরীব। আপনি তেলের দাম না দিলে ওর মাইনে থেকে কাটা যাবে। ওরা এমনিতেই খুব কম মাইনে পায়।
    - উঁহু আপনি ভুল করছেন দিদি। আমি ওই ছেলেটির থেকে কাটতে যাব কেন? আমি তো পেট্রল পাম্পের মালিকের থেকে কাটছি। ওদের মাইনে থেকে কাটছেন তো আপনি। সে আপনি কাটবেন কিনা আপনি'ই ভেবে দেখুন। তার মধ্যে আমি নেই।

    ভদ্রমহিলা (কিঞ্চিৎ বিব্রত মুখে), না ... মানে আমি ওদের দেখাশোনা করি, কিন্তু আমি ঠিক মালিক নই। আমি ফোন লাগিয়ে দিচ্ছি, আপনি প্লিজ একটু মালিকের সাথে কথা বলে নিন।

    রাত বারোটার পেট্রল পাম্পের মালিক?! আমি মুখ খোলার আগেই স্পিড ডায়ালের বোতামে চাপ পড়ল।

    রাত পৌনে বারোটা। নিউ টাউনের শিয়ালগুলো সবে গাঝাড়া দিয়ে রাস্তায় বেরিয়েছে। এখন আমার হাল্কা শিভাস মেরে ঘুমোতে যাওয়ার কথা। তা না, এই মিশমিশে কালো অন্ধকারে পেট্রল পাম্পের মালিকের সাথে বিশ্রাম্ভালাপ। হুমম্‌, একটা চারমিনার হলে ভালো হত।
    মগনলালদের ট্যাক্‌ল করতে ওসব লাগে।

    - (ওদিক থেকে) নমস্কার, আমি প্রদীপ কুমার বন্দ্যোপাধ্যায় বলছি।
    - (আমি, পেট্রল-পাম্প-মালিকের রেডিও-সংবাদ-পাঠক-সুলভ ইন্ট্রো'তে চমকে গিয়ে) নমস্কার, আমি অনির্বাণ দত্ত চৌধুরী বলছি।
    - নমস্কার অনির্বাণ'বাবু। আমি সমস্ত ঘটনা শুনলাম। আমি অত্যন্ত লজ্জিত। আপনার গাড়ির ক্ষতি হওয়ায় আমি এবং আমার পরিবারের সবাই সর্বান্তকরণে দুঃখ প্রকাশ করছি।
    - (মদনলাল মেঘরাজের পরিবর্তে জটায়ু'লাভের আনন্দ কোনোরকমে সামলে নিয়ে) দেখুন, ক্ষতি'টা তো আমার'ই হল। মানে আমার গাড়ির হল।
    - হ্যাঁ নিশ্চয়ই, ঠিক'ই ঠিক'ই। আমি খুব'ই লজ্জিত। কি গাড়ি আপনার? অনির্বাণ'বাবু?
    - ডিজেল গাড়ি।
    - না আমি জানতে চাইছিলাম, কি মেক?
    - মারুতি ... কিন্তু ...
    - মডেল?
    - (হাল ছেড়ে দিয়ে) ডিজায়ার।
    - বাঃ ভালো গাড়ি, চড়ে আরাম আছে।

    - কি মুশকিল ... কি মডেলের গাড়ি সেটা ম্যাটার করে কি? যেটা ম্যাটার করে সেটা হল, গাড়ি'টা আমার এবং আপনার পাম্পের লোকজন সেটার ক্ষতি করেছে। আপনি হয়তো ভাবছেন একটা মারুতি গাড়িতে দাগ পড়েছে, এ আর এমন কি। কিন্তু বিশ্বাস করুন যেহেতু আমায় যথেষ্ট কষ্ট করে রোজগার করে গাড়ি কিনতে হয়েছে ... (পেট্রলপাম্পের মালিকের মুখে বাসানো জটায়ু'র গোলগাল মুখ'টা এবার ধীরে ধীরে মগনলালের মুখে মিশে যাচ্ছে) ... আপনাকে অবশ্য পরিশ্রমের ব্যাপারটা বোঝানো একটু মুশকিল। আপনি একটা পেট্রল পাম্পের মালিক, আমি সাধারণ চাকুরে ... (বাঙ্গালী অবশেষে পুঁজিবাদীর এগেন্স্‌টে কমফোর্ট জোনে ঢুকে পড়েছে) ... মোদ্দা কথা আমার গাড়িটা আমার বড্ডো প্রিয়।

    - নিশ্চয়ই, নিশ্চয়ই। পরিশ্রমের মূল্য আমি জানি অনির্বাণ বাবু। আমি পেট্রল পাম্পের মালিক বলে ভাববেন না ...... আমি পরিশ্রমের দাম জানি না। একদিন (একটু পজ্‌ দিয়ে) আমাকেও যথেষ্ট পরিশ্রম করে (আর একটু পজ্‌ দিয়ে) ভারতবর্ষের সেরা ফুটবলার হতে হয়েছিল।

    - (এ তো জটায়ু জটায়ু নয়, ফেলুদা নিশ্চয়ই) ... ফুটবলার? ... আপনি ফুটবলার? ... নামটা কি বললেন যেন? .. (পেট্রল পাম্পের মালিকের নাম আবার কে মনে রাখে? মালিক মানেই বুর্জোয়া) ও হ্যাঁ মনে পড়েছে ... প্রদীপ ... মানে, আপনি কি পি কে ?!

    - (অ-নে-ক-টা পজ্‌ দিয়ে) হ্যাঁ, আমি'ই পি কে। আমি ফুটবলার পি কে ব্যানার্জী।

    - আপনি পি কে! কি মুশকিল, আগে বলবেন তো, আপনার ভোকাল টনিক তো বিখ্যাত।
    - হ্যাঁ খবরের কাগজের লোকেরা তাই বলে বটে। ফুটবল খেলার মত ওটাও একটা কাজ। আচ্ছা, কাজ বলতে মনে পড়ল, আপনি কি কাজ করেন?
    - আমি টি সি এস ইনোভেশন ল্যাবে কাজ করি।
    - আচ্ছা, বেশ বেশ। তা সেটা ঠিক কি ধরণের কাজ?
    - আর এন্ড ডি, কনফারেন্সে পেপার পাবলিশ, পেটেন্ট ইত্যাদি।
    - কলকাতাতেই?
    - কনফারেন্সে পেপার প্রেজেন্ট করতে মাঝে মাঝে কলকাতার বাইরে যেতে হয়।
    - বাঃ বাঃ তাই নাকি? আচ্ছা এরকম কোথায় কোথায় গেছেন আপনি?

    - সেরকম তো ঠিক থাকে না, অনেক জায়গাতেই যেতে হয়। আমি শেষ গেছি যে চারটে জায়গায় গেছি সেগুলো হল কোচি, রোম, জুরিখ, ব্যাঙ্গালোর।
    - রোম। বাঃ, বাঃ। রোম খুব ভালো জায়গা। উনিশ'শো ষাট সালে আমি ফ্রান্সের এগেন্‌স্টে একটা গোল করেছিলাম। রোমে খেলা হয়েছিল।
    - ফ্রান্স? ফ্রান্সের এগেন্‌স্টে আপনি গোল করেছেন?
    (এখানে বলে রাখা ভালো, গড়পড়তা বাঙ্গালীর থেকে আমি খেলাধুলোর খবর কিছু কম রাখি না, কিন্তু তাই বলে ফ্রান্সের বিপক্ষে গোল। এই কদিন আগে যারা বিশ্বকাপ জিতল, সেই দেশের বিরুদ্ধে ভারতীয় জাতীয় টিমের গোল আছে এটা আমি সত্যিই জানতাম না)
    - ইয়েস। ইকুয়ালাইজার মশাই। ইন্ডিয়ার ক্যাপ্টেন ছিলাম। অলিম্পিক্‌সে, সামার অলিম্পিক্‌সে। উনিশ'শো ষাট ... আপনি বোধহয় তখন ...

    - আজ্ঞে না। আমি তখন জন্মাই নি, আমার বাবা'র তখন পাঁচ বছর বয়েস।
    - ও হো তাহলে তো আপনি অনেকটাই ...
    - হ্যাঁ, অনেকটাই ছোট, হয়তো আপনার ছেলে মেয়ের চেয়েও ছোট। আপনি আমায় তুমি বললেই আমি স্বচ্ছন্দ বোধ করব। - না, আসলে আমি আবার এভাবে ফোনে কাউকে হঠাৎ করে তুমি বলতে ... মানে ...
    - বুঝেছি, আপনি'ই চলুক তাহলে। শুধু মনে রাখবেন যে আমি আপনার ছেলের বয়েসী।
    - অনির্বাণ'বাবু, আমার দুই মেয়ে। পিএইচডি করেছে। আমি খুব ভাগ্যবান যে তারা কলকাতায় আমার সাথে থাকে।
    - সত্যিই তাই। আজকাল তো বাইরে থাকার'ই চল।
    - শুধু তাই নয়। ওরা আমার খুব যত্ন নেয়। এই যে আমি আপনার সাথে কথা বলছি, আমার বড়ো মেয়ে সমানে আমাকে চোখের ইশারায় ফোন নামিয়ে রাখতে বলছে। মাঝে মাঝে আমাকে দেখিয়ে দেখিয়ে আড়চোখে ঘড়ি দেখছে। আমি অবশ্য ঘড়িটা দেখতে পাচ্ছি না। প্যারালিসিস হয়ে ডান দিক'টা পড়ে যাওয়ার পর থেকে মুভমেন্ট লিমিটেড হযে গেছে। বাই দ্য ওয়ে, এখন কটা বাজে অনির্বাণ'বাবু?
    - বারোটা পঁচিশ।
    - ও ... আসলে আমায় আজকাল চব্বিশ ঘন্টাই নার্সের অবজার্ভেশনে থাকতে হয়। পেট্রল পাম্পে যে ভদ্রমহিলা আপনার সাথে কথা বলতে গিয়েছেন, তিনি'ই আমার নার্স। ওঁর নাম বিমলা। সবাই খাওয়ার টেবিলে বসে বিমলার জন্য অপেক্ষা করছি। আমরা রাতে নিয়ম করে একসাথে খাই। নো এক্সেপশন। বিমলা এলে আমরা ডিনার শুরু করব।
    - (লজ্জায় পড়ে গিয়ে) আপনাদের খেতে দেরি হয়ে গেল।
    - না না, সে কোনো ব্যাপার নয়। অনির্বাণ'বাবু, আপনার সাথে কথা বলে আমার বেশ ভাল লাগছে। আপনি কোথায় পড়াশোনা করেছেন? ইঞ্জিনীয়র যখন, নিশ্চয়ই বি ই কলেজ।
    - না, আমি যাদবপুরে পড়াশোনা করেছি। যাদবপুর ইউনিভার্সিটি।
    - ও, হ্যাঁ শুনেছি বটে, নতুন ইউনিভার্সিটি। তা ভালো।
    - (বিষম খেয়ে) না ঠিক নতুন নয়, অবশ্য আপনার কাছে হয়তো নতুন।
    - আর স্কুল?
    - রহড়া রামকৃষ্ণ মিশন।
    - সে কি। রহড়ায় তো আমি অনেকবার গেছি। স্পোর্টস অনুষ্ঠানে। প্রাইজ দিতে। মহারাজরা খুব যত্ন করে আপ্যায়ন করতেন। বক্তৃতা'ও দিয়েছি
    - হ্যাঁ, আমি মনে হয় শুনেছি। ক্লাস ফোর বা ফাইভে। এক-দুবার প্রাইজও নিয়ে থাকতে পারি।

    - (গলার ব্যারিটোনত্ব হঠাৎ বেড়ে গিয়ে) .. কেমন লেগেছিল? ভোকাল টনিক? ... আজকাল অবশ্য আর কোথাও তেমন যাওয়া হয় না। প্যারালিসিস সেট ইন করার পর থেকেই ...... আমার স্ত্রী কিছুদিন আগে মারা গিয়েছেন। আমার মেয়ে আর বিমলা এই হচ্ছে এখন আমার ফ্যামিলি। আচ্ছা, আপনি কি বিবাহিত?

    অনেকক্ষণ ঘড়ি দেখা হয় নি। কিন্তু কথোপকথনের এই পর্যায়ে পৌঁছে সময় দেখার ইচ্ছেটা কখন বেমালুম উবে গেছে বুঝতে পারি নি।

    - হ্যাঁ আমি বিবাহিত। আমার স্ত্রী আমার সাথেই আছেন।
    - তাই নাকি? দয়া করে ফোনটা ওনাকে একটু দিন। আমি একটু কথা বলতে চাই।

    মোবাইল হস্তান্তরিত হল।

    - নমস্কার আমি প্রদীপ কুমার বন্দ্যোপাধ্যায় বলছি। আপনাদের গাড়ির ক্ষতি হওয়ায় আমি যারপরনাই লজ্জিত। আচ্ছা, আপনাদের ক'বছর বিয়ে ......

    --

    (প্রদীপ কুমার বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুমতি ছাড়াই এ লেখাটি লেখা হযেছে। তবে ঘটনা সত্য, কোনোদিন দেখা হলে অনুমতি চেয়ে নেব।)
  • de | ***:*** | ২৩ জানুয়ারি ২০১৯ ১৫:১০382391
  • বাঃ!
    সৌজন্যবোধ ব্যাপারটা আগেকার লোকজনের মধ্যে ছিলো -
    কিন্তু - গাড়ির দাগের কি হোলো?
  • সিকি | ***:*** | ২৩ জানুয়ারি ২০১৯ ১৫:১৮382392
  • ভোকাল টনিকের পরেও গাড়ির দাগ নিয়ে কোশ্নো?
  • de | ***:*** | ২৩ জানুয়ারি ২০১৯ ১৬:২৯382393
  • গাড়ির ব্যাপারে আমি ভবি -
  • Atoz | ***:*** | ২৪ জানুয়ারি ২০১৯ ০৩:৩৪382394
  • খুব সুন্দর লেখা। ফেবুতেও দেখলাম। ঃ-)
  • ফরিদা | 172.69.***.*** | ২০ মার্চ ২০২০ ১৮:৪০730171
  • বাই বাই পি কে ব্যানার্জী ..
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লড়াকু মতামত দিন