এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • দ্যাশের লোক ...

    Binary
    অন্যান্য | ২৬ অক্টোবর ২০১২ | ৯৫৪ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Binary | 208.169.***.*** | ২৬ অক্টোবর ২০১২ ২১:১৩574574
  • উত্তরে যাও। আস্তে আস্তে গ্রাম-টাম ভ্যানিস হয়ে আসবে। আমাদের শহর থেকে নাক বরাবর ৩০০ কিমি উত্তরে রাস্তার ধারে শেষ একটা গ্যাস স্টেশন। চকোলেট-ক্যান্ডি-র তাকে পসরা কিছু আছে, তবে ধুলো পড়া। একটাই রেফ্রিজেটারে দুধের ক্যান কিছু, আর কোক, রুটবীয়ার, রেডবুল-এর পুরোনো ক্যান। তারিখ দেখিনি এক্সপায়ার করা কিনা। ৪০ লিটার গ্যাস ভরে, কাউন্টারে দাম চুকিয়ে এলাম। কাউন্টারের মেয়েটা ফ্রাস্টনেশন। মানে অ্যাবরিজিনাল। মানে আদিবাসি। এই গ্যাস স্টেশন থেকে বাঁদিকে রাস্তা গেছে, ওয়াস্কেসু, বনের মধ্যে লেক, তার ধারে বনভোজনের যায়গা। শহুরে মানুষ আসে, ক্যাম্পিংকরে, শিকার-টিকার করে, মাছ ধরে। মার্চ থেকে অক্টোবর। আমরা যাব আরো উত্তরে। আরো ৩০০ কিমি। কানাডা-র উত্তরের শেষ টাউন, 'লা-রঙ্গে'। তার-ও পরে আছে জল, জঙ্গল, অসমতল জলাভুমি, এস্কিমোদের জায়গা ন্যুনাভট। তারপর বাফিন বে।

    তো, গ্যাসস্টেশন ছাড়িয়ে আসার কিছু পরে থেকে উঁচু-নীচু অসমতল বন-জ্‌ঙ্গল সুরু হয়ে গেল। বাঁদিকে একটা টিলা, ডানদিকে হঠাত পরিখা, হঠাত ঘন জ্‌ঙ্গল, হঠাত ঢিপির মত খোলা উঁচু জমি। এখন জুলাই মাস তাই জ্‌ঙ্গল। অক্টোবরের শেষ থেকে বরফে ঢেকে যাবে নিশ্চই। রাস্তা আর খোলা জমি চেনা যাবে না মনে হয়। রাস্তাটা মোটামুটি খারাপ নয়। মাঝে মাঝে খানা খন্দ পীচ উঠা আছে বটে, তবে এই কৌরব বর্জিত রাস্তায় এর চেয়ে ভাল আশা করা মুশকিল। কিছুদুর গিয়ে আচম্‌কা ব্‌ষ্টি। বেশ চড়া রোদ ছিলো, আধা মিনিটে ভ্যানিস হয়ে গিয়ে ব্‌ষ্টি সুরু হয়ে গেল। এমন জোরে যে, দশ ফুটিয়া সামনে সব ঝাপসা। যদিও এখন পর্যন্ত্য উলটো দিকে একটা-ও গাড়ি দেখিনি, তাও সবার টেনশনে মুখ গম্ভীর। প্রবল বিক্রমে ওয়াইপারটা সপাত সপাত করছে বটে, কিন্তু ব্‌ষ্টির যা তেজ, উইন্ডস্ক্রীন, তেমন-ই ঘোলাটে। পিতার নাম স্মরণ করতে করতে আরো তিরিশ মিনিট মতন চলার পর, হঠাত যেমন ব্‌ষ্টি এসেছিলো, তেমনি হঠাত থেমে গেল। দশ সেকেন্ডে ঝাঁঝাঁ রোদ আবার।

    লা-রঙ্গে পৌঁছুতে বেলা চারটে বেজে গেল। লেকের ধারে ছোট্ট টাউন। যারা থাকে তারা সবাই মুলতঃ, ঐ, ফ্রাস্টনেশন। মানে অ্যাবরিজিনাল। মেতিস। এস্কিমো মিক্স। বাড়ী ঘরদোর যা আছে, সবই মোবাইল হোম যাকে বলে। ট্রেলারের উপর। ফাউণ্ডেশন নেই। এই শেষ একশো কিমি রাস্তা শীতে বন্ধ থাকে। বা শুধু স্নো ট্রলারের জন্য খোলা থাকে। যা লোকজন আসে, তাই এই গরম কালে-ই। লেকে ফিসিং কত্তে। বা ক্যাম্পিংএ। তাও খুবই কম। লেকের ধারে একটাই হোটেল। সেটাও ট্রেলারের উপর। সামনে কোনোরকমে পীচ বাঁধান পার্কিংলট। সামনে লা-রঙ্গে লেক। প্রায় হাজার স্কোয়ার কিমি। গ্লেসিয়ার আর আর্টিক বরপ গলা জলে তৈরী। তলদেশ অসমতল পাহাড়ি। তাই এদিক ওদিক অসংখ্য দ্বীপ মাথা বের করে আছে। হাউস বোট আছে কিছু। ভাড়া করা যায়। নিজেই চালিয়ে নিয়ে যেতে হয়। কোথাও নোঙর করে রাত কাটান যায়। এটাও একটা, ঐ, কি বলে, বড় রিক্রিয়েশন।

    তো খাবার দোকান খুঁজতে গিয়ে দেখি এট্টা কেন্টাকি ফ্রায়েড চিকেন আছে। বাপরে। আমেরিকান ফুড চেন এই গোবিন্দপুরেও ব্যবসা ফেঁদেছে। দোকানটা অবশ্য ঐ ট্রেলার হাউসের ভিতরে। কাউন্টারের মেয়েটাও ফ্রাস্টনেশন। বলল, এটা নাকি কেবল জুলাই-আগস্ট খোলা থাকে। খাবার বিশেষ কিছু ভ্যারাইট না দেখে বউ-এর পছন্দ হল না। বেরিয়ে একটু এদিক-ওদিক করে দেখি, একটা ট্রেলারের উপর লেখা 'এসিয়ান ফুড'। বলে কি ? ইয়ার্কি নাকি ? তড়িঘড়ি ঢোকা হল। মলিন কিছু চেয়ার টেবিল। টেবিলে চীনে নক্সা করা টেবিল ক্লথ, তার উপর ছেঁড়া প্লাস্টিক। দেওয়ালে পুরোনো রং। তাতে চীনে বা জাপানি পাখা পিন দিয়ে আঁটা। টেবিলে বসার পর, একজন বুড়োটে লোক, চেহারায় চীনে বা জাপানী বা ভিয়েতনামি হবে, বয়স সত্তর-ও হতে পারে আশি-ও হতে পারে, শতছিন্ন মেনু কার্ড, আর খাবার জলের জাগ নিয়ে এল। মুখটা হাসি হাসি হলেও, ঠিক হাসছে কিনা বোঝার উপায় নেই। তো, ভয়ে ভয়ে, হাক্কা চাউ, চিকেন পাইনাপেল অর্ডার দেওয়া হল। কুড়ি-পঁচিশ মিনিট সময় নিয়ে টেবিলে খাবার এসেও গেল। খেয়ে দেখলাম। মন্দ নয়। মানে চাইনিজ-এর মতন-ই চাইনিজ। আধা সেদ্ধ কিছু নয়। তো খাবার খাওয়া আর আড্ডা মারা শেষ করে শরীরটা একটু চাঙ্গা হল।

    বিল দেওয়ার সময় দেখি একটা কাউন্টার মতন আছে। তার ময়লা টেবিলটপের পেছনে একটা বুড়ি। ঐ বুড়োটে লোকটার বৌ-ই হবে মনে হয়। আমাদের দেখে খুব একগাল হাসল। দাম্‌টাম দিচ্ছি, আর বুড়ি দেখি আমাদের দিকে দেখেই চলছে। মুখে মিটিমিটি হাসি। শেষে মনে হয় থাকতে না পেরে-ই বলল, 'আর ইউ ফ্রম, কালকুতা ?' আমার তো প্রায় বিষম-টিষম লেগে হেঁচকি খেয়ে টেয়ে যাতা অবস্থা। একে কানাডা-র কৌরব-বর্জিত উত্তরের গাঁ। তায় আবার চাইনীজ না ভিয়েতনামি। তায় কলিকাতা বলে এট্টা শহর আছে, তা জানে। আবার আমরা যে কলিকাতায় টিকি বাঁধা রেখে এসেছি, সেটাও বুঝে নিয়েছে ! একি কোনো ডাইন নাকি ? বাপরে। তার্পর বুড়ি শোনাল নিজের কথা। কলকাতায় জন্ম। চায়না টাউনে সম্ভবতঃ। বাবার রেস্টুরেন্ট ছিলো। ওর পনের বছরে বাবা দোকান বেচে চায়্‌না ফিরে যায়। তার্পর সেখানেই পড়াশুনা-বিয়ে ইত্যাদি। বর কোনো তেলের কোম্পানিতে ওভার্সিয়ার ছিলো। তেলের খোঁজেই কম্পানীর দলের সাথে উত্তর কানাডা আসা। ন্যুনাভট, ইক্যুলাইট। তার্পর, তেলের সন্ধান বন্ধ হয়ে গেলে, ওর বরের কোম্পানী পাত্তারি গোটালেও, ওরা থেকে-ই যায়। ঠান্ডা, বরফ আর বাফিন-বে ততদিনে ওদের মজ্জায় সেটেল করে গেছে। ছেলেমেয়েরা বড় হয়ে, সাস্কাটুন, ক্যালগেরি, ভ্যাঙ্কুবার। ওরা বুড়ো-বুড়ি থেকেই গেছে উত্তরে। ইক্যুলাইট-এর আস্তানা ছেড়ে দিয়েছে অবশ্য। এখন এই লা-রঙ্গে। ট্রেলার হাউসে-ই থাকে সারাবছর। মাঝে মাঝে সাস্কাটুন আসে ছেলের কাছে। বা সাপ্লাইস কেনার জন্য।

    একথা-সেকথার বুড়ি বলে , ছেলেবেলায় বাংলা জানত ভালই। বলতে তো পারতই, লিখতেও নাকি পারত একটু একটু। এতদিনের অনভ্যাসে বলতে ভুলেই গেছে প্রায়। কিন্তু ছেলেবেলার কান-টা জিয়ন্ত রয়ে-ই গেছে। তাই বাংলা কিছু কিছু বুঝতে পারে। নিদেনপক্ষে ধ্বনি শুনে বুঝতে পারে ভাষাটা বাংলা। সেভাবেই চিনতে পেরেছে আমাদের কুলকাতার টিকি। এখনো কালে ভদ্রে, এই যেমন ৪/৫ বছরে একবার ইন্ডিয়া যায়। কলকাতার টানে নয়। বুদ্ধগয়ায় তীর্থ করতে। পঞ্চাশ বছরের চীনে সংস্ক্‌তি, বুড়ো-বুড়ির, ধর্মবিশ্বাসে বেড়া দিতে পারেনি। তিন বছর আগে গেছিলো ইন্ডিয়া। কলকাতা-ও ঘুরেছে সেইবার। চায়ানাটাউন দেখে চিনতে পারেনি। ওর বাবার হোটেল কোথায় ছিল সেব-ও দিশা করতে পারেনি। তবে ঘুরেছে খুব। পার্কস্ট্রীট, ধর্মতলা, বেকবাগান। এসব জায়গায় নাম করতে করতে বুড়ির চোখ চকচক করে। সত্তর বছরের প্ঞ্চাদশী কিশোরী।

    আসার সময় একটা প্যাকেট দেয় বুড়ি। উপহার। বাড়ীতে বানানো কুকি। ভালই লাগে বুড়িকে। খোলমেলা। আমুদে।

    গাড়ীতে উঠে, ব্যাক গিয়ার দিয়ে টার্ন নেওয়ার সময় একটু চোখ পরে সাইন বোর্ড। 'এসিয়ান ফুড'। বুকটা একটু টনটন করে।

    হাজার হোক, দ্যাশের লোক। আমাগো।
    ***
  • Tim | 105.59.***.*** | ২৬ অক্টোবর ২০১২ ২১:২০574580
  • আমি বাইনারিদার এত সাবলীল, এত মাপা, যথাযথ লেখা আগে পড়িনি। ভয়ঙ্কর ভালো লাগলো এই লেখাটা। আশাকরি এর পরের অংশও কিছু আছে। পুরো ট্রিপটা পড়তে চাই।
  • lcm | 138.48.***.*** | ২৬ অক্টোবর ২০১২ ২২:১৫574581
  • বাইনারি, সাবাস। বেড়ে লিখেছ এটা,
  • শঙ্খ | 169.53.***.*** | ২৭ অক্টোবর ২০১২ ০১:৫৯574582
  • বাঃ খুব ভালো লাগল।
  • Lama | 127.194.***.*** | ২৭ অক্টোবর ২০১২ ০২:৪৫574583
  • লা জওয়াব বাইনারিদা
  • Swati | 194.64.***.*** | ২৭ অক্টোবর ২০১২ ০২:৫৫574584
  • তারপর?????
  • Lama | 127.194.***.*** | ২৭ অক্টোবর ২০১২ ০৩:৪১574585
  • দ্যাশের লোকঃ এক

    একটা বড় টেবিল ঘিরে বসে অনেকজন খাচ্ছে। তাদের মধ্যে আমি একজন। বেশিরভাগ চিনে বলে মনে হয়, তারা নিজেদের মধ্যে দুর্বোধ্য ভাষায় কথাবার্তা বলছে। বাকিরা কে কোনদেশি জানি না, তবে নির্ঘাত এশীয়। তিনজন আমার চেনা- ক্যাপ্টেন হুসেন, ইন্দোনেশিয়ার লোক, তার সহকর্মী তথা চতুর্থ পক্ষের শালা আবদুল্লা, ইন্দোনেশীয়। শ্রীলঙ্কার বীরাসিংঘে তথা উইরা/ বীরা- উইঞ্চ অপারেটর। একমাত্র এর সঙ্গেই আমার একটু আধটু ভাব বিনিময় হয়। ভাষার নমুনা, 'আই টোয়েন্টিফোর হাওয়ার্স ওয়ার্কিঙ্গ। আই নো ম্যান? অ্যানিম্যাল আই?' সকলেই খাচ্ছে ফেনাভাত। দুজন ইংরেজও আছে, তারা ঘরের বাইরে থালা হাতে রোদ পোয়াতে পোয়াতে খাচ্ছে- সম্ভবতঃ সবার সঙ্গে টেবিলে বসে খেলে তাদের জাত যাবে।

    গুজরাটের দাহেজ বন্দরে লিকুইড পেট্রোলিয়াম জেটি তৈরীর বরাত পেয়েছে সিঙ্গাপুরের ইকন কোম্পানী। আমি জুটেছি তিনমাসের চুক্তিতে। সিঙ্গাপুরী বলে কলা হয় কিন্তু কোনো এথনিক মানবগোষ্ঠী সম্ভবত হয় না, তাই সিঙ্গাপুর মেসে খাওয়া বলতে বোঝায় এরকম পাঁচমিশেলি জনতার সঙ্গে খাওয়া।

    আমার বন্ধু তথা গুরু চিফ সার্ভেয়ার দান্তে (দান্তে কাস্তিলো রামোস- বাবা ফিলিপিনো, মা মেক্সিকান) কে দেখা যাচ্ছে না। কারণটা আমার জানা। এই দলটার মধ্যে একজন ডুবুরী আছে যার কাজ ডুবে যাওয়া পাইলের (নির্মাণের কাজে ব্যবহৃত শক্তপোক্ত লোহার খুঁটিবিশেষ যা মাখে মাঝে ক্রেনের দড়ি ছিঁড়ে সমুদ্রে পড়ে যায়) গায়ে ক্রেনের দড়িদড়া আটকে দেওয়া। সেই লোক নাকি সাঁতার জানে না- কোমরে ভারি পাথর বেঁধে তাকে জলে নামিয়ে দেওয়া হয়, কাজ হয়ে গেলে দড়ি নাড়িয়ে ইশারা করলে টেনে তোলা হয়। আর দান্তের মতে, সে এমন ডুবুরির মুখদর্শন করবে না যে 'ক্যান দ্রাউন বাত কান্ত ফ্লোত' তাই দান্তে খাবারটা নিজের ঘরে নিয়ে গিয়ে আলাদা খায় অথবা দেরি করে খেতে আসে। আমি অবশ্য আজও পর্যন্ত জানি না সেই বিশেষ লোকটি কোনজন।

    খাবার টেবিলে সূক্ষ্ম একটা জাতিভেদ প্রথা আছে, অচৈনিকরা টেবিলের একটা বিশেষ কোণে, ইংরেজরা বাইরে। হুসেন আর আবদুল্লার সঙ্গে আমার প্রাথমিক খারাখারি মিটে গিয়ে সম্প্রতি সুসম্পর্ক স্থাপিত হয়েছে। ভাষার ব্যবধান থাকলেও বীরাসিংঘে লোকটি সদালাপী। টুকটাক গল্প জমে উঠেছে। টেবিলের একদম কোণার দিকে বসে নাম না জানা একজন লোক গভীর আগ্রহ নিয়ে শুনছে আর মৃদু মৃদু হাসছে।

    একটু পরে নাম না জানা লোকটি আমাকে শুধালো "আপনে ভৌমিকদা?"

    আমি তাজ্জব হয়ে হ্যাঁ বলাতে সে বলল "আমার নাম মহম্মদ মুনীর হোসেন, ডাইভার।" বুঝলাম এই সেই তথাকথিত সাঁতার না জানা ডুবুরী।

    তার পর যা কথাবার্তা হল তা থেকে নিম্নলিখিত ব্যাপার স্যাপার জানা গেলঃ

    ১) মুনীর হোসেনের বয়েস বাইশ
    ২) এই কাজ করছে চার বছর হল
    ৩) কখনো স্কুলে যায় নি।
    ৪) তার মামা সিঙ্গাপুরের পুরনো বাসিন্দা
    ৫) মামা অভিজ্ঞ ডুবুরী
    ৬) মামার উদ্যোগেই এই পেশায় আসা
    ৭) সাঁতার সে ভালই জানে

    এবং সর্বোপরি,

    ৮) ময়মনসিংহের যে গ্রামে মুনীরের মামাবাড়ি, ঠিক সেখানে আমারও মামাবাড়ি।

    তারপর একদিনও মুনীরের সঙ্গে দেখা হয় নি। সেদিনই বিকেলে উঁচু প্ল্যাটফর্ম থেকে সটান জলের ওপর পড়ে চোট লেগে ওর শিরদাঁড়া ভেঙ্গে যায় এবং তাড়াতাড়ি আমদাবাদে নিয়ে যাওয়া হয়।

    মোবাইল ফোন তখন ছিল না, তাই নম্বর বিনিময় হয়নি। আশা করি ভাল আছে
  • Binary | 80.76.***.*** | ২৭ অক্টোবর ২০১২ ০৫:১০574586
  • লামা-র লেখাটাও খুব ভাল, ওর লেখা যেমন হয়। আমার লেখায় আর 'তারপর' নেই, মানুষ দেখি কত-ই মনে থাকে সামান্য-ই।
  • a x | 138.249.***.*** | ২৭ অক্টোবর ২০১২ ০৫:৪৩574587
  • আরো শুনবো এরকম গপ্প।
  • aka | 85.76.***.*** | ২৭ অক্টোবর ২০১২ ০৬:৫৮574575
  • বাইনারিদা ব্যপক হয়েছে। ছবি কই?
  • sosen | 125.184.***.*** | ২৭ অক্টোবর ২০১২ ০৭:১৪574576
  • খুব ভালো। খুব ভালো।
  • Manish | 127.218.***.*** | ২৭ অক্টোবর ২০১২ ১৬:০২574577
  • দুটো লেখাই সুন্দর হয়েছে
  • aranya | 78.38.***.*** | ২৮ অক্টোবর ২০১২ ০৮:৫৫574578
  • বাইনারি, লামা - ভাল লাগল।
  • Tim | 105.59.***.*** | ২৮ অক্টোবর ২০১২ ১৪:২৭574579
  • লামাদার লেখাটাও ব্যাপক।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লাজুক না হয়ে প্রতিক্রিয়া দিন