এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • আমেরিকান নির্বাচন ২০১২

    Bipab Pal
    অন্যান্য | ২৮ অক্টোবর ২০১২ | ১৪০২ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Biplab Pal | 78.33.***.*** | ২৮ অক্টোবর ২০১২ ১৯:২৭574555
  • (১)
    আমেরিকান নির্বাচন হয় প্রতি চার বছর অন্তর। গোটা পৃথিবী আমেরিকার ওপর এত নির্ভরশীল, আমেরিকান নির্বাচনের প্রভাব পড়ে প্রতিটা দেশে। এই অর্থনৈতিক ডামাডোলের বাজারে আমেরিকার গুরুত্ব আরো বেড়েছে। কারন চীন, ভারত, জাপান সহ পৃথিবীর প্রায় সব উন্নত দেশের বৈদেশিক সঞ্চয় জমা আছে আমেরিকান ফেডারেল রিজার্ভে। আমেরিকান সরকার বাহাদুরের যখন ডলারের প্রয়োজন হয়, সে ডলার নেয় ফেডারেল রিজার্ভের কাছ থেকে। বিনিময়ে ফেডারেল রিজার্ভ পায় সরকারি বন্ড। এই বন্ড ফেডারেল রিজার্ভের কাছ থেকে কেনে ভারত, চীন, জাপান সহ বহুদেশ। তাদের অর্থভান্ডার সুরক্ষিত করতে। সুতরাং আমেরিকা দেউলিয়া মানে পৃথিবী দেওলিয়া হবে। ভারতের কথা ধরা যাক। ভারত সরকারের আনুমানিক আশি বিলিয়ান ডলার বা ৪০০,০০০ কোটি টাকা জমা আছে ফেডারেল রিজার্ভে। চিনের আছে তিন ট্রিলিয়ান ডলারের বেশি।

    প্রশ্ন উঠবে ভারত বা চীন তাদের ডলার কেন বিক্রি করে দিচ্ছে না? তাহলেই ত আমেরিকার ওপর নির্ভরশীলতা কমে। উঁহু সেটি হচ্ছে না। কারন ভারত যে মুহুর্তে ডলার বিক্রি শুরু করবে, টাকার দাম ্বাড়তে থাকবে। এবার টাকার দাম ডলার প্রতি ৩০ এ নেমে এলে, আউটসোর্সিংই বন্ধ হয়ে যাবে। চীনের ও একই হাল। চীনের কারেন্সির দাম কমানোর একমাত্র উপায় সঞ্চিত ডলার আমেরিকাতেই জমা রাখা। এই ভাবেই ডলারএর দাম এত বেশী-যার পুরোটাই ফানুস।

    ১৯৭১ সালে গোল্ড বা সোনার স্টান্ডার্ড থেকে সরে আসে ডলার। এর পর থেকেই শুরু হয়েছে এই বিশাল রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক সমস্যার। ১৯৭১ সালের আগে আমেরিকান ডলার বাঁধা থাকত সোনা বা ফেড়ারাল গোল্ড রিজার্ভের কাছে। ১ আউন্স সোনার দাম ৩১ ডলার। অর্থাৎ আমেরিকান সরকার ইচ্ছা করলেই ডলার ছাপাতে পারত না। রিচার্ড নিক্সনের সময় আমেরিকান সরকার বুঝতে পারে ডলারের বিনিময়ে সোনার দেওয়ার ক্ষমতা ফেডারেল রিজার্ভের নেই। ডিক্রি দিয়ে ডলারকে সোনা মুক্ত করা হয়। ফলে যে কারেন্সির যুগে আমরা বাস করছি, তাকে বলে ফিয়াট কারেন্সি-অর্থাৎ ডলার বা টাকার দামের পেছনে কোন গ্যারান্টি নেই। সরকার বন্ড ছেরে ডলার ছাপাতে পারে । মানে ঘাটতি মেটাতে ইচ্ছা মতন ডলার প্রিন্ট করলেই হল। সুতরাং ভার‍ত চীন সহ পৃথিবীর সব দেশে তাদের এত কষ্টের অর্জিত সম্পদ যে ডলারে জমা রেখেছে, তা পুরো লোপাট হয়ে যেতে পারে যদি আমেরিকার রাজনৈতিক নেতৃত্ব গ্রীস বা পর্তুগালের মতন পপুলিস্ট এজেন্ডাতে চলে রাজকোষ ফাঁকা করতে থাকে। এখানেই আমেরিকান নির্বাচনে মহাগুরুত্ব।

    আজকে গ্রীস থেকে পশ্চিম বঙ্গ, ভারত, আমেরিকাতে সরকারের যে বাজেট ঘাটতি বা ডেফিসিট সমস্যা -তার শুরু এই ফিয়াট কারেন্সি থেকে। ফিয়াট কারেন্সি কি মারাত্মক অর্থনৈতিক সিস্টেম সেটা না বুঝলে আমরা বুঝবো না আমেরিকা, ভারত, গ্রীস সহ সব দেশের রাজনৈতিক অর্থনৈতিক সঙ্কটটা আসলে কি। আসলে বর্তমানে সব দেশেই চলছে একধরনের পঞ্জি স্কিম। ধার করে আগের ধারের সুদের টাকা মেটানো। সেটাও যখন সম্ভব হয় না যেমন গ্রীসে হয়েছে, তখন দেশটা পুরো শেষ। পশ্চিম বঙ্গে মমতা সরকারের ও একই হাল। তারা যে টাকা ধার করে, যা চলে যাচ্ছে আগের ধারের সুদ দিতে। এই অবস্থা এখন পৃথিবীর অধিকাংশ দেশের। এবং এর মূল হচ্ছে গোল্ড স্টান্ডার্ড থেকে ফিয়াট কারেন্সিতে সরে আসা।

    কিন্ত আসলে আমেরিকার কেন্দ্র থেকে ব্যাপারটা কি হচ্ছে?

    আমেরিকা যত রফতানি করে, তার থেকে দ্বিগুন আমদানি করে। ফলে চীন, জাপান, ভারত, জার্মানী সব দেশেই জমা হচ্ছে ডলার। এই সব দেশের কাছে এই ডলার গুলো হচ্ছে শাঁখের করাত। যদি এরা নিজেদের কারেন্সিতে ভাঙাতে যায়, তাহলে তাদের কারেন্সির দাম বেড়ে যাবে। অর্থাৎ এখন ৫০ রুপি = ১ ডলার নেমে আসবে ৩০ রুপিতে। এতে ভারতের রফতানি বাণিজ্য বসে যাবে। ফলে ভারতের রিজার্ভ ব্যাঙ্ক এই ডলার আমেরিকান বন্ডে বিনিয়োগ করে-যাতে টাকার দাম ঠিক ঠাক থাকে রফতানির জন্য। পৃথিবীর প্রায় প্রতিটা দেশই এই ভাবে ফেডারেল রিজার্ভে নিজেদের কষ্টাপার্জিত ডলার জমা রাখে।

    আর সেই টাকা খায় কে? আমেরিকান রা। কারন এই যে ডলারটা চিন বা ভারত দিচ্ছে, সেটা যাচ্ছে আমেরিকার রাজকোষের ঘাটতি মেটাতে। আর তার বড় অংশ যাচ্ছে আমেরিকান বুড়োদের বাঁচিয়ে রাখতে এবং আফগানিস্থানে ড্রোন দিয়ে মোল্লা মারার জন্যে হাইটেক পুতুল বানাতে ।

    যদি এই টাকা আমেরিকা গবেষণা বা নিজেদের ইনফ্রাস্টাকচারে বিনিয়োগ করত-তাহলে চীন, জাপান বা ভারতের জমা হওয়া ডলার সুরক্ষিত থাকত। কারন এই ধরনের গবেষণা থেকে আরো নতুন নতুন প্রোডাক্ট বাজারে আসত-তাতে আমেরিকার জিডিপি বাড়ত। এবং ধার করে আমেরিকাকে এই ধার শোধ করতে হত না। কিন্ত তার বদলে এই টাকাটা যাচ্ছে যুদ্ধ করতে আর বুড়োদের বাঁচিয়ে রাখতে। ডিফেন্স আর হেলথকেউয়ার আমেরিকার সব থেকে বড় শিল্প এখন -কোটি কোটি লোকের জীবিকা। এবং তাদের ডলারটা কিন্ত আসছে চীন জাপান থেকে। আমেরিকা এদেরকে মাইনা দিচ্ছে ক্রেডিট কার্ডে। এই ভাবে ত জিডিপি বাড়ে না। ফলে একটা বিরাট অর্থনৈতিক বম্বের ওপর আমরা বসে আছি। যা আমেরিকাত ত বটেই -গোটা বিশ্বের অর্থনীতি ধ্বংশ করতে সক্ষম।

    (২)
    আমেরিকার ২০১২ এর নির্বাচন বুঝতে ওপরে ব্যাপারটা বোঝা জরুরী। কারন আমেরিকা আসলে খাচ্ছে নাচছে স্ফূর্তি করছে অন্যের ইনকামে। এখন আমেরিকার ধার ১৬ ট্রিলিয়ান ডলারের ওপরে। যদি এই ভাবে আমেরিকার রাজস্ব ঘাটতি বাড়তে থাকে খুব স্বাভাবিক কারনেই চীন সহ সব দেশ আমেরিকান বন্ড কিনতে চাইবে না। কারন আমেরিকার দেউলিয়া হয়ে গেলে এদের সব সঞ্চয় জলে যাবে। আর আমেরিকান বন্ড বাজারে না চললে পথে বসবে আমেরিকান সরকার। সরকারী কর্মচারীদের মাইনে পর্যন্ত দিতে পারবে না।

    ফলে এবারে নির্বাচনে মুখ্য ইস্যু এই দুটি- বাজেট ঘাটতি এবং বেকারত্ব। সরকারি ভাবে বেকারত্বর হার এখানে এখন ৮% এর কাছে, বেসরকারি সংখ্যাটা আরো অনেক বেশি হবে। এর পরেও আছে। গত দশ বছরে প্রতিটা আমেরিকান ফ্যামিলির ক্রয় ক্ষমতা এবং ইনকাম কমেছে প্রায় ৫% এর কাছে। ১৯৭০ সাল নাগাদ আমেরিকাতে শুধু পুরুষরাই চাকরি করত এবং সেটা করেও তারা গড়ে ৪-৫ জন সন্তান মানুষ করেছে। বর্তমানে স্বামী স্ত্রী দুজনকেই চাকরি করতে হয়। তার পরেও সংসার চলে ক্রেডিক কার্ডে! এর মূল কারন যেসব চাকরিগুলো মোটামুটি ভাল ছিল, সেগুলো এখন চীন এবং ভারতে। ফলে আমেরিকানরা তাদের বেকারত্বর জন্যে চীন এবং ভারতকেই দুষছে। চীনকে দেখে নেব, এমন ডায়ালোগ মিট রমনি অহরহ মারছেন। বাস্তব হল, রমনির কোম্পানী বেইন ক্যাপিটাল সেই সব কোম্পানীতেই বিনিয়োগ করে যারা আউটসোর্সিং করে বেঁচে আছে! ফলে ওবামা ক্যাম্প রমনির বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়েই প্রশ্ন তুলছে বারে বারে।

    আমেরিকার অর্থনৈতিক অবস্থা যে তস্য বাজে সে নিয়ে সন্দেহ নেই। বাজেটে ছাঁটাই করতেই হবে। কিন্ত ট্যাক্স বাড়ানো যাবে না। আবার বাজেট ছাঁটাই মানে চাকরি ছাঁটাই। মাথায় ঘোমটা টানতে গেলে পাছা র কাপড় ওঠে। আবার তার মধ্যে ডিফেন্স ধরে রেখে দাদাগিরিও বজায় রাখতে হবে। ফলে এই ইলেকশনে, ঘুরিয়ে ফিরিয়ে সেই দুটো জিনিসই বারবার ফিরে আসছে-কি করে বাজেট ঘাটতি কমিয়ে ধার কমানো যায়। আর কি করে আমেরিকাতে আরো নতুন চাকরি সৃষ্টি করা সম্ভব। প্রথমটা করতে গেলে, জনপ্রিয়তার বিপরীতে হাঁটতে হবে। আর দ্বিতীয়টা প্রায় অসম্ভব। তবুও ৫ পয়েন্ট প্ল্যান ইত্যাদি মিথ্যে আশ্বাস দিয়ে চলেছেন দুই পার্থীই। ওবামা এবং রমনির চাকরি জন্য এনার্জি এবং ইউটিলিটি সেক্টরের দিকে তাকাচ্ছেন। তা বিশুদ্ধ ভাঁওতাবাজি। কারন আমেরিকানদের এনার্জি বিল তাদের বাড়ির ইনকামের ৩-৪% এর বেশি না। তাই দিয়ে ৫০,০০০ নতুন চাকরি হবে কি না সন্দেহ আছে। তেলের আমদানী কমাতে আমেরিকা সক্ষম হয়েছে। সেটাই এত অন্ধকারে আশার আলো। সেসব মিলিয়ে বড়জোর ১০০,০০০ নতুন চাকরি আমেরিকাতে সম্ভব। কিন্ত ২১০ লাখ লোক যেখানে বেকার -সেখানে ১ লাখ চাকরি ত সিন্ধুতে বিন্দু! বাজেট ঘাটতি কমাতে গিয়ে আরো বেশি লোক চাকরি হারাবে। না কমালে, ভবিষ্যতে আরো অনেক বেশি লোকের চাকরি যাবে যদি আমেরিকান বণ্ড কেও কিনতে না চায়।

    ফলে সামনে কঠিন চ্যালেঞ্জ। কিন্ত মুশকিল হচ্ছে এই অসুবিধা বা আমেরিকার করুণ অবস্থাটা কেওই স্বীকার করতে চাইছেন না। ওবামা এবং রমনি এমন ভাব করছেন যেন দুজনের হাতেই আছে ম্যাজিক জাদুকাঠি। আসলে সব শুন্য। ওবামা তাও স্বীকার করেছেন, একমাত্র ভরসা আমেরিকানদের আরো ভালভাবে গণিত এবং বিজ্ঞানে শিক্ষিত করা। সেই অনুযায়ী কাজ শুরুও হয়েছে দেখছি স্কুলগুলোতে। আগের থেকে সিলেবাস অনেক কঠিন করা হয়েছে এবং ছেলেমেয়েদের পড়াশোনা এবং হোমওয়ার্কের সময় বেড়েছে। সদ্য পাশ করা ৪০% আমেরিকান গ্রাজুয়েটদের কোন চাকরি নেই। এতে কিছু হেরফের হবে না-তবে মন্দের ভাল যে, শীতঘুম ভেঙে আমেরিকান ছাত্ররা বুঝতে শিখছে বাকী জীবন আরামে কাটবে না।

    (৩)
    আমেরিকাতে ২০ বছর আগেও ডেমোক্রাট এবং রিপাবলিকানদের মধ্যে এত ব্যবধান ছিল না। ডেমোক্রাটরা ছিল লেফট-সেন্টার, রিপাবলিকানরা ছিল রাইট সেন্টার। দুই দলেই সেন্ট্রিস্ট বা মধ্যম ধারনার লোক ছিল বেশি। মানে অনেক বেশি সেন্সিবল লোক ছিল দুই দলে-এবং যার জন্যে বিল পাশ করা সমস্যা ছিল না। বর্তমানে ডেমোক্রাটদের মধ্যে অকুপাই ওয়ালস্ট্রিট ইত্যাদি টাইপের অতিবাম এবং রিপাবলিকানদের মধ্যে অতিরক্ষণশীলদের জনপ্রিয়তা ক্রমবর্ধমান। ফলে কেও কারুর কথা শোনার অবস্থায় নেই। অতিবাম বনাম অতিডানের এই লড়াই এ আমেরিকার আশুলাভ শুন্য-ক্ষতির সম্ভাবনা অনেক বেশি। তবে ওবামা এবং রমনি-দুজনেই সেন্ত্রিস্ট। কিন্ত তাদের সাগরেদরা অতিবাম এবং অতিডান। এতটাই যে রিপাবলিকান রাজনীতিবিদরা ধর্ষণ ঈশ্বরের ইচ্ছা বলতে দ্বিধা বোধ করেন না! এর পরেও উনারা মহিলা ভোট খুব বেশি হারাচ্ছেন না-কারন অনেক মহিলা নারীমুক্তির মতন বিমূর্ত ধারনার চেয়ে অর্থনীতি নিয়ে বেশি চিন্তিত। কারন আজকে তারাও সংসারের মেইন ব্রেড আর্নার। ফলে রিপাবলিকানরা সেক্সিস্ট, নারী বিরোধি, ইত্যাদি ডেমোক্রাটিক প্রচার খুব কাজে আসছে না। দেখা আচ্ছে আসলে আমেরিকান নারীদের অধিকাংশ ফেমিনিস্ট না-প্রাগমাটিস্ট-নিজেদের ইনকাম এবং চাকরির স্থিরতা নিয়ে তারা বেশি চিন্তিত।

    এমন কি বিদেশ নীতিও এই নির্বাচনে কোন প্রভাব ফেলছে না। ওবামা সরকার যে বিদেশনীতিতে সফল তা স্বীকার করছে রিপাবলিকানরাও। ওবামা বার বার করে জানাচ্ছেন ওসামাকে বধ করেছেন তিনিই। কিন্ত তা মোটেও বাজছেনা ভুখা আমেরিকান মনে। বরং মিট রমনির বারংবার গদাঘাত যে ওবামা অর্থনীতির হাল ফেরাতে ব্যর্থ সেটাই ফিরে আসছে নির্বাচনের মূল বিতর্ক হিসাবে। তাতেও কিছু লাভ নেই। এক্ষেত্রে ওবামার সাফ উত্তর হচ্ছে রিপাবলিকানদের ভুল নীতির জন্যেই দেশ ডুবেছিল। এতটাই ডুবেছিল, যে এত দ্রুত তাকে জলের ওপরে টানা সম্ভব না।

    (৩)
    রমনী এবং ওবামার নির্বাচনী ইস্তেহার যতই আলাদা হোক বাস্তবে যে এরা খুব আলাদা ভাবে দেশ শাসন করতে চাইছেন বা চাইবেন-তা নয়। এদের দৃষ্টিভংগীর মূল পার্থক্য ব্যাবসার ক্ষেত্রে। এক্ষেত্র ওবামা ব্যাবসা ও শিল্পের ওপর কঠোর নিয়ন্ত্রনের পক্ষে। মিট রমনি এর বিপক্ষে। ওবামার মতে ফাইনান্সিয়াল ইনস্টিটিউশন গুলোর ওপর নিয়ন্ত্রন হারালে দেশ আবার ডুববে। মিট রমনি বলছেন এত বেশি নিয়ন্ত্রন সরকার চালাচ্ছে ফাইনান্সে, পরিবেশে এবং অন্যান্য নিয়ন্ত্রন সংস্থায়, আমেরিকাতে ব্যাবসাই বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। দুজনার বক্তব্যেই অনেকটা সত্য আছে। আমার নিজেই দেখছি ডোড ফ্রাঙ্ক আইন বলে যে নতুন নিয়ন্ত্রন এসেছে ফাইনান্সিয়াল ইন্সটিটিউট গুলোর ওপরে, তাতে তাদের এবং তাদের ভেন্ডরদের নাভিশ্বাস উঠেছে। এতটা নিয়ন্ত্রন ব্যাবসার জন্যে ক্ষতিকর। কিন্ত পাশাপাশি এটাও ঠিক-রিপাবলিকানরা এতই নিয়ন্ত্রন ঢিলে করে দেয় যে ২০০৮ সালের মতন সাবপ্রাইম ক্রাইসিস তৈরী হয় মার্কেটে। মাঝারি পথ কেও নিতে চাইছেন না।

    এখানের ব্যাবসায়ীরা প্রায় সবাই রিপাবলিকান। আর চাকুরিজীবি শ্রমজীবিদের বড় অংশ হচ্ছে ডেমোক্রাট। সুতরাং ডেমোক্রাটিক পার্টিতে লেবার ইউনিয়ান, শিক্ষক ইউনিয়ানের প্রভাব বেশি। তার সাথে আছে লিব্যারালরা। আর রিপাবলিকান পার্টি ভর্তি আমেরিকান টপ ২% ধনীদের নিয়ে। মূলত তাদের স্বার্থেই কাজ করে এই পার্টি। তবুও এরাই ক্ষমতাই আছে ৫০ টি স্টেটের ৩০ টিতেই। কারন মূলত ডেমোক্রাট দের ব্যার্থতা অর্থনৈতিক হাল ফেরাতে। আমেরিকা চলে মূলত ব্যাবসার ওপর। ব্যাবসার ক্ষতি হয় এমন আইন কোন পার্টিই আনে না-বরং দুই পার্টিই ব্যাবসার পক্ষেই কাজ করে। এর মধ্যে রিপাবলিকানরা শ্রমিক শ্রেণীর অধিকারের সম্পূর্ন বিপক্ষে এবং মুক্ত মার্কেটের পক্ষে। কোন রিপাবলিকান স্টেটে শ্রমিকদের নুন্যতম মাইনে বারে না।

    প্রশ্ন উঠবে এর পরেও রিপাবলিকানরা জেতে কি করে। এর মূলকারন দুটি-(১) শ্রমিক শ্রেনী ডেমোক্রাটদের ওপর আস্থা হারিয়ে ভোট দিতে আসে না (২) রিপাবলিকানদের ধর্মীয় এবং রেস বেস। ডেমোক্রাটিক পার্টি এখন কালো, ল্যাটিনো এবং অন্যান্য ইমিগ্রান্টদের বেস। ফলে আমেরিকার সংখ্যাগরিষ্ঠ ইউরোপিয়ান ককেশিয়ানদের বড় অংশই রিপাবলিকানদের দিকে ঝুঁকেছে। অন্যদিকে ডেমোক্রাটিক পার্টি অধিকাংশ ক্ষেত্রেই নিজেদের বেসের জন্য কিছু করতে ব্যর্থ হয়। যেমন ওবামা বড়লোকদের ওপর নিজেই ট্যাক্স বসালেন না এত দিন-আর ভোটের সময় এসে বলছেন মিট রমনি ধনীদের ওপর ট্যাক্স বসাতে চাইছেন না।

    কিন্ত ওবামার ট্রাক রেকর্ডের দিকে তাকালে দেখা যাবে যখন সেনেট এবং কংগ্রেসে ডেমোক্রাট দের সংখ্যাধিক্য ছিল, উনি নিজেই বুশ জমানার টাক্স কাট বহাল তবিয়তে রেখে দিলেন! ফলে এবার ডেমোক্রাটদের মূল সমস্যা ছিল, অনেক কম ভোটার রেজিস্ট্রেশন। ওবামার ওপর ক্রদ্ধ নিম্নমধ্যবিত্তরা। তিনি কথা রাখেন নি। তার আমলে নিম্নবিত্তদের অবস্থা হয়েছে আরো অনেক বেশি করুণ। ২০০৮ সালে মাত্র ২ কোটি লোক সরকারি ফুডস্টাম্প ব্যবহার করত। ফুডস্টাম্প এখানে ব্যবহার করে গরিবরা-যাতে সরকারি সাহায্য নিয়ে সস্তায় খাবার কিনে খেতে পাঁরে । আজকে সেই সংখ্যাটা ৫ কোটিতে। এখানে ধণতন্ত্রের এমনই রূপ যে অধিকাংশ হিউম্যানিটিজের অধ্যাপকরা পর্যন্ত ফুড স্টাম্প নিতে বাধ্য হোন! আমেরিকাতে ইতিহাস, দর্শন , সমাজবিজ্ঞান নিয়ে যারা পড়ান, তারা এত কম মাইনে পান ( কারন এখানে সবই ডিমান্ড সাপ্লাই কার্ভ মেনে হয়!) তাদের অর্থনৈতিক অবস্থা রাজমিস্ত্রি বা ছুতোর মিস্ত্রিদের থেকে অনেক খারাপ। মোদ্দা কথা ওবামা যাই বলুন না কেন, দারিদ্র আমেরিকাতে এত বেড়েছে, খুব স্বাভাবিক ভাবেই জনপ্রিয়তা হারিয়েছেন ওবামা। এই মুহুর্তে মিট রমনি ৪৮-৪৭ পয়েন্টে এগিয়ে। কিন্ত এর পরেও জিতবেন ওবামা। কারন আমেরিকান ভোটের অদ্ভুত পাটি গণিত!

    (৪)

    আপাতত জনপ্রিয়তা না-পাটিগণিতই ভরসা ওবামার। এখানে নিয়ম হচ্ছে প্রেসিডেন্ট ভোট সরাসরি কাউন্ট হয় না। অর্থাৎ ক্যালিফোর্নিয়ার ২২ মিলিয়ান ভোটারের মধ্যে ১৪ মিলিয়ান ওবামাকে ভোট দিলে, ওবামা পাবেন কিন্ত সেই পুরো ২২ মিলিয়ান ভোট। যার ভ্যালু ৫১।

    এর সবটাই যাবে ওবামার পক্ষে। তেমন টেক্সাস জিতবেন মিট রমনি-যেখান থেকে তিনি পাবেন পুরো ৪১ আর ওবামা ০।
    আমেরিকার ৫০ রাজ্যের ৪০ টি রাজ্যের ফল আগে থেকে জানা। এরা হয় ডিপ ব্লু ( মানে হার্ডকোর ডেমোক্রাট) বা ডিপ রেড স্টেট ( রিপাবলিকান)।

    এই পূর্ব নির্ধাতিত ফলের বাইরে আছে প্রায় ১০ টি ব্যাটলগ্রাউন্ড স্টেট বা সুইং স্টেট-যারা যে কোন পক্ষেই যেতে পারে। এই রাজ্য গুলি হচ্ছে ওহায়ো, ভার্জিনিয়া, ফ্লোরিডা, নেভাদা, উইনকনসিন্স, ইন্ডিয়ানা ইত্যাদি । ওবামার সুবিধা হচ্ছে তিনি মিট রমনির চেয়ে ২৩১-১৯১ তে এগিয়ে শুরু করছেন। ওহায়ো এর এর সাথে আরেকটা সুইং স্টেট জিতলেই তিনি ২৭০ পেয়ে যাবেন। সেখানে রমনিকে ফ্লোরিডা, ভার্জিনিয়া সহ আরো অনেক গুলি সুইং স্টেট জিততে হবে। এর মধ্যে মোটামুটি নিশ্চিত ওবামা ওয়াহো পাবেন। কারন সেখানকার অটো ইন্ডাস্ট্রিকে বেইল আউট করে তিনি বাঁচিয়েছিলেন-রমনি ছিলেন এর বিরোধি। ফলে পাটিগণিত এবং মিট রমনির পূর্বকৃত ওয়াহো পাপের ফলে এযাত্রায় ওবামা কান ঘেঁষে পাশ করে যাবেন মনে হচ্ছে। তবে পপুলার ভোট মিট রমনি ওবামার থেকে বেশি পাবেন।

    প্রথম টেলিভিশন ডিবেটের আগে প্রায় সব সুইং স্টেটে ওবামা এগিয়ে ছিলেন। এর কারন ডেমোক্রাটরা নানা ভাবে মিট রমনিকে আস্ত রামছাগল প্রতিপন্ন করতে সমর্থ হয়েছিল। কিন্ত প্রথম ডিবেটে রমনি ওবামাকে বিরাট সারপ্রাইজ দেন-সেটা হচ্ছে রমনি আমেরিকানদের সামনে তুলে ধরেন, তিনি অতিডান না-তিনি মডারেট। আমেরিকা অতিবাম বা অতিডান পছন্দ করে না। তারা বরাবরের জন্য মডারেট প্রেসিডেন্টকেই ভোট দিতে ইচ্ছুক। এই প্রথম ডিবেটে ওবামার পতনের ফলে সুইং স্টেট ফ্লোরিডা এবং ভার্জিনিয়াতে মিট রমনি ওবামার চেয়ে এগিয়ে যান। ফলে যে নির্বাচন ওবামার জন্য প্রায় নিশ্চিত ছিল, তা হয়ে যায় চরম অনিশ্চিত। তবে ওহায়োর ভোটাররা ওবামার প্রতি কৃতজ্ঞতার জন্য ডিবেট দেখে সুইং করেন নি। শুধু এই রাজ্যের লোকেদের কৃতজ্ঞতা এযাত্রায় ওবামাকে বাঁচাবে। বলা যেতে পারে মিট রমনি হারবেন তার শুধু একটি লেখার জন্য-সেটি হচ্ছে তিনি ৪ বছর আগে একটি উত্তর সম্পাদকীয় লিখেছিলেন, যেখানে তিনি ওবামার অটো বেইল আউটের বিরোধিতা করেছিলেন। কিন্ত এই বেইল আউটের জন্য ওহায়ো রাজ্যটাতে অটো শিল্প টিকে আছে। ফলে এই রাজ্যে মিট রমনি ভিলেন।

    যাইহোক এখন ওবামার নির্বাচন প্রায় নিশ্চিত। যদি না ওহায়ো ঘুরে যায় এই দুদিনে।
  • PM | 233.223.***.*** | ২৯ অক্টোবর ২০১২ ১০:৫১574566
  • বহুকাল বাদে একটা ভালো লেখা পেলাম বিপ্লববাবুর কাছে।
  • de | 69.185.***.*** | ২৯ অক্টোবর ২০১২ ১৪:২৮574567
  • ভালো লাগলো!
  • generic letter | 138.15.***.*** | ০১ নভেম্বর ২০১২ ২২:৪৯574568
  • বিপ দা এরকম আরো লেখেন না কেন?
  • Ishan | 202.43.***.*** | ০২ নভেম্বর ২০১২ ০১:৪৬574569
  • আম্মো লাইকালাম।
  • Tim | 188.9.***.*** | ০২ নভেম্বর ২০১২ ১১:৩০574570
  • ভালো লাগলো লেখাটা। আমি বলতে গেলে এই প্রথম এত সুন্দর একটা রিপ্রেজেন্টেশন পড়লাম ইলেকশনের।
  • S | 81.19.***.*** | ০৫ নভেম্বর ২০১২ ০৮:০৪574571
  • শেষ বেলার নির্বাচনের টুকিটাকি -
    ওবামা আর রমনি ক্যাম্প - দু পক্ষই দাবী করছে যে তারাই জিতবে। প্রতি ঘন্টায় একটা করে পোলিং রেজাল্ট বেরোচ্ছে। প্রায় সব পোলেই দেখা যাচ্ছে নেক অ্যান্ড নেক রেস। ওবামা ৪৮% আর রমনি ৪৬%, মার্জিন অফ এরর হচ্ছে ২%।
    পপুলার ভোটে দুজনেই প্রায় সমান হলেও ইলেক্টোরাল কলেজের ভোটে ওবামা একটু এগিয়ে।
    অক্টোবর সারপ্রাইজ - হারিকেন স্যান্ডি এসে নিউ ইয়র্ক আর নিউ জার্সির অনেক জায়গা তছনছ করে দিয়েছে। ওবামা আর রমনি - দুজনেই কয়েক দিনের জন্যে ক্যাম্পেন সাসপেন্ড করে ত্রাণকার্জে যোগ দিয়েছিলেন। নিউ জার্সির রিপাবলিকান গভর্নর ক্রিস ক্রিস্টি ওবামার লীডারশিপ কোয়ালিটির প্রশংসা করে রমনি ক্যাম্পের বিরাগভাজন হয়েছেন। স্যান্ডির আগে রমনির জনপ্রিয়তা বাড়ছিল কিন্তু স্যান্ডির পরে ওবামা আবার মোমেন্টাম ফিরে পেয়েছেন।

    ফ্লোরিডায় আর্লি ভোটিং এর জন্যে জনগণ চার পাঁচ ঘ্ন্টা লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দিচ্ছে। ফ্লোরিডা একটি গুরুত্বপুর্ণ সুইং স্টেট। দু পক্ষই ফোরিডার জন্যে লড়ছে। ওবামা ক্যাম্প লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা ভোটদাতাদের জন্যে জল, খাবার এমনকি ডিজে সাপ্লাই করছে - মানুষ যাতে বিরক্ত হয়ে লাইন ছেড়ে চলে না যায়।
    আর মাত্র দুদিন !
  • nina | 79.14.***.*** | ০৫ নভেম্বর ২০১২ ০৮:৪৬574572
  • বিপ্লব,
    খুব ভাল হয়েছে লেখাটা----সুন্দর অ্যানালিসিস!
  • h | 213.132.***.*** | ০৫ নভেম্বর ২০১২ ১২:০৬574573
  • আমার সুন্দর লাগলো লেখাটা।
    প্রশ্ন গুলি যথাক্রমে এইঃ

    ১- মধ্যপন্থী দের ভোট দেয় আমেরিকা, এই টা কতদূর সত্য। মনে হয় বলা যেত, কে কার পলিসি কে কতটা 'মধ্যপন্থা' বলে চালাতে পারে তার প্রতিযোগিতা। এবং একটা পোকার গেম এর প্রতিযোগিতা। রিপাবলিকান রা গে দের পার্টি তে নেমন্তন্ন করলেন, বা ডেমোক্রাট রা মেক্সিকান স্কলারশিপ স্টুডেন্ট এর সংগে হাত মেলালেন, কিন্তু দুজনেই টেক্সাসে বেড়া দেবার কথা বললেন। আর গে প্যারেড বন্ধ না হলেও সব স্টেটে গে ম্যারেজ য রেগিস্টার করা যাচ্ছে না, সেই নিয়ে কোন ফেডেরাল পলিসি বেরোলো না। এবং মুর্গী হল গে ও টেক্শাস এর লোকেরা।
    ২। লেখকের দৃষ্টিভংগী যত টুকু রেখে ঢেকে যা প্রকাশিত হচ্ছে, সেটা অবশ্য ভারতীয় বিগ বিজনেস সমর্থক কাগজ্পত্রের লিবেরাল অপিনিয়ন। এটা কি কাকতালীয়? মানে তাঁরা যেটা কে লিবেরাল বলে চালাতে সক্ষম হয়েছেন। মানে ঐ আউটসোর্সিং বন্ধ হওয়া নিয়ে দুশ্চিন্তা, ডেমোক্রাট দের সম্ভাব্য, অর্থনইতিক প্রোটেকশনিজম নিয়ে দুশ্চিন্তা, অথচ সেটা না থাকার যথেষ্ট কারণে যে আমেরিকান ওয়ার্কার রা ডেমোক্রাট দের উপরে ভরসা হারিয়ে ফেলছেন তার কথার উল্লেখ ইত্যাদি। মানে এইটা কি ভারতীয় হোয়াইট কলারের দুশ্চিন্তা না অ্যানালিস্টের এর দুশ্চিন্তা? ;-)
    ৩। বিজনেস ভিউ এর সামান্য তারতম্য এই প্রসংগ টা যথার্থ বলেছেন। কিন্তু ফ্র্যংক ডড এর ক্রমাগত ডাইলিউশন এর কথাটা, ডেরিভেটিভ মার্কেটের আউট অফ বুক্স অপারেশন এর স্টেটাস কুয়ো আদৌ চেঞ্জ না হোয়ার কথাটা , আলাস্কা খনন বা Kইয়োটো প্রোটোকল সম`ক্রান্ত আলোচনার আস্তে আস্তে আলোচনার বাইরে চলে যাবার কথাটা পেলে ভালও লাগতো।
  • h | 213.132.***.*** | ০৫ নভেম্বর ২০১২ ১২:১১574556
  • আর সুইং স্টেটের মধ্যপন্থা নিয়েও শুনতে চাই। মানে যা ইংরেজি মেন স্ট্রীম অ্যানালিসিসে পাই তার বাইরে একটু শুনতে চাই। সুইং স্টেট গুলোর কম্পোজিশন কিরকম বদলেছে। গেলো বার, পেনসিল্ভানিয়া/মিশিগান সুইং ছিল, এবারে তে নয় কেন, এটা সত্যি বুঝি নি। স্ট্যাটিসটিকালি, নিয়ার সুইং বলে কিসু আছে কিনা সত্যি জানতে চাই, শুধু লেখকের কাছে না, যে কোনো লোক, যাঁরা এই আলোচনায় আগ্রহী তাঁদের কাছে।
  • h | 213.99.***.*** | ০৫ নভেম্বর ২০১২ ১৬:২৬574557
  • গেলবারে ওবামা নিরবাচনে যেতার পরে, আমার একটা লেখা বের করেছিলেন বাংলা লাইভ। সেইটে এখানে দিয়ে দি। তাইলে আমার মতামতের প্রোফাইলিং করতে আপনাদের সুবিধে হবে ;-)

    http://www.banglalive.com:9091/ipatrikaa/sanglap/SanglapDetail21_11_20
    08.asp

    থ্যাংক ইউ ইন্দ্রাণী দি, (ই-মশাই)।
  • S | 138.23.***.*** | ০৫ নভেম্বর ২০১২ ২০:৪৬574558
  • সব সুইং স্টেটের কম্পোজিশান সমান ভাবে বদলায় নি। কয়েকটি স্টেট, যেমন ভার্জিনিয়া আর নর্থ ক্যারোলিনা তে ডেমোগ্রাফিক চেঞ্জ হয়েছে খুব বেশি। এর জোরেই ওবামা ২০০৮ এ ভার্জিনিয়া আর নর্থ ক্যারোলিনা পেয়েছিলেন যা কিনা গত চল্লিশ বছরে কোনো ডেমোক্র্যাট জিততে পারেনি। এবারে নর্থ ক্যারোলিনা পাবে ন অবশ্য। ভার্জিনিয়া তে যে কেউ জিততে পারে।
    ওহায়ো প্রতি বছরেই সুইং স্টেট। এখানে ব্লু কলার সাদা লোকেরা এমনিতে ট্র্যাডিশনাল কিন্তু ইন্ডাস্ট্রিয়াল স্টেট বলে ইউনিয়ানের প্রভাব ও খুব বেশি। এই দুটো এফেক্ট একসাথে কাজ করে বলে ওহায়ো তে কিছু প্রেডিক্ট করা মুশকিল। আর পেনসিলভেনিয়া আর মিশিগান সেই অর্থে ঠিক সুইং নয়। এখানে ওবামা বরাবর ৫ থেকে ৬ পয়েন্টের লীড মেন্টেন করেছে। মিশিগান গত ইলেক্শানেও সুইং ছিল না। জন ম্যাকেন অনেক আগেই মিশিগান থেকে রিট্রিট করেছিল জিততে পারবে না জেনে। আর মিশিগান সুইং না হবার কারণ তো বিপ্লব লিখেছেন। ওবামা অটো ইন্ডাস্ট্রি কে বেল আউট করার জন্যে প্রচুর লোকের চাকরি বেঁচেছে। রমনি অটো বেল আউটের বিরোধিতা করে টাইমসে একটি অপ-এড লিখেছিলেন, যার শিরোনাম ছিল 'Let Detroit go Bankrupt'। আয়রনি হল মিশিগান হচ্ছে মিট রমনির জন্মস্থান, মিট রমনির বাবা জর্জ রমনি মিশিগানের গর্ভ্নর এবং ইউনিয়নের বস ছিলেন।
    ইন জেনেরাল, ইন্ড্রাস্টিয়াল মিড-ওয়েস্ট ডেমোক্র্যাট দের স্ট্রংহোল্ড, ইউনিয়ানের জন্যে। এবার উইসকনসিন সুইং কারণ রমনির ভিপি পল রায়ান ওখানকার জনপ্রিয় কংগ্রেসম্যান। তবে উইস্কনসিন আর একটি নিয়ারলি সুইং স্টেট আইওয়া তেও ওবামার ভাল লীড আছে।
    কলোরাডো আরা নেভাডা সুইং হবার কারণ হল ওখানকার বাড়তে থাক ল্যাটিনো পপুলেশান।
    ফ্লোরিডা র ব্যাপারটা একটু বিস্তারিত। সময় পেলে লিখছি।
  • h | 213.99.***.*** | ০৫ নভেম্বর ২০১২ ২২:০৮574559
  • s , থ্যাংক্স। উত্তর দেওয়ার জন্য।

    যাক আমার মূল যেটা জিজ্ঞাস্য ছিল, একেকবার একেকটা স্টেট সুইং স্টেট হয় কিনা। আর সেটার গতিপ্রকৃতি কি অপিনিয়ন পোল দ্বারা নির্ধারিত হয় না, ডেমোগ্রাফিক ডেটা পাবলিশ হবার পরে, তার অ্যানালিসিসের পরে হয়?

    আসলে এর পরের প্রশ্ন টা, যেটা আগে করিনি, সেটা পোলিটিকাল প্রশ্ন, মানে এই যে ডেমোগ্রাফিক ডেটার প্রচন্ড ব্যবহার শুধু এই বিষয় টাই আমেরিকার ইলেকশন কে কখনো বর্ণ আর এথনিসিটির উপরে উঠতে দেবে কিনা। যে দেশে র ইমিগ্রান্ট এর সোশাল মোবিলিটি , নিঃসন্দেহে ইউরোপের থেকে বেশি, সেখানে এইটা আর কদ্দিন চলবে, এর উল্টো সুর গেয়ে কেউ পেপার টেপার লিখেছেন কিনা। আমি হলে ডেমোগ্রাফিক ডেটা অ্যানালিসিস এর উপরে অপিনিয়ন পোলের মত বাধা নিষেধ আনতাম। এই যে কয়েক বছর ধরে শুরু হয়েছে, যাদব ভোট , মতুয়া ভোট, মুসলমান ভোট ইত্যাদি সংক্রান্ত প্রি ইলেকশন অ্যানালিসিস। এটা গণতন্ত্রের পক্ষে কতটা উপকারী ইত্যাদি।

    (আমি একটা বই কিনেছিলাম একবার, নন্দনের সামনের পুরোনো বইয়ের মেলা থেকে, নিউ ইয়র্ক এর মেয়রাল ইলেকশনের ডেমোগ্রাফিক ডেটা, অবাক যেটা লেগেছিল, যে এরকম ভাবে লেখা গ্রীক রা ৪১ % একে ভোট দেবার চান্স, x% ইটালিয়ান রা দেবে ওকে ইত্যাদি।)

    ডেট্রয়েট গাড়ি কারখানার আদি জায়্গা। লোকে বেল আউটে খুশি হয়েছে ভালো কথা। জেনেরাল মোটোর্স তো স্বাবলম্বী আবার হল ও, তবে ঐ গ্রীন রিসার্চ সংক্রান্ত কিছু শর্ত ছিল বেল আউটের সময়ে, সেটা কি পালিত হয়েছিল? জাস্ট জানতে চাইছি।

    ভার্জিনিয়া আর নর্থ ক্যারোলিনা ডেমোগ্রাফিক চেঞ্জ মানে কি হয়েছে। অল্প বয়সী ভোটার বেড়েছে, না ইমিগ্রেশন বেড়েছে, না চার্চ সাপোর্ট কনসোলিডেট করেছে। ভার্জিনিয়ায় ওবামা জিতবে আমি ভাবি নি গতবার।

    আর লাস্টলি, ফ্লোরিডার এই যে গল্প, একেকটা ভোটের দাম, অন্য স্টেটের ভোটের দামের থেকে বেশি, এইটার কারণটা প্রতিবারি পড়ি, কোনবার ই অ্যাবসার্ড বলে মনে রাখতে পারি না। আরেকবার বলবেন?

    তাছাড়া আল গোর এর ঐ সিদ্ধান্ত, হারার আগেই হেরে যাওয়া, এবং ফক্স নিউজের সেই বিচিত্র ঘোষণা, এই গুলো ফ্লোরিডার বিস্ময় টার সংগে জড়িয়ে।
  • S | 138.23.***.*** | ০৫ নভেম্বর ২০১২ ২২:৩২574560
  • h
    এখন সময় নেই। রাতে বাড়ি থেকে উত্তর দেবার চেষ্টা করব। ভার্জিনিয়া নিয়ে লেখার ইচ্ছে আছে। কারণ আমি নর্দান ভার্জিনিয়ায় থাকি। এই পপুলেশান চেঞ্জ টা খুব ভাল করে দেখেছি এবং শুনেছি কয়েক বছর হল।
  • S | 81.19.***.*** | ০৬ নভেম্বর ২০১২ ০৯:১৯574562
  • h,
    আপনার শেষ প্রশ্নের উত্তর টা আগে দিচ্ছি। এই যে এক একটা স্টেটের ভোটের এক রকম দাম, এর কারণ হচ্ছে ইলেক্টোরাল কলেজ। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দু রকমের ভোট কাউন্ট হয়। একটা হচ্ছে টোটাল নাম্বার অফ ভোট, যাকে পপুলার ভোট বলা হয়। আর একটা হচ্ছে ইলেক্টোরাল কলেজ ভোট। প্রতিটা স্টেটে ইলেকটোরাল কলেজের সংখ্যা আলাদা এবং তা নির্ভর করে স্টেটের আয়তন, জনসংখ্যা ইত্যাদির উপর। যেমন ক্যালিফোর্নিয়া, টেক্সাস এই সব বড় স্টেট গুলোর ইলেক্টোরাল কলেজের সংখ্যা অন্য স্টেট গুলোর চাইতে বেশি। সব মিলিয়ে ৫৩৮ টি ইলেক্টোরাল কলেজ আছে। প্রেসিডেন্ট হতে গেলে ২৭০ টি ইলেক্টোরাল কলেজের ভোট পেতে হবে এবং ইলেক্টোরাল কলেজ প্রিভেলস পপুলার ভোট। অ্যাল গোরের সময় এই ঘটনা হয়েছিল। পপুলার ভোটে এগিয়ে থেকেও ফ্লোরিডা তে গোর কনসিড করেন এবং ফ্লোরিডার ২৯ টি ইলেক্টোরাল ভোট বুশের পক্ষে যায়। যদি আমেরিকার ইলেক্টোরাল ম্যাপ দেখেন তাহলে দেখতে পাবেন ইষ্ট আর ওয়েস্ট এই দুই কোস্ট, প্যাসিফিক নর্থ-ওয়েস্ট আর আপার মিড-ওয়েস্ট রিজিয়ন খালি ব্লু। আর বাকি দেশটা পুরো রেড। কিন্তু এই হাতে গোনা কয়েকটি স্টেট নিয়েও ডেমোক্র্যাট রা জিতেছে কারণ এই স্টেট গুলোতে নাম্বার অফ ইলেক্টোরাল কলেজ অনেক বেশি। এবারের ইলেক্শানে ওবামার নিশ্চিৎ ইলেক্টোরাল ভোট হচ্ছে ২৪৪ মতন আর রমনির ১৯১। বাকি সুইং স্টেটের জন্যে লড়াই চলছে। রমনির ব্যাট্ল অনেকটাই আপহিল।
    এবারে ফ্লোরিডা। ফ্লোরিডা বরাবরের মতনই এবার ও সুইং স্টেট। এখানে একটা কথা প্রচলিত আছে, ফ্লোরিডার নর্থ হচ্ছে সাউথ আর সাউথ হচ্ছে নর্থ। মানে ফ্লোরিডার যে অঞ্চল জর্জিয়া, আলাবামা সংলগ্ন, সেই যায়্গা গুলো ডিপ রেড। মাঝে অর্ল্যান্ডো আর সাউথে মায়ামি তে ডেমোক্র্যাট রা ভোট পায়। ফ্লোরিডায় সবথেকে বেশি সিনিয়র সিটিজেনের বাস। এরা ট্র্যাডিশনালি রিপাব্লিকান। আবার ফ্লোরিডায় জিউ দের সংখ্যা নিউ ইয়র্কের পরেই। তারা আবার ট্র্যাডিশনালি ডেমোক্র্যাট। আমেরিকা আর ইসরায়েলের সম্পর্ক এখন একটু কোল্ড। রিপাবলিকানরা এজন্যে ওবামা কেই দায়ি করে। জুইশ রাও এই ব্যাপারে খুশি নয় আর অনেকেই মনে করেন এই কারনেই এবার ফ্লোরিডা ওবামার হাতছাড়া হবে । ফ্লোরিডার হিস্প্যানিক পপুলেশান ও মোনোলিথিক নয়। মায়ামি তে প্রচুর কিউবান। এই কিউবানরা ইল্লিগাল ইমিগ্র্যান্ট নয়। তাই ইমিগ্রেশান ডিবেটে এদের খুব একটা মাথাব্যাথা নেই, অন্য হিস্প্যানিকদের মতন। যারা কাস্ত্রোর কিউবা ছেড়ে চলে এসেছিল সেই জেনারেশান মেনলি রিপাব্লিকান। যদিও ইয়ং জেনারেশান অনেকই ডেমোক্র্যাট। এই সব মিলিয়ে ফ্লোরিডা হচ্ছে সুইং স্টেট।

    এবার ভার্জিনিয়া। এই বছরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সুইং স্টেট। ভার্জিনিয়া ট্র্যডিশনালি রেড। ভার্জিনিয়ার ক্যাপিটাল রিচ্মন্ড ছিল কনফেডারেসির ক্যাপিটাল। বহু বছর পরে ২০০৮ এ ভার্জিনিয়া ওবামার পক্ষে যায়। এর প্রধান কারণ হচ্ছে ডেমোগ্রাফিক চেঞ্জ। ভার্জিনিয়ার জনসংখ্যার ৪০% হচ্ছে বহিরাগত। নর্দান ভার্জিনিয়া, যা কিনা ওয়াশিংটন ডিসির সাবার্ব, গত পনের বছরে ভীষণভাবে চেঞ্জ হয়ে গেছে। গত কয়েক বছরের রিসেশনের প্রভাব এই অঞ্চলে পড়েই নি বলা যায়। এখানে রয়েছে প্রচুর হাইটেক কোম্পানি, ডিফেন্স কন্ট্রাক্টর, বায়োমেডিকাল কোম্পানি আর অসংখ্য লইয়ার, ওয়াশিংটন থিঙ্কট্যাঙ্ক পিপল, ফেডেরাল এমপ্লয়ি। গোটা দেশের উচ্চশিক্ষিত লিবেরাল লোকেরা এখানে ভীড় করেছে। এর সাথে আছে এডুকেটেড সিঙ্গল হোয়াইট উইমেন আর LGBT জনগণ। এদের জোরেই গত ইলেকশানে ওবামার ভার্জিনিয়া জয়। মহিলা, বিশেষ করে সিঙ্গল উইমেনদের মধ্যে ওবামার পপুলারিটি রমনির থেকে প্রায় ১৫ পয়েন্ট বেশি আর মহিলারা হচ্ছে ৫২% ইলেক্টোরেট। এই জন্যে এই ইলেকশনে ওবামা ক্যাম্প বার বার রমনি তথা রিপাবলিকানদের অ্যাব্র্শান, কনট্রাসেপশান ইত্যাদি ইস্যুতে তুলোধনা করেছে। ওবামা যদি রিইলেক্টেড হন তাহলে সিঙ্গল বিগেস্ট কারণ হচ্ছে মহিলাদের ভোট।
    নর্দান ভার্জিনিয়ার মতন নর্থ ক্যারোলিনায় ডেমোগ্রাফিক চেঞ্জ হয়েছে রিসার্চ ট্রায়াঙ্গল পার্ক এরিয়াতে। এখানে UNC আর ফেডেরাল রিসার্চ সেন্টারের জন্যে এডুকেটেড এবং লিবেরাল লোকেরা এসেছে বাইরে থেকে। তবে এবার ওবামার ক্যারোলিনাতে কোনো অশা নেই।

    আপানর বাংলালাইভের লেখাটা আবার পড়্লাম। ওটা আগেই পড়েছিলাম। চার বছর আগের সেই রাত টা আবার মনে পড়ে গেল। ২০০৮ এ আমার ভোটাধিকার ছিল না। কিন্তু ভীষণভাবে ভোট দিতে চেয়েছিলাম। ওবামা ক্যাম্পেনের হয়ে টুকটাক কাজ করেছিলাম। এবার অবশ্য সময়ের অভাবে আর কাজ করতে পারিনি, তবে কাল সকালে উঠে ভোট দিয়ে তারপর অফিস যাব। আর আশা করব ২০০৮ যেন আবার ফিরে আসে।
  • Sumit Roy | 184.44.***.*** | ০৮ নভেম্বর ২০১২ ০০:১৬574563
  • বারাক ওবামা আরো চার বছরের জন্য আমেরিকার প্রেসিডেণ্ট নির্বাচিত হলেন।
  • j | 230.227.***.*** | ০৮ নভেম্বর ২০১২ ১০:১১574564
  • ওবামার ফিরে আসাটা "নাকি" ইকোনমির জন্য খুব খুব খারাপ খবর
  • S | 138.23.***.*** | ০৯ নভেম্বর ২০১২ ০৯:১৩574565
  • আমেরিকান প্রেসিডেনশিয়াল ইলেকশান শেষ। ওবামা রিইলেক্টেড। এখন সব চ্যানেলে চলছে নির্বাচনি বিশ্লেষণ। ওবামার ভিকট্রি স্পিচ হয়ত অনেকই দেখেছেন। ২০০৮ এর ভিকট্রি স্পিচ এর তুলনায় সেই বারের স্পিচ সেইরকম দাগ কাটতে পারেনি। কিন্তু ওবামার শেষ ক্যাম্পেন স্পিচে আবার সেই ২০০৮ এর বারাক ওবামাকে পাওয়া যাবে। এই হল লিংক।

    ওবামা শেষ ক্যাম্পেন স্পিচ দিলেন আইওয়াতে, যেখান থেকে ২০০৮ এ ওবামার যাত্রা শুরু। লাগাতার ক্যাম্পেনের জন্যে গলা ভেঙ্গে গেছে, আর সেই ভাঙ্গা গলায় চোখের জল মুছতে মুছতে শেষ ক্যাম্পেন স্পিচ দিচ্ছেন প্রেসিডেন্ট ওবামা।
    (স্পিচ না শুনলেও শেষটা শুনবেন, ব্রুস স্প্রিংস্টিনের গান আছে।)
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভ্যাবাচ্যাকা না খেয়ে মতামত দিন